পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি কেওড়া গাছ। কেওরা গাছগুলো প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে। এই কেওড়া গাছের জন্য বিগত দিনে বরগুনার পাথরঘাটাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলচ্ছাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে। কেওড়া ফল হরিণ ও বানরের প্রিয় খাদ্য। এছাড়াও সুন্দরবনের জলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির মাছও কেওড়া ফল খেয়ে থাকে।
ওই কেওড়া গাছের উপরে নজর পরেছে কিছু অশ্বাদু ব্যবসায়ীদের। লোক চক্ষুর আড়ালে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মিলে কাটছে কেওড়া গাছ চুরি হচ্ছে কেওড়া ফল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে কেওড়া ফল নিধন, বন উজাড় বন্ধ, উপকূলের বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ এবং বনদস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বলেশ্বর নদ ঘেষা বিহঙ্গ দ্বীপ সংলগ্ন রুহিতা গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, এনিমেল লাভার্স অফ পাথরঘাটা, টাইগার টিম ও ডলফিন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুন্দরবন যেমন আমাদের মায়ের মতন করে আগলে রাখে ঠিক তেমনি পাথরঘাটা উপকূলবর্তী বনাঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। কিন্তু কিছু অসাধু বনদস্যরা কেওড়া ফল পারছে পাশাপাশি বনের গাছ কেটে ধ্বংস করছে। বন এভাবে ধ্বংস করলে এক সময়ে বেড়িবাধ হুমকির মুখে পড়বে আর তখন উপকূল ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারা আরো বলেন, বন বিভাগের লোকবল কম রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বন রক্ষার জন্য এবং উপকূলের বনাঞ্চলের স্বার্থে লোকবল বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশকর্মী জাকির হোসেন মুন্সি, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, সাংবাদিক এ.এস.এম. জসিম, জিয়াউল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান, হামিদ শিকদার প্রমুখ।