
ফেনীর কারাগারে নির্যাতিতাকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। আদালত তাকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন। এখন তার মুক্তি পেতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর ফেনীর কারাগারে আসামি জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর ৮ নম্বর চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে।
গত ২৭ মে ভোরে একই ঘর থেকে জিয়া ও অভিযোগকারী নারীকে আটক করে গ্রামবাসী। স্থানীয়রা তাদেরকে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা আবু সুফিয়ান মেম্বার রাজি হননি। ওইদিনই মেয়েটি সোনাগাজী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত জিয়াকে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিচারিক (নিম্ন) আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। এর আগে গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ওই মেয়েকে বিয়ে করলে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশ দেন। ওই আদেশের পরই ফেনী জেলা কারাগারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জিয়া ওই নারীকে বিয়ে করার শর্তে জামিনের বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করলে হাইকোর্ট জিয়াকে এক বছরের জামিন দেন।