আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কে হচ্ছেন বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিনের ইন্তেকালের পর কে হচ্ছেন নতুন খতিব তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে খতিব হিসেবে আটজন শীর্ষ আলেমের নাম আলোচনায় এসেছে।

তবে আলেম-ওলামারা মনে করেন জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানে যেন কোনো বিজ্ঞ আলেমকে নিয়োগ দেয়া হয়। যিনি হবেন সহিহ আকিদাপন্থী। কোনো রাজনৈতিক নেতা, বেদায়াতি, মাজারপন্থী ব্যক্তিকে যেন বায়তুল মোকাররমের খতিব নিয়োগ দেয়া না হয়। সাবেক খতিব মরহুম মাওলানা ওবায়দুল হকের মতো সবর্জন গ্রহণযোগ্য আলেমকে জাতীয় এ মসজিদের খতিব হিসেবে দেখতে চান আলেমরা। এ জন্য আলেমদের একটি গ্রুপ এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছেন। তারা ঐকমত্যে আসতে শীর্ষ আলেমদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন সাহেব সম্প্রতি ইন্তেকাল করেছেন। তা ছাড়া দেশে আলেমদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে। এ জন্য এ পদে সবর্জন গ্রহণযোগ্য কাউকে বাছাই করা বেশ কঠিন। আমরা তাড়াহুড়া করছি না। সরকার ভেবে চিন্তে এ পদে নিয়োগ দেবে।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি মাওলানা সালাহ উদ্দিনকে বায়তুল মোকাররমের খতিব নিয়োগ দেয় সরকার। তখন তাকে মাজারপন্থী-বেদায়াতি উল্লেখ করে দেশের আলেমরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলও করেন আলেম-ওলামারা। অনেকে তিনি খতিব থাকালে বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়বেন না বলেও ঘোষণা দেন। তার পরও তিনি আমৃত্যু দেশের জাতীয় এ মসজিদের খতিবের দায়িত্বে ছিলেন।

তবে ২০১৫ সালে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি আর বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়াতেন না। তার পরও সে সময় সরকার খতিব হিসেবে আর কাউকে নিয়োগ দেয়নি। বায়তুল মোকাররমের অন্য ইমামরা পালাক্রমে জুমার নামাজে ইমামতি করতেন। মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করলে এ পদটি খালি হয়েছে।

এ কারণে এখন নতুন খতিব হিসেবে কে নিয়োগ পাচ্ছেন তা নিয়ে আলেম-ওলামাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কে এ পদে আসতে পারেন তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আলেমরা মনে করেন সরকার যেন এবারো গতবারের মতো ভুল না করেন। বিতর্ক আছে এমন কাউকে যেন নিয়োগ দেয়া না হয়। গ্র্যান্ড মুফতির আদলে জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে যেন সর্বজন গ্রহণযোগ্য কোনো বিজ্ঞ আলেমকে নিয়োগ দেয়া হয়।

যারা আছেন আলোচনায় : বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দেশের শীর্ষ আটজন আলেমের নাম আলোচনায় রয়েছে। তারা হলেন- আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকের বর্তমান সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শোলাকিয়া জাতীয় ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির ও হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, হেফাজতের বর্তমান মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রুহুল আমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস মুফতি ড. ওয়ালীউর রহমান খান নদভী ও বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, একজন বিতর্কমুক্ত ও সবার কাছে আস্থাভাজন বিজ্ঞ আলেমকে আমরা বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দেখতে চাই। মাওলানা ওবায়দুল হকের মতো যার সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে।

বিশিষ্ট আলেম ও রাজধানীর একটি মসজিদের খতিব মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান বলেন, মাওলানা সালাহ উদ্দিনের নিয়োগের সময় যে রকম বিতর্ক দেখা দিয়েছিল এবার যেন সে রকম না হয়। সরকার যেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় এ রকম একটি শীর্ষ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কাউকে নিয়োগ না দেয়। যাকে নিয়োগ দেয়া হবে তার যেন ধর্মীয় ও নৈতিক অবস্থান দেখা হয়। প্রয়োজনে একাধিক খতিব নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলেও তিনি মত দেন।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলা যশোরের তাপমাত্রা কমেছে। এই জেলায় শনিবার (৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল এই জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপে পুড়েছে যশোর। এপ্রিলের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই জেলায়। সেদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেই ভেঙে গেলো চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড।

এদিকে মে মাসের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু গরম কমেনি। ১ মে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২ মে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও গতকাল রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ও মোংলায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর



সাভারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।


আরও খবর



নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের। বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। তবে এরপরই ছন্দ পতন। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রানের পর ৩৮ রানে হারায় ৮ উইকেট। মিডল অর্ডারের এমন বিপর্যয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা ধুঁকতে থাকেন সৌম্য।

নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ফিফটিতে তুলে নেন এই ওপেনার। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বের হন সৌম্য। তিনিও চড়াও হন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর।

তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য। তাদের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১২১ রানে ৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।


আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল হাওলাদার (৪০) নামে এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল হাওলাদার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

ওসি মিজানুর বলেন, সাতক্ষীরা থেকে আম নিয়ে আসার সময় টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় হ্যামকো ফ্যাক্টরির সামনে পিকআপ ভ্যানটি বিকল হয়ে যায়। আম ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার সড়কে নেমে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় ঘাতক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর