বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবার বাংলাদেশ সরকারের ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের’ পূর্ণ মন্ত্রীর মত বড় দায়িত্বে। তবে নতুন এই দায়িত্বের পাওয়ার বেশ আগে থেকেই তিনি আর বিসিবির দায়িত্বে থাকছেন কি না; তা নিয়ে ছিল আলোচনা। বিভিন্ন সময় ‘বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে পারেন’ এমন আভাসও দেন তিনি। এবার, তিনি পদ ছাড়লে, ‘কে আসতে পারেন এই দায়িত্বে' দীর্ঘদিন ধরে চলা জোরশোর এই আলোচনা নিয়েও গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি’।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। ‘তার পরবর্তীতে মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে তিনি দেখতে চান কি না’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বলা মুশকিল, প্রথম কথা হচ্ছে এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আগে আসতে হবে তাকে। প্রথমে তাকে কাউন্সিলরারশিপ নিতে হবে। কাউন্সিলর হওয়ার পরে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা ঠিক করবে কে সভাপতি হবে। প্রসেসটা খুব সিম্পল।
এসময় কেবল মাশরাফিই নন, বিসিবি সভাপতি হওয়ার মতো আরও অনেকের নাম উল্লেখ করে বোর্ড সভাপতি জানান, এখন ধরেই নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে। নতুন আরও দুজন বা একজন আসলো, এখানে সিনিয়রদের মধ্যে সিরাজ (এনায়েত হোসেন সিরাজ) ভাই আছে, ববি (আহমেদ সাজ্জাদুল আলম) ভাই, জালাল ইউনুস এবং মাহবুব আনাম আছে। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছে আকরাম খান আছে দুর্জয় (নাইমুর রহমান) আছে আমাদের সুজন (খালেদ মাহমুদ) আছে। আমি বলছি যে অনেকেই আছে। এখন তারা কাকে বেছে নেবে এটা কিন্তু বলা কঠিন। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগ নেই।
বিসিবিতে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েই যিনিই আসুক, তিনি বাইরের কেউ হবেন না বলে জানিয়েছেন নবমনোনীত এই ক্রীড়া মন্ত্রী, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হলে, তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডিরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।