কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য
মাইলফলক অর্জনের পর বাংলাদেশ এখন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে
কাজ করছে। একই সঙ্গে খাদ্য রপ্তানির দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী
আব্দুর রাজ্জাক।
আজ রোববার সকালে
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট
ফোরাম-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহ আয়োজক ছিল জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও), ডেনমার্ক দূতাবাসের সিজিআইএআর, গ্লোবাল অ্যালাইন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (জিএআইএন), ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ (ডব্লিউবিজি), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।
কৃষিমন্ত্রী
বলেন, গতানুগতিক কৃষি থেকে বের হয়ে এসে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের
প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক হলেও আমরা এর বাইরেও কাজ করতে চাই। সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে
সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা
যাবে না।
খাদ্যের চাহিদা
বাড়ার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
মানুষের পছন্দের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। মধ্যম-আয়ের মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
ভাত থেকে মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য ও ফল জাতীয় খাবারের প্রতি চাহিদা বাড়ছে। কৃষকের
পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তারা যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হন তা মোকাবিলায়
উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম সেই সুযোগ
সৃষ্টি করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাজারজাত করতে পারলে, বাংলাদেশের কৃষি হবে আধুনিক এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা
মেটাতে এবং রপ্তানির সুযোগকে প্রশমিত করতে দেশের কৃষি-খাদ্য ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ
প্রয়োজন। যখন একটি দেশের উন্নয়ন চলমান থাকে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, সেই
দেশ তখন বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। প্রথমবারের মত বাংলাদেশে
গঠিত এই বিনিয়োগ ফোরাম, যারা বিনিয়োগ করতে চায় এবং যারা বিনিয়োগ থেকে লাভবান হতে পারে
তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তৈরি করতে সাহায্য করবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।