আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কী হয়েছিল শেষ মুহূর্তে, যে পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। দেশ ছাড়ার আগে নিজের একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে তাঁরা রাজধানী ছেড়েছেন।

জানা গেছে, দেশে ছাড়ার আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। প্রায় একঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক হয়েছে। তখনো আরো বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। পদত্যাগ করতেও রাজি হননি। পরে পরিবারের স্বজনদের কথা মেনে পদত্যাগে রাজি হন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক হেলিকপ্টারে বোন রেহানাকে নিয়ে পালাতে বাধ্য হন হাসিনা।

একাধিক সূত্র বলছে, দেশে ত্যাগের আগে সকালে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ডকে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন পারছে না সে বিষয়ে জানা হয় তাদের কাছে। শেখ হাসিনা তখন বলেন, আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেনএর পরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না। এ ছাড়া বিশ্বাস করে এই কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেনসেটাও তিনি উল্লেখ করেন।

তখন আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।

ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাঁকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন।

তখন তিনি জাতির উদ্দেশে একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তাঁরা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।

এদিকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর গণভবনে প্রবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। এরপরই গণভবনে ঢুকে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সেখানের উল্লসিত ছাত্র-জনতার স্রোত দেখা যায়। দুপুরে গণভবনে ঢল নামে ছাত্র-জনতার। এতদিনে সুরক্ষিত ভবনে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় ভেতরে আন্দোলনকারীদের লুটপাট ও ভাঙচুর করতে দেখা যায়। সেখান থেকে কেউ কেউ বিভিন্ন জিনিসপত্রও নিয়ে যান।

এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এ বছরের ১১ জানুয়ারি। এর আগে ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে ভোটে বিএনপি জয়ী হলে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে যায়। তখন সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী হন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও কবির আহাম্মদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জাকির হোসেন চৌধুরী ও ড. কবির আহম্মদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আজ রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী এবং ড. মো. কবির আহাম্মদকে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডেপুটি গভর্নর পদে তাদের যোগদানের তারিখ থেকে ৩ (তিন) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।


আরও খবর



কেনিয়ায় স্কুল ছাত্রাবাসে অগ্নিকাণ্ড, ১৭ শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে একটি বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রাবাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছে ১৩ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির নায়েরি কাউন্টির এন্দারাশা বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রাবাসে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি, তবে নিহতদের বেশিরভাগই শিশু। বোর্ডিং স্কুলটিতে প্রায় ৮০০ জন শিশু পড়াশোনা করে, যাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহগুলো চেনার উপায় নেই।

হট৯৬ এফএম রেডিওকে তিনি জানান, এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করতে তদন্তে নেমেছে।

আহত শিশুদের উদ্ধার করে নয়েরি প্রাদেশিক জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেনিয়া রেড ক্রস। এমপক্সের টিকার প্রথম চালান পেলো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোএমপক্সের টিকার প্রথম চালান পেলো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো এই খবরকে "বিধ্বংসী" বলে অভিহিত করেছেন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই ভয়াবহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার নির্দেশ দিচ্ছি। যারা দায়ী তাদের জবাবদিহি করা হবে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুষ্টিয়া বাস-তেলবাহী ট্রাকের সংঘর্ষে, আহত ১৫

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কে বিআরটিসি যাত্রীবাহী বাসের সাথে তেলবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়ির ড্রাইভার ও হেল্পারসহ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৬ আগষ্ট) উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে বালিয়াপাড়া ব্রিজের সামনে বেলা আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।


আরও খবর



উজানের দেশগুলোর কাছে বন্যার পূর্বাভাসের তথ্য চাইবে বাংলাদেশ: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আকস্মিক ও বড় ধরনের বন্যায় যথাসময়ে পূর্বাভাস প্রদানে লক্ষ্যে  চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ উজানের দেশগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য চাওয়া হবে। এজন্য দেশগুলোর সাথে আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা হবে। জনগণকে যথাসময়ে সহজ ভাষায় বন্যার পূর্বাভাস দেয়ার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।

শনিবার রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ফেনী ও কুমিল্লায় গণশুনানি করা হবে। জনগণের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সকল বাঁধা দূর করতে হবে। উপদেষ্টা এসময় ফেনী নদীর মাছের ঘেরসহ সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, হাওরে যাতে বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। হাওরে স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সকল পাম্প চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া, এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ব্যবস্থা, হাওর এলাকায় কার্যক্রম এবং গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


আরও খবর



চাকরি বহালের দাবিতে অবস্থান, আইজিপিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক তকমায় বা ঠুনকো অভিযোগে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা সব সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরি হারানো হাজারো পুলিশ সদস্য রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা স্লোগান দে এক দফা, এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

বিকেল থেকে পুলিশ সদর দফতরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আমাকে যোগদান করতে দেননি।

তিনি বলেন, এ রকম হাজারো পুলিশ সদস্য হাহাকার নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা যদি চাকরি ফিরে পান তাহলে আমরা কেন পাব না। বিশেষ করে বিভাগীয় মামলা ও আদালতের আশ্রয় নিয়ে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের কী দোষ! তাদের তো চাকরি বহালে কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার আইজিপি শহীদুল হক, বেনজির, আব্দুল্লাহ আল-মামুনরা চাকরি ফিরিয়ে দেননি।

পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক বলেন, এসপিবিএনে থাকতে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তখন করোনাকাল। বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আমি বাড়ি যেতে চাইলে ছুটি মঞ্জুর করেনি। বাধ্য হয়ে আমি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছুটি ছাড়াই বাড়ি যাই। ফিরে আসার পর আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। বিনা ছুটিতে কেন বাড়ি গেলাম, সেজন্য পরে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি করি পরিবারের জন্য। বিপদে যদি সেই পরিবারের পাশে থাকতে না দেয় বাহিনী সেটা তো অন্যায্য। আমি চাকরি ফেরত চাই।


আরও খবর