আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কাঁচামরিচের ঝাঁজে বাজার গরম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কাঁচামরিচের ঝাঁজে বাজার গরম হয়ে উঠেছে। অন্যান্য সব ধরনের সবজির দামও নাগালের বাইরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকার কাঁচামরিচ হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

সরেজমিন সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়,  সবচেয়ে বেশি যে সবজিটির দাম বেড়েছে তা হলো কাঁচামরিচ। এক সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০ টাকা এখন বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। তবে অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে- বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পানি লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি লাউ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে হয়েছে ৯০ টাকা কেজি।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতলেন চেক রিপাবলিকের ক্রিস্টিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পালা শেষে জানা গেল মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৪-এর বিজয়ীর নাম। ৭১তম মিস ওয়ার্ল্ডর খেতাব জয় করলেন চেক রিপাবলিকের ক্রিস্টিনা পিসকোভা।

দীর্ঘ ২৮ বছর বিরতির পর ভারতে অনুষ্ঠিত হয় মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৪ প্রতিযোগিতা। শনিবার (৯ মার্চ) মুম্বাইয়ে দেশটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সেখানে এবারের মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ী পিসকোভাকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়ী পোল্যান্ডের করোলিনা বিয়েলস্কা। আর প্রথম রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন লেবাননের ইয়াসমিনা জায়তুন।

ক্রিস্টিনা পিসকোভা চেক রিপাবলিকের বাসিন্দা। ২৫ বছর বয়সী পিসকোভা পেশায় একজন মডেল। এর আগে তিনি মিস চেক রিপাবলিকের খেতাব জয় করেছেন।

এবার ২৮ বছর পর আবার ভারতে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১৫টি দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন প্রযোজক করণ জোহার ও সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড মেগান ইয়ং।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের প্যানেল ছিলেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন কৃতী শ্যানন, পূজা হেগড়ের মতো নামী বলিউড অভিনেত্রীরা। এছাড়াও ছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশনের সিইও জুলিয়া এলভিন মর্লি, সমাজকর্মী অমৃতা ফাদনবিস, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, হরভজন সিং, রজন শর্মা, জামিল সইদ, বিনিত জৈন। আরও ছিলেন ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড মানুষী ছিল্লার।

এবারের মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী সিনি শেট্টি মিস ওয়ার্ল্ডের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি শীর্ষ ৮- এ জায়গা করে নেন। এই আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন শাম্মী ইসলাম নীলা।


আরও খবর



আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত অবমাননা

আরও খবর



জাবিতে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মারধর এবং ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন, কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার। তারা সকলেই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি।

ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আমরা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাই এসে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আরও তিন ভাই এসে আমাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। সেখানে আমাদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাদের দেই। এছাড়া ভ্লগিংয়ে ব্যবহৃত আমাদের ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সক্ষম হই।

ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিলো। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিলো। এসময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তীতে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্র‍্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সোনার নিলামেও সিন্ডিকেটের থাবা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

স্থায়ী খাতের প্রায় ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিলাম ডেকেও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি। এই সোনা বিক্রি করতে গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় নিলাম ডাকা হয়। সন্তোষজনক দাম না পাওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি রাজি না হলে পুনরায় নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা করা হয়। এর পর মামলা নিষ্পত্তি হলে তা স্থায়ী খাতে নেওয়া হয়। স্থায়ী খাতে নেওয়া স্বর্ণ আন্তর্জাতিক মানের হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করে। আর আন্তর্জাতিক মানের না হলে সেটি নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

২৫ কেজি সোনা বিক্রির সবশেষ নিলামে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ভেনাস জুয়েলার্সসহ মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি হারের কাছাকাছি দাম প্রস্তাব করেনি। অর্থাৎ বৈধ সোনাও কাক্সিক্ষত দামে কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। সূত্রগুলো বলছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেটের কারণে নিলামে প্রত্যাশিত দামের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

তবে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা জানা নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) নির্বাহী সদস্য ও মুখপাত্র ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ব্যাংক বেশি দামে বিক্রি করতে চাইবে, আর ক্রেতা যতটা কমে সম্ভব কিনতে চাইবে। ফলে আমরা নিজেদের প্রফিটের দিক খেয়াল করেই সেটা কিনব।

নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম ওঠানামা করছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা বিক্রির নির্ধারিত একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় একটা প্রজেকশন প্রাইস থাকে। সেই প্রাইস যদি আমরা না পাই, তাহলে সেক্ষেত্রে রি-অকশন করা হয়। এ ধরনের অকশন আগেও একবার হয়েছিল।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় ২ হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। এর পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রস্তাবিত দর গত মাসে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এর পর বিষয়টি নিয়ে গত মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।

চলতি বছরও বাংলাদেশে সোনার দামে আরও রেকর্ড হয়েছে। বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে বর্তমানে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে চট্টগ্রামে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিরোধিতা করে বিএনপি নেতারা চাদর পোড়ায়। তাহলে বিএনপি নেতাদের বাসায় স্ত্রীদের যে শাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো কেন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যদি পালিয়ে যায় তাহলে যুদ্ধটা করেছিল কে? সরকার গঠন এবং সেক্টর গঠন করে দায়িত্ব দিয়েছিল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান ছিল বেতনভুক্ত কর্মচারী।


আরও খবর