আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয় : অমিত শাহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার অভিযোগও এনেছেন তিনি।

গতকাল বুধবার (৫ অক্টোবর) ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের প্রথম জনসভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর প্রথমবারের মতো কাশ্মীরের বারামুল্লায় বক্তৃতা করেন অমিত শাহ। এ সময় তিনি সত্তর বছর ধরে কাশ্মীর শাসনকারী তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ তুলে ধরেন।

অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অমিত শাহ সমাবেশে বলেন, কিছু লোক আমাকে পরামর্শ দিচ্ছে যে, আমার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। যারা এখানে সত্তর বছর ধরে শাসন করেছে তারাও আমাকে এই পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাই না। আমি বারামুল্লার গুজ্জর ও পাহাড়িদের সঙ্গে কথা বলব। আমি কাশ্মীরের তরুণদের সঙ্গে কথা বলব।

তিনি দাবি করেন, তারা (পাকিস্তান) এখানে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। তারা কাশ্মীরের জন্য কী ভালো করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বহু স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বারামুল্লায় বুধবারের সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০ হাজারেরও বেশি লোক অংশগ্রহণ করে। যাদের বেশিরভাগই তাংধর, উরি এবং বান্দিপোরার মতো সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি অঞ্চলের বাসিন্দা।

অমিত শাহ তার ২৫ মিনিটের বক্তৃতার একটি বড় অংশ ব্যবহার করেছেন মূলত ৭০ বছর ধরে কাশ্মির শাসন করা তিনটি পরিবারের নিন্দা জানাতে। যদিও বিজেপি নেতারা প্রায়শই আবদুল্লাহ এবং মুফতিদের পরিবারকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছেন, তবে এবারই প্রথমবারের মতো গান্ধীদেরও আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ।


আরও খবর



বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ নম্বরস্থ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়ি চালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে। আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বৃদ্ধি পাবে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান। আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে চল্লিশতম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে। সুতরাং আগে আমরা দেখতাম যে, ১০০ ভাগ বর্জ্য রাস্তার উপরে উপচে পড়ত। নোংরা ময়লা মাড়িয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা ধাপে ধাপে উন্নতি করছি। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি। ইনশাল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাকি ২০ ভাগও শেষ করতে পারব এবং উপচে পড়া বর্জ্যের জঞ্জাল থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সকল এলাকায় দশ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসকল এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ হতে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতু সংলগ্ন খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: ফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদশী কয়েকজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। তখন থেকেই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন। তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে বলেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক শুক্রবার বেলা ৩ টায় দিনের আলোতে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন।

এ বিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। শুক্রবার ভোরে হাতাহাতি মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত। যেখানে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে মারধর করা হয়। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বহিরাগতরা এই হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানিয়েছে।

এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ভোট গণনার সময় অন্য সম্পাদক প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুপ্রিম কোর্টে এসে বহিরাগতদের বের করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ভোটের বাক্সগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকবলেন, ভোট তো গণনাই হয়নি। সকাল ৮ টার পর পুলিশের পাহারায় আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।

বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুজে পাচ্ছি না।

শুক্রবার সকালে দেখা যায় ভোটের ব্যালট বাক্স সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে পুলিশের পাহারায় রয়েছে। এই প্রাঙ্গণে আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য ছাড়া কোন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। দুইদিনে সাত হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩১৯ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।


আরও খবর



এবারের বইমেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেল বছরের তুলনায় এ বছর অমর একুশে বইমেলায় অন্তত ১৩ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। মেলায় মোট ৬০ কোটির টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা। এ বছর বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর প্রকাশিত হয় ৩ হাজার ৭৩০টি বই।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, গেল ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না, কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।

বইমেলা স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা সরানোর বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো।


আরও খবর
একুশে বইমেলার সময় বাড়লো ২ দিন

মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিল ইউরোপীয় সংসদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আইনে যা যা থাকছে

আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে। জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে। যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।

বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল। তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে।

কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

এরপর কী?

এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে।

চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে। তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে।

নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ট্রেনে ধাক্কায় নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গতকাল রোববার রাতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন ব্যক্তির মধ্যে দুই জন বাংলাদেশের নাগরিক। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা হলেনকুমিল্লার মোহাম্মদ কামাল হোসেন (২২) ও চট্টগ্রামের মোহাম্মদ দুলাল (৩৩)।

নিহতদের সহকর্মী আবদুস সাত্তারের তথ্য অনুযায়ী, কামাল ও দুলাল গত বছর মালয়েশিয়া আসেন। কিন্তু যে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের আনা হয়েছিল, সেই কাজ তাঁরা পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁরা অন্য কাজে যোগ দেন। একপর্যায়ে উভয়েই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েন।

দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, মরদেহ দুটি কুয়ালালামপুর কেন্দ্রীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। মরদেহগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

দূতাবাসের এক কূটনীতিক জানান, নিহত তৃতীয় ব্যক্তি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য। তাঁর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার পরিচয়পত্র রয়েছে।


আরও খবর