আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

খাদ্য-সারে বাড়তি ৯০০ কোটি ডলার ব্যয়ের বোঝা ৪৮ দেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্য ও সার সরবরাহে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে, তা অন্তত ২০০৭-২০০৮-এর বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার পর আর দেখা যায়নি। এতে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে। আর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) হিসাবে, বিশ্বজুড়ে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত পেট নিয়েই ঘুমাতে যায়।

রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে খাদ্য ও সারের দাম হঠাৎ করে লাফ দিয়ে বেড়েছে। এতে চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে ৪৮টি দেশ, যার মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আইএমএফের নতুন এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এসব দেশকে চলতি বছর ও আগামী বছর মিলে মোট ৯০০ কোটি ডলারের বাড়তি আমদানি ব্যয় মেটাতে হবে। আর সেটা করতে গিয়ে মহামারির আঘাত ও বাড়তি জ্বালানি ব্যয় বহনের পর এমনিতে লেনদেনে ভারসাম্যের সংকটে পড়া নাজুক ও সংঘাতপূর্ণ অনেক দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় হবে। খাদ্যের দাম কোথাও কোথাও চূড়ায় উঠে সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। তার পরও অনেক জায়গায় খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্য জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে সংকট তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতি স্বভাবতই দারিদ্র্য বাড়াবে, প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবে।

ট্র্যাকিং দ্য গ্লোবাল ফুড ক্রাইসিস শিরোনামে আইএমএফের গবেষণাপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাদ্যসংকটে ভুগতে থাকা এই ৪৮ দেশের মধ্যে অনেকগুলো দেশের মাথাপিছু আয় খুবই কম এবং দারিদ্র্য ব্যাপক; আর অনেকগুলো দেশে সংঘাতময় ও ভঙ্গুর। এমন পরিস্থিতি যেকোনো দেশের জনগোষ্ঠীর ওপর উচ্চ খাদ্যমূল্যের প্রভাবকে বহুগুণে বাড়াতে পারে। সেটা মোকাবিলা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। জাতিসংঘের হিসাবে, বাংলাদেশ খাদ্যসংকটে পতিত দেশ। লেনদেনের ভারসাম্যে খাদ্য ও সারের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রভাব পড়বে, তা চলতি বছর জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হবে। খাদ্যের সংকট সবর্ত্রই অনুভূত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে থাকা এই ৪৮ দেশ মূলত ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আমদানির ওপর চরম নির্ভরশীল, যেগুলোর বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের দেশ। এর অর্ধেক দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল প্রতিষ্ঠান ও ভঙ্গুর পরিস্থিতির কারণে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শুধু এ বছর সবচেয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর দরিদ্রতম মানুষদের টিকে থাকতে সহায়তার জন্য ৭০০ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থ দরকার হতে পারে বলে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন। ডব্লিউএফপিসহ অন্যান্য সংগঠনের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা শিগগির বাড়ানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দরিদ্র মানুষদের সহায়তায় লক্ষ্যাভিমুখী আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তবে সবার আগে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানায় মনোযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ গমের দর ৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে দায়ী বলে বিশ্বব্যাংকের গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছেন। শস্য উৎপাদন ও বিতরণব্যবস্থার উন্নয়ন চলমান খাদ্যসংকট মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি খরাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সক্ষম কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও শস্যবিমা চালুর ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। এসব নীতিগত সুপারিশের পাশাপাশি খাদ্যসংকট মোকাবিলায় দুর্বল দেশেগুলোর জন্য এক বছর বাজেট সহায়তা হিসেবে ফুড শক উইনডো নামে নতুন তহবিল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আওতায় ইউক্রেনকে বাড়তি সহায়তা ‍হিসেবে ১৩০ কোটি ডলার পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন যুদ্ধ

আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পিকআপচালক খুন, মরদেহ মিললো রেললাইনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশে রেললাইন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে রেললাইনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক শিশু তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মরদেহটি রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে মরদেহটি বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল (বুধবার) রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বারের বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি খোকন মারা গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে ৭ দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এ দফায় উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন, বিহারের চারটি আসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিন আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এরপর রয়েছে বিজেপিশাসিত রাজস্থান, সেখানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি আসনে এদিন নির্বাচন হবে।

উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ভোট হবে ৮টিতে এবং পূর্ব ভারতে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাতবিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনেই ভোট হবে আগামীকাল।

এদিকে ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গেলবার বিজেপি-এনডিএ জোট ৩০৩ আসন পেয়েছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০টি আসন বেশি পেতে চাইছে জোট।

তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, বিজেপি ও এর মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। জনমত জরিপে ন্যূনতম ৩৭৩টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের আভাস দিয়েছে এবিপি নিউজ। আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টিভি-নাইনের জনমত জরিপ।

ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। প্রথম দফায় ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন সর্বশেষ দফায় ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।


আরও খবর