আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না: ভোক্তার মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তরমুজ পিস হিসেবে কিনে সেটি কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বৃহস্পিতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি বলেন, তরমুজ ক্রেতারা যেভাবে কিনতে চান সেভাবে বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি পিস হিসেবে কিনতে চায়, তাহলে কেজি দরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি তরমুজ কেজি হিসেবে কিনেন, তাহলে তিনি কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। কিন্তু এর সপক্ষে ওই বিক্রেতাকে অবশ্যই ভাউচার রাখতে হবে। যদি পাকা ভাউচার না থাকে, তাহলে শাস্তির আওতায় আনা হবে ওই বিক্রেতাকে।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, কেউ যদি তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করেন, তখন যেন ভোক্তারা প্রত্যাহার করেন এবং আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে আনেন এবং সেগুলো বাজারে কেজি হিসেবে অধিক মূল্যে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

অভিযানে দেখা যায়, ১১ কেজি ওজনের তরমুজ ২৮০-৩০০ টাকায় কেনা এবং সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায়। আর অধিক লাভ বন্ধ করার জন্য নিয়মিত অভিযানও চালাচ্ছে অধিদপ্তর।


আরও খবর



মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় মালিকপক্ষকে।

এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত সি ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ  নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছি।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সেটি (প্রস্তাব) আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌ এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

তিনি বলেন, জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, না কি তারা ফিরে আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে। আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে। সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।

ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।  অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর ছিলাম। ‌ সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।


আরও খবর



নিউইয়র্কে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



যৌন নিপীড়ন করে হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরী নিকা শাকারামিকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২২ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিখোঁজ হয় ১৬ বছরের নিকা শাকারামি। এক সপ্তাহ পরে একটি মর্গে তার মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। এ ঘটনার পর ইরান সরকার একটি তদন্ত করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরিবারের দাবি বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  খবর বিবিসি

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁস হওয়া এক গোপন নথিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানির পর হত্যা করে।

যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তার একটি শুনানির সারাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ওই শুনানি করেছিল। ওই নথিতে নিকার হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা সত্য লুকাতে চেয়েছিলেন, তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

গোপন নথির তথ্য বলছে, ওই কিশোরী বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি গোয়েন্দা দল তাকে নজরে রেখেছিল। এর একটি হলো টিম টুয়েলভ। তারা ওই কিশোরীর ওপর সন্দেহে করে বিক্ষোভকারী সেজে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে তাদের ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সে পালিয়ে যায়।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করা হয়। তাকে আটকের পর ওই দলটির গাড়িতে তোলা হয়। এটি ছিল একটি ফ্রিজার ভ্যান। তবে তাতে বাহিনীর কোনো চিহ্ন ছিল না।

টিম টুয়েলভের তিন সদস্য নিকার সঙ্গে ফ্রিজার ভ্যানের পেছনে বসেছিলেন। তারা হলেন আরশ কালহর, সাদেগ মনজাজি এবং বেহরুজ সাদেগি। আর ওই দলের নেতা মোর্তেজা জলিল সামনে চালকের পাশে বসেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিকাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা খোঁজার চেষ্টা করছিল দলটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোর্তেজা জলিল পরামর্শ নেয়ার জন্য আইআরজিসির সদর দপ্তরে ফোন করেন। তাকে কুখ্যাত এভিন কারাগারে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পথে মোর্তেজা ফ্রিজার ভ্যানের পেছন থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ পান।

বেহরুজ সাদেগি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, আটককেন্দ্র থেকে নিকা শাকারামিকে গাড়িতে তোলার পর সে অন্ধকারের মধ্যে চিৎকার করছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তখন আরশ কালহর তার মোজা দিয়ে নিকার মুখ চেপে ধরেন। নিকাও তখন ধস্তাধস্তি শুরু করে। আরশ কালহর জানান, এরপর তিনি মুঠোফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে দেখতে পান, সাদেগ নিকার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছেন এবং পরে তারাও তাতে শামিল হন।

একপর্যায়ে গাড়ির সামনে বসা মোর্তেজা চালককে গাড়ি থামাতে বলেন। পরে গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেখা যায় নিকার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার মুখ ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল।

২০২২ সালের অক্টোবরে বিবিসির ফারসি সংস্করণ নিকার মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে। সেখানে বলা হয়েছিল নিকাকে শক্ত কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যগুলো জানানো হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর