আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

কারাগারে বন্দি বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এখন প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না, সেই দৃশ্যটাও আমরা দেখছি। তামাক যে ক্ষতিকর সেটা আমাদের জনগোষ্ঠী জেনে গেছে। সে কারণে অনেকেই তামাক ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপন করছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা যদি মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে কারাগারে বন্দি বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের (ওয়েসিস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের জেলখানায় ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। এখানে যে আসামি রয়েছে তার বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি। মাদকের ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং হার হ্রাসআমরা এই তিন ধরনের কাজ করে থাকি। এলাকায় যারা জনপ্রতিনিধি আছেন, তাদের কাছে আহ্বান রাখবোমাদকের ডিমান্ড হ্রাসে আপনারা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মাদক থেকে সবাইকে বিরত রাখতে হবে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। আইজি সাহেব বলেছেন, মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। এমনকি ফেনসিডিলও আমরা তৈরি করতে দিই না।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, হেরোইন-ইয়াবার পরে আসছে ভয়ানক মাদক এলএসডি। এই এলএসডি যে কতটা ভয়ানক তা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র নিজের গলা নিজে কাটতে গিয়েছিল, সেই দৃশ্যও আপনারা দেখেছেন। আপনাদের ঐশীর কথাও মনে আছে। আপনাদের সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয় তখন প্রকাশ করতে চান না। ভাবেন সমাজের মানুষ কী বলবে। যখন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হয়, তখন তাকে চিকিৎসার দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন, যোগ করেন তিনি।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। তামাকের বিরুদ্ধে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলামতাতে মনে হয় আমরা মোটামুটি সফল হয়েছি। তিনি বলেন, এখন প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না, সেই দৃশ্যটাও আমরা দেখছি। তামাক যে ক্ষতিকর সেটা আমাদের জনগোষ্ঠী জেনে গেছে। সে কারণে অনেকেই তামাক ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপন করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই যুদ্ধেই আজ আমরা অবতীর্ণ। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে আমাদের সরকারি একটি মাদক নিরাময় হাসপাতাল রয়েছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, আপনি নিজে একবার এই হাসপাতাল দেখতে যাবেন। আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এটা নিয়ন্ত্রণ করে। এই হাসপাতালে অনেক কিছু নেই, অনেক সমস্যা। তারপরেও হাসপাতালটি চলছে। আপনাদের সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয়, আপনারা তখন প্রকাশ করতে চান না। যখন ক্ষতি হয়ে যাবে, তখন কেঁদেও কূল পাবেন না। মাদকাসক্তির হার হ্রাসের মাধ্যমে আমরা যদি ৮০ লাখ মাদকাসক্ত থেকে ৮ লাখেও আনতে পারি, এটাও আমাদের একটা সফলতা বয়ে আনবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (৪ মে) সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওকাতারের আমির শেখ তামিম। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা ও আমির শেখ তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা।

সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।

দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি, প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম স্বর্ণ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পেছানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সোমবার (১৩ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, চাঞ্চল্যকর এই চুরির ঘটনাটি গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তাদের নজরে আসে। মূলত হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় কাস্টমসের পক্ষ থেকে তখনই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মাসুম রানা, সিপাহী মোজাম্মেল হক, নিয়ামত হাওলাদার, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেন।

সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়।


আরও খবর



পাথরঘাটায় পৃথক নিখোঁজ হওয়া দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটার ভাড়ানী খালে পৃথক নিখোঁজ হওয়া তানভীর (৩) ও জেলে মনির হোসেন (৩০) নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ হয় তানভীর। পরে রাত ১২টার দিকে প্রায় ১০ ঘন্টা পর তানভীরের মরদেহ করে এবং রোববার দুপুর ৩টার দিকে প্রায় ৫ ঘন্টা পর জেলে মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল দশটায় দারিয়ে থাকা ট্রলারে ওপর একটি ট্রলারের ধাক্কায় মনির নিখোঁজ হয়।

মৃত শিশু তানভীর পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের প্রবাসি ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে এবং জেলে মনির হোসেন লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলা চকবাজার এলাকার হাফিজুল্লাহর ছেলে।

মৃত্যু তানভীরের বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, তানভীর কিছু দিন আগে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসে। নানা বাড়ির পিছনের পাথরঘাটা ভাড়ানি খালে মা পুতুল বাশ বাগানের জন্য খাল থেকে কাদামাটি উঠানোর কাজ করছিলো। তখন পাশে শিশু তানভীর খেলতে ছিলো। মাটি তোলার কোনো এক সময় খালে পরে নিখোঁজ হয় তানভীর। সেই মোতাবেক খালে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবলি দল এসেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১০ ঘন্টা পর রাত ১২টার দিকে ছালেহ মাষ্টারের বরফ মিলের কাছে খালে ভাসমান অবস্থায় তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা ভাড়ানি খালের নতুন বাজার লঞ্চ টার্মিনালের নোঙর করে রাখা মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানা এফবি সাফওয়ান ট্রলারে অপর একটি ট্রলারের ধাক্কা মারে। এসময় মনির হোসেন নামে এক জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। এরপর প্রায় ৫ ঘন্টা স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালালেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় একটি ডুবির দল উদ্ধার অভিযান করে। এরপর পরই দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় ডুবির দল খালের মাঝখান থেকে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক এবং নিখোঁজের পর দুইটি লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জেলে মনিরের লাশ বরগুনা মর্গ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর