আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

কারা হচ্ছেন ঝিনাইদহের ৪টি আসনের সংসদ সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের ৪টি আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে এখন চলছে ভোটের হিসাব নিকাশ। শহর থেকে গ্রামে, চায়ের দোকান, বাজার ঘাট সব খানেই গুঞ্জনকে হবেন নৌকার মাঝি? নাকি নৌকার পরিবর্তে আসছেন নতুন কেউ? এমন হাজারো প্রশ্নের মধ্যে একটি কথাই সবার মুখে মুখে সেটি হলো বিরোধীদল বিহীন এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কমতি না থকলেও ঝুঁকির মুখে পড়েছে নৌকা। খুব সহজে নৌকার মাঝিরা পার পাবে না এমন কথা সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে।

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, চারটি আসনেই নৌকার নেতাকর্মীরা বহু ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। চেতনা আর দর্শন বিসর্জন দিয়ে নেতা ছুটছেন নৌকার বিপরীতে। আর এটা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে। কেন্দ্র থেকে কোন বাধা নিষেধ না থাকায় মাঠের নেতারা এখানে লাগামহীন। তাদের অনেকেই নৌকার পক্ষে না থেকে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পেছনে ছুটছেন বলেও অভিযোগ।

ঝিনাইদহ-১ আসনে একাধিকবার সংসদ নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আব্দুল হাই। ভদ্র ও মার্জিত হিসেবে পরিচিত তিনি এবার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজেই স্বীকার করে বক্তৃতা দিয়েছেন এবারের ভোট খুবই কঠিন সমীকরণে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের একাধিক মামলা হয়েছে। ভোটের মাঠ ছেড়ে তাঁকে দৌড়াতে হয়েছে আদালতে। আগামীকালের নির্বোচনে তিনি জয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

ঝিনাইদহ-১ আসনে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল নানা ভাবে মাঠে চমক সৃষ্টি করেছেন। তিনি ট্রাক প্রতিক নিয়ে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার স্ত্রী মুনিয়াও ফুলকপি প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর এই ভোটের লড়াই শৈলকুপাবাসি উপভোগ করছেন। নজরুল ইসলাম দুলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি জয়ের ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করে বলেছেন শৈলকুপার মানুষ মুক্তি চাই। সামাজিক দল ও হানাহানি থেকে মুক্ত হতে তাকে ভোট দিবেন। নির্বাচনে শৈলকুপার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯। মোট উপজেলা ভিত্তিক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭।

এ জেলার সবচে গুরুত্বপুর্ন আসন হচ্ছে ঝিনাইদহ-২। এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও ভোটযুদ্ধ হবে মুলত নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ঝিনাইদহ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। তিনি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে। তার পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন। সেই হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সমির একটি আলাদা মর্যাদা ও মুল্যায়ন আছে। কিন্তু মহুল প্রার্থী হওয়ার কারণে তার সুনিশ্চিত বিজয় অনেকটা ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মহুলের পেছনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা অবস্থান নিয়েছেন।

জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত নেতৃত্ব দুই ভাগ হয়ে পড়েছে। এই আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন ৫২র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম ভাষা সৈনিক জাহিদ হোসেন মুসার বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সামাজি কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। সারা জেলা জুড়ে তার একটা প্রভাব রয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় মহুলের নারী কর্মী ভোটের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মহুলের ঈগল প্রতিক যদি বিজীয় হয়, তবে আবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

ঝিনাইদহ-২ আসনের ১৮৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩২ টি র্সবোচ্চ ঝুঁকি পূর্ণ কেন্দ্রের তথ্য পাওয়া যায়। ঝিনাইাদহ-২ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত ৩৩ জন।মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭ শত ৬২ জন।

ঝিনাইদহ ৩ আসনে এবার নৌকার নতুন মুখ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব সালাহউদ্দীন মিয়াজী। ভোটের মাঠে তিনি নতুন হিসেবে যেমন সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। কোটচাঁদপুর-মহেশপুর এলাকা বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত। সেখানে ভোটের সুবিধা পেতে হলে এই দুই দলের ভোটারদের কেন্দ্রে টানতে হবে। কিন্তু সেটা না করতে পারলে দুই প্রার্থীর জন্য হবে মহাবিপদ। তবে এই আসনে নৌকার বিপরীতে আলাদা সেন্টিমেন্ট কাজ করছে। ফলে চঞ্চল নৌকা বিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে পারে। এতে একই দলের সমর্থক হলেও দুই প্রার্থীর যে কেউ এই আসনে জয়ী হতে পারে। মিয়াজী ও চঞ্চল যদিও তারা জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৭। মোটি উপজেলা ভিত্তিক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬৬।

ঝিনাইদহ-৪ আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে সাবেক সাংসদ প্রয়াত আব্দুল মান্নানের ভাই আব্দুর রশিদ খোকনের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের যতে কালীগঞ্জের আওয়ামীলীগ অনেক আগে থেকেই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে আরো বিভক্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আনার বিরোধীরা খোকনের পেছনে জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করছেন। ফলে প্রতি মুহুর্তে খোকনের ভোটের মাঠ সমৃদ্ধ হচ্ছে এমনটিই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ভোটাররা বলছেন, খোকনের ভোট খুবই চাপা অবস্থায় আছে। ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে কালীগঞ্জের হিসাব পাল্টে যেতে পারে।

অন্যদিকে বর্তমান সংসদ আনারও আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও তার সমর্থকরা কিন্তু নানা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছেন। নিজ দলের দুই প্রার্থী হওয়ায় সবাই আতংকে রয়েছেন কি হয়, কি হয়। তবে সেখানকার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রয়েছে এমনটি দাবী করছেন আব্দুর রশিদ খোকন। নির্বাচনে কালীগঞ্জে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার। মোট উপজেলা ভিত্তিক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার এ এম খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের চিঠি পৌঁছে দেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্টের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর