বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর তলদেশে পলি জমে ভরাট হওয়ায় নাব্যতা ও পানির গভীরতা কমে ঝুঁকিতে পড়েছে বেলতলা রুটে চলাচলকারী নৌযান। কখনো কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে, কখনো আবার মাঝপথেই যাত্রী ও পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
ফেরির মাস্টার ওমর ফারুক বলেন, 'ফেরি চলাচল করতে অন্তত ১০ ফুট পানি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এই পয়েন্টে পানির নাব্যতা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে।'
৮ এপ্রিল সরেজমিনে চরমোনাই ফেরিঘাটে গিয়ে দুপুর ২টায় চরমোনাই ফেরিঘাটে চলাচলকারী ফেরিটি চরে আটকে থাকতে দেখা যায়। জোয়ারের জন্য সেটি অপেক্ষা করছিল।
যাত্রী পারাপারের খেয়া দাঁড়িয়ে আছে নদীর মাঝখানে, পানি কম থাকায় ঘাটে ভিড়তে পারছে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব ধরনের বয়সের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা খান তুহিন জানায়, এবার ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পানি কমতে থাকায় কীর্তখোলা নদীতে ট্রলার, ফেরি চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ খননের উদ্যেগ নিলে এই সমস্যায় পারতে হতো না সাধারণ মানুষের।
খেয়াঘাটের ইজারাদার হীরা মাতুব্বর জানান, চরমোনাই খেয়াঘাটের সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও নীতি নির্ধারকদের অনাগ্রহের কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই পয়েন্ট কখনো খনন কাজ করা হয়নি তার জন্য নাব্যতার সংকট দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। যে জায়গাগুলোতে সমস্যা হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।