আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় কম্বল তৈরি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাঁতীরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

বাজারে নিম্নমানের গরম কাপড় (কম্বল) এর ছড়াছড়ির কারণে টেকশই ও ভাল মানের কম্বল তৈরি করে বিক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতীরা। কমেছে বেচাকেনা ফলে পুরোনো এ পেশা ছেড়ে যুক্ত হচ্ছেন অন্য পেশায়। হারাতে বসেছে ঐতিহ্য।

তাঁতীদের তথ্য মতে, গেল তিন বছর আগেও এ পেশার ওই গ্রামের পাঁচশতাধিক তাঁতী কম্বল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে দুইশ তাঁতী কম্বল তৈরি করছেন।

জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে ঠাকুরগাঁওয়ের কেশুরবাড়ী এই গ্রামটিতে সকাল হলেই তাঁতের খুটখাট শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকার মানুষের। সংসারের আয় রোজগারে একমাত্র ভরসা তাদের এই তাঁত। একটা সময় এ গ্রামের পাঁচশতাধিক তাঁতী, শীত আসার আগে থেকেই গরম কাপড় (কম্বল) তৈরিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কর্মচাঞ্চল্যে থাকলেও বর্তমানে তা ঝিমিয়ে পরেছে। বাজারে নিম্নমানের কম্বল কমদামে বিক্রি হওয়ায় বাজারের সাথে তাল মেলাতে পারছেন না তারা।

অন্যদিকে হাতের তৈরি ভাল মানের কম্বল তৈরি করেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়া ও পুজিঁর অভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় পেশা ছেড়ে ঝুকছেন অন্য পেশায়। তবে স্বল্প সুদে ঋণ এবং শীতকালীন সময়ে সরকারিভাবে তাদের তৈরিকৃত কম্বল ক্রয় করলে এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁত শিল্পের সাথে জড়িতরা।

কারিগররা জানান, পুঁজি স্বল্পতার কারণে তারা তাদের ব্যবসাকে বড় করতে পারছেন না। কম্বল তৈরি জিনিসের দাম বাড়লেও বাড়েনি কম্বলের দাম। এছাড়া পাইকারদের দৌরাত্মের কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এ পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও তারা তেমন কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন না।

ঐতিহ্যকে টিকিয়ে তাঁতীদের কম্বল তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য শীত বস্ত্র তৈরির পরামর্শসহ স্বল্প সুদে ঋণের সুবিধায় আনা হচ্ছে বলে  জানান, বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক নুরেল হক।

আর এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, শিল্প বিকাশে সহযোগীতা করা হবে তাঁতীদের।


আরও খবর



রাঙামাটিতে জ্বর-রক্তবমি উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির অতি দুর্গম বরকল উপজেলার এক গ্রামে তীব্র জ্বর, রক্তবমি, পেটব্যাথাসহ আরও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ১০ জন এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে রোগটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা এসব উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছে। মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে দুর্গম এই গ্রামে রওনা দিয়েছে।

স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের শুইছড়ি মৌজার চান্দবিঘাট এলাকায় বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে। চান্দিনাঘাট গ্রামের লবিন্দর চাকমা এবং স্নেহবালা চাকমার ছেলে পত্ত রঞ্জন চাকমা (২৫) প্রথম এই রোগে মারা যান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিমলেশ্বর চাকমা (৫৫), ২৬ ফেব্রুয়ারি ডালিম কুমার চাকমা (৩৫), ১৫ মার্চ চিত্তি মোহন চাকমা (৬০) এবং সবশেষ চলতি মাসের ১৭ তারিখ সোনি চাকমা নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। এলাকাটি অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এবং আশপাশে নেই কোনো চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। স্থানীয় কবিরাজির মাধ্যমে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে আরও জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে গ্রামবাসীরা মিলে একটি পুরনো বটবৃক্ষ কেটে ফেলে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস গাছটি একটি আধ্যাত্মিক গাছ এবং এই গাছ কাটার ফলেই এই রোগের উৎপত্তি।

বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফোরকান এলাহি অনুপমের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বুধবার সকালে এই বিষয়ে একটি খবর পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। তারা ওখানে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

এই বিষয়ে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মং ক্যছিং সাগর বলেন, আমি ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। গত জানুয়ারি থেকে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টিও জেনেছি। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করে একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি, যেটি আগামীকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছবে।

তিনি আরও বলেন, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে আমরা জ্বর, বমি, পেট ব্যথা, শরীর ব্যাথার কথা জানতে পেরেছি। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে যারা অসুস্থ আছেন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেছি।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, তীব্র জ্বর, পেটব্যাথা, রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এটা কোনো অজ্ঞাত রোগ নয়। খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাদের এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় তারাও সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসার বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ না থাকার কারণে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তারা মারা যেতে পারে। আমরা খবর পাওয়ার পর বুধবার পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই গ্রামে পাঠিয়েছি। এলাকাটি যেহেতু খুবই দুর্গম, তাই ওখানে পৌঁছতেও বেশ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ওখানে পৌঁছানোর পর আক্রান্তদের কেস স্টাডির পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।


আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর



ঢামেক হাসপাতালের সপ্তমতলা থেকে রোগীর লাফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ভবনের সপ্তম তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে চতুর্থ তলার ওপর পড়ে জহিরুল ইসলাম (২৭) নামে এক রোগী গুরুতর আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জহিরুল ময়মনসিংহের পাগলা উপজেলার বড়ইহাতি চকপাড়া গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে।

বাচ্চুর ভগ্নিপতি নিলয় বাবু বলেন, জহিরুল একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হঠাৎ করে তার বিভিন্ন সমস্যা দেয়। মাঝে মধ্যে এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে তিন দিন আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে মা জোসনা বেগম তার দেখাশোনা করতেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার মা ওয়াশ রুমে যান। এই ফাঁকে জহিরুল হাসপাতালের পেছনের দিকে জানালা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়েন। তার কোমরের ও পায়ের হার ভেঙে গেছে।

চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রোগীর পা, কোমর ও মাথায় ফ্যাকচার হয়েছে।


আরও খবর



আগামী রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী বছরের রমজানে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দাম বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রোডিনটর্গ এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএইতে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) দেখলাম ১৮টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের রাষ্ট্রীয় সার্কুলার দিয়ে দিয়েছে, এই পণ্যগুলোর দাম কেউ এ মাসে (রমজান) বাড়াতে পারবে না। আমরা এবার হয়তো পারি নাই। ইনশাআল্লাহ আমাদের সাপ্লাই চেইন ইম্প্রুভ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ ইম্প্রুভ করে আগামীতে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটা কমপ্লিটলিস্ট তৈরি করবো। ওইভাবে এটার সাপ্লাই বাড়ানো এবং পণ্যের নির্ধারিত দাম আমরা যাতে ঠিক করতে পারি।

আপনারা বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সেভাবে প্রভাব পড়ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই যারা রোজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি ও উৎপাদন করেন তাদের সঙ্গে বসেছি। আমদানি এবং উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

বাজারে রমজান উপলক্ষে এই মুহূর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দেড় মাসে চালের বাজারে একটা অস্থিরতা ছিল। সেটা আল্লাহর অশেষ রহমতে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। চালের দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তেলের দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি।‌ রমজান উপলক্ষে আজ থেকে বাজার তদারকি আরও বাড়াবো। যাতে কেউ সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা, খোলা তেল প্রতি লিটার ১৪৯ টাকার ওপরে কেউ বিক্রি না করে। সেই ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো। কোনোভাবে যাতে এটার ব্যত্যয় না হয়, সেই চেষ্টা করবো। রমজান উপলক্ষে আজ থেকে আমরা বাজার পরিদর্শন শুরু করবো।

আহসানুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও কিন্তু নির্দেশ দিয়েছেন বাজারে সরবরাহ চেইনে কেউ যদি ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি। একেবারে যে উন্নতি হয়নি তা নয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য তাদের সম্মতি আমরা পেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজও ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে ঢুকবে।

সুপারশপগুলোতে নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন কাঁচাবাজারে গেলাম তখন দেখলাম প্রত্যেকটি জিনিসের দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে দুই-তিন টাকা বেশি। একেবারে খুচরা পর্যায়ে কাঁচাবাজারগুলো অস্থায়ীভাবে থাকে, ওইগুলো আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো সেটা এখন বের করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই- সরবরাহ নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই যেন সরবরাহে ঘাটতি না হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাজার মনিটরিং ইনশাল্লাহ আমরা বাড়াবো। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেওয়া হয় এটা সম্পূর্ণ শুরু হলে এতেও বাজারে একটা চাপ কমে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ একটা মূল্য নির্ধারণ করে দিতে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম লেবুর দাম বেড়ে গেছে। শসার দাম, পেঁয়াজের দাম...। এটি কিন্তু সারা বাংলাদেশের তুলনায় ঢাকার কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বলবো। এটি কিন্তু গুটিকয়েক জায়গায়। সারাদেশের পরিস্থিতি কিন্তু এটা না। অনেক সময় হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যায়। দেখা যাবে আজ বা কাল সবাই বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়বো ১০/২০ দিনের সাপ্লাই একদিনে কিনে ফেলবো। ডিমান্ড বেড়ে গেলে হয়তো ওই অনুযায়ী সাপ্লাইটা আসে না। এজন্যও (আকস্মিক দাম বৃদ্ধি) হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আজ সকালে শুনলাম একজন বিক্রেতা বলতেছে বছরে একটাবার রোজা আসে লেবু দিয়ে একটু ই করতে হয়, কৃষকরা একটু পয়সা পায়, আমরাও দুইটা পয়সা পাই। ব্যাপার কিন্তু এটাই। এখানে কিন্তু কোনো বড় গ্রুপ কাজ করতেছে না। একটা ডালা নিয়ে তিনি ব্যবসা করতেছেন, সে চিন্তা করতেছে দুই টাকা বেশিতে পাইলে সে দুই টাকা বেশি লাভ করবে। ভেরি ইনোসেন্টলি সে এ কথাটা বলেছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের একটু সততার সঙ্গে ব্যবসাটা করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতিটাকে প্রাধান্য দিয়ে যাতে আমরা ব্যবসাটা করি।

রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চালের স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গম, ভুট্টা, ডালের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। এগুলো আমাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গমের উৎস হলো রাশিয়া। আজ যে প্রোডাক্টগুলো তারা সাইন করলো- রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে তারা যদি সাপোর্ট দিতে পারে তাহলে আমাদের ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির একটা বড় বাফার স্টক আমরা তৈরি করতে পারবো।

টিসিবিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাবসিডাইজ প্রাইজে পণ্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে ফেয়ারপ্রাইজে মাল্টিপল প্রোডাক্ট সরবরাহ করবো, যদি আমাদের এই রকম সোর্স থাকে। শুধু রাশিয়া থেকে নয় কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনতে আমরা ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তি করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছি। মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সোমালি জলদস্যুদের জানতে দেখুন এই পাঁচ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের। গত মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। এরপর থেকেই ফের আলোচনায় তারা।

গত কয়েক দশকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমাগুলোতে দেখানো হয়েছে নাবিকদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ চাওয়া এবং না দিলে খুন করে ফেলার ঘটনা। বাস্তবে সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ব্যক্তিও অভিনয় করেছেন এসব ছবিতে। তাই প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়। এক নজরে জেনে নিন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি পাঁচ সিনেমা সম্পর্কে।

স্টোলেন সিস: ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১২ সালে। সোমালি জলদস্যুদের বিষয়গুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। জিম্মি হওয়া নাবিকদের দুর্দশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইনের এই ছবিতে।

আ হাইজ্যাকিং: ড্যানিশ এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। কার্গো জাহাজের মালিকের জলদস্যুদের সঙ্গে দেন-দরবারের দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ফিশিং উইদাউট নেটস: এ সিনেমায় জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জেলেরা বেঁচে থাকার তাগিদে জলদস্যুতে পরিণত হয়েছেন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবিটি ২০১২ সালে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রচুর প্রশংসা এবং পুরষ্কার জিতেছে।

দ্য প্রজেক্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি নির্মিত ডকুড্রামা দ্য প্রোজেক্ট। এতে তুলে ধরা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের আধিপত্যের কারণে শিপিং বিশ্ব কতটা হুমকিতে পড়েছে। এই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে কী করা যায়, এসব বিষয়ও উঠে এসেছে ডকুড্রামাটিতে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ডকুড্রামাটি।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস: আমেরিকান মালবাহী জাহাজ মারস্ক আলাবামা ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিলে ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। তার জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। রিচার্ড ফিলিপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রিচার্ড ফিলিপস বই লিখেছিলেন। সেই বই অবলম্বনে পল গ্রিনগ্রাস ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।


আরও খবর