আজঃ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় কম্বল তৈরি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাঁতীরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

বাজারে নিম্নমানের গরম কাপড় (কম্বল) এর ছড়াছড়ির কারণে টেকশই ও ভাল মানের কম্বল তৈরি করে বিক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতীরা। কমেছে বেচাকেনা ফলে পুরোনো এ পেশা ছেড়ে যুক্ত হচ্ছেন অন্য পেশায়। হারাতে বসেছে ঐতিহ্য।

তাঁতীদের তথ্য মতে, গেল তিন বছর আগেও এ পেশার ওই গ্রামের পাঁচশতাধিক তাঁতী কম্বল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে দুইশ তাঁতী কম্বল তৈরি করছেন।

জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে ঠাকুরগাঁওয়ের কেশুরবাড়ী এই গ্রামটিতে সকাল হলেই তাঁতের খুটখাট শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকার মানুষের। সংসারের আয় রোজগারে একমাত্র ভরসা তাদের এই তাঁত। একটা সময় এ গ্রামের পাঁচশতাধিক তাঁতী, শীত আসার আগে থেকেই গরম কাপড় (কম্বল) তৈরিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কর্মচাঞ্চল্যে থাকলেও বর্তমানে তা ঝিমিয়ে পরেছে। বাজারে নিম্নমানের কম্বল কমদামে বিক্রি হওয়ায় বাজারের সাথে তাল মেলাতে পারছেন না তারা।

অন্যদিকে হাতের তৈরি ভাল মানের কম্বল তৈরি করেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়া ও পুজিঁর অভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় পেশা ছেড়ে ঝুকছেন অন্য পেশায়। তবে স্বল্প সুদে ঋণ এবং শীতকালীন সময়ে সরকারিভাবে তাদের তৈরিকৃত কম্বল ক্রয় করলে এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁত শিল্পের সাথে জড়িতরা।

কারিগররা জানান, পুঁজি স্বল্পতার কারণে তারা তাদের ব্যবসাকে বড় করতে পারছেন না। কম্বল তৈরি জিনিসের দাম বাড়লেও বাড়েনি কম্বলের দাম। এছাড়া পাইকারদের দৌরাত্মের কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এ পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও তারা তেমন কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন না।

ঐতিহ্যকে টিকিয়ে তাঁতীদের কম্বল তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য শীত বস্ত্র তৈরির পরামর্শসহ স্বল্প সুদে ঋণের সুবিধায় আনা হচ্ছে বলে  জানান, বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক নুরেল হক।

আর এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, শিল্প বিকাশে সহযোগীতা করা হবে তাঁতীদের।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রাজধানীর অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ডুবে যায়। জলমগ্ন এসব সড়কে আটকা পড়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহান নগরবাসী।

পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তায় কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে, কোথাও কোথাও আগুন লেগেছেএমন খবরও পাওয়া যায়। আজ শুক্রবারও দুর্ভোগ কমেনি। নিউমার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে আছে।

আজ সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানির নিচে। কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি। রাজধানীর নিউমার্কেটের ভেতর ও সামনের সড়ক পুরোটাই পানির নিচে ডুবে আছে। নীলক্ষেতের সামনের সড়কে পানি জমে থাকার কারণে তেমন কোনো গাড়ি চলাচল করছে না। তবে সাধারণ মানুষ রিকশা ও ভ্যানে করে ওই সড়ক পারাপার হচ্ছেন। রিকশার পাদানি ও ভ্যানের পাটাতন পর্যন্ত ডুবে থাকছে সড়কে জমে থাকা পানিতে।

নিউমার্কেটের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিউমার্কেটে সকাল ১০টার পর থেকেই শুরু হয় মানুষের ভিড়। কিন্তু আজ সড়কের পানি পেরিয়ে কেউ নিউমার্কেটের ভেতরেই ঢুকতে পারছেন না।

কোনো কোনো ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মী কোনো রকমে ভিজে দোকানের সামনে গিয়ে বসে আছেন। দোকান খুলবেন কীভাবে, তা বুঝতে পারছেন না। তবে নিউমার্কেটের উল্টো দিকে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে দু-একটি দোকান খোলা দেখা গেলেও সেখানে যাওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই।

ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশের গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্স, বদরুদ্দোজা মার্কেটের বিক্রেতাদের দোকান থেকে পানি বের করতে দেখা গেছে। তাঁদের অনেক কাপড় ভিজে গেছে। বস্তায় থাকা কাপড় বের করে সড়কের পাশে রেখে তা পরিষ্কার করতেও দেখা গেছে অনেককে।

নিউমার্কেটের ভেতরসহ এই সড়কে পানি জমে থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাত ও নিউমার্কেটের ভেতরে থাকা হকাররা। তাঁদের অনেকের জিনিসপত্র সব ভিজে গেছে। বর্তমানে সেসব অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ারও কোনো উপায় নেই।

নীলক্ষেত থেকে আজিমপুর সড়কে কোমরসমান পানি জমে আছে। এই সড়কে আজ বেলা ১১টার দিকে বেশ কিছু প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যানবাহন না পেয়ে মানুষ রিকশা ও ভ্যানে করে পানি পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। আবার পর্যাপ্ত রিকশা-ভ্যান না পাওয়ায় অনেককে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

দোয়েল চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়কে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আছে। ওই সড়কে পানি জমে না থাকলেও ডাল ভেঙে থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে ঢাকা নার্সিং কলেজের ভেতরেও হাঁটুসমান পানি জমে আছে।

মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক থেকে নামার জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের অংশের সড়ক সকাল ১০টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। ফুটপাত ছুঁই ছুঁই সেই পানি দুই পাশের দোকানিরা সেচে বের করার চেষ্টা করছেন।

এদিকে ধানমন্ডির বায়তুত তাওয়াব আবাসিক এলাকার কিছু সড়কে বেলা ১১টার দিকেও পানি জমা দেখা গেছে। বসুন্ধরা শপিং মলের পেছনের সড়কে এখনো হাঁটুর ওপর পানি। সেখানকার বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। কেউ কেউ কোনো রকমে দোকান খুললেও সেখানে স্বভাবিকভাবে যাওয়ার উপায় নেই।


আরও খবর
যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে আরও ডিম আমদানি করা হবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, চারটি কোম্পানিকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এ অনুমতি দিয়েছি। আমাদের প্রতিদিন প্রায় চার কোটি ডিম প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে আমরা মাত্র একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেব।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে ডিমের অতিরিক্ত দাম নেওয়াটা যৌক্তিক নয়।

চার প্রতিষ্ঠানকে ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।

সচিব বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গতমাসে ডিমের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পানি ভারত থেকে আমদানি করবে বলে জানিয়েছে। বাকিরা সুবিধামতো সোর্স থেকে আমদানি করবে।

আরও পড়ুন>> ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

ডিম আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমদানিতে কোনো শর্ত নেই। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হবে। তবে বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। এছাড়াও আমদানি করা ডিম বার্ড ফ্লু ভাইরাস কিংবা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।

ডিম আমদানিতে দেশীয় উৎপাদিত বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে তাই এই ডিম আমদানিতে দেশীয় উৎপাদনের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে তারা সিন্ডিকেট করে যদি দাম বাড়িয়ে দেয় তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির বিকল্প থাকবে না।

আরো অনেক পণ্যের দাম নির্ধারণের পরও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার আলু এবং পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ, কোল্ড স্টোরেজের মালিক এবং খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও তাদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটা যৌক্তিক দাম বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে পণ্য সাপ্লাই চেইনের সব ধরনের লভ্যাংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করতে সব জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ের নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিপণন ও উপজেলা কৃষি এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করবে। মনিটরিং আরো জোরদার করতে ডিসিদের নিয়ে দুএকদিনের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকও করা হবে।

ভোক্তা অধিকার খুচরা পর্যায়ে অভিযান করলেও পাইকারি পর্যায়ে কোনো অভিযান করা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পণ্যের উৎস পর্যায়েও মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধারণত কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা কিন্তু সেখানে আলু রাখেন না। আলু রাখেন বড় ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন করা। তারপরও তারা যদি নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে কোল্ড স্টোরেজেও অভিযান চালানো হবে। ইতোমধ্যেই কোনো জেলায় শুরু হয়েছে। সোর্স পর্যায়ে মনিটরিং করলে দাম কমে আসবে।


আরও খবর



রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মোমেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতিতে অটুট থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংকট সমাধানের পক্ষে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুই দিনের সফরে সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ঢাকায় তার এটাই প্রথম সফর। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। পরে তারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই দেশের মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেনের কাছে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন উপায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে ঢাকার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে মোমেন বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- আমরা ভারসাম্য কূটনীতি মেনে চলার চেষ্টা করি। আমরা আমাদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিই। আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সব সমস্যার সমাধান করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, আমরা এ অঞ্চলে প্রক্সি ওয়ার চাই না। আমরা সব সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে করতে চাই। এটাই আমাদের অবস্থান।

এ সময় মস্কোর সঙ্গে ঢাকার গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া আমাদের সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ গঠনে তারা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমাদের সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক। রাশিয়া আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করছে।

প্রায় আধঘণ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচরা বিষয়ে মোমেন বলেন, আমরা উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর কথা বলেছি। এ দেশে অনেক স্কোপ রয়েছে। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, হাইটেক পার্ক রয়েছে- এগুলোর সুবিধা তারা নিতে পারেন। তারা বলেছেন, নিউক্লিয়ার ফুয়েল টেকসইভাবে অনেক দিন দেবেন।

বৈঠকে রাশিয়া বাংলাদেশকে এলএনজি এবং ক্রুড অয়েল আনার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, তারা (রাশিয়া) বলেছেন- তাদের দেশ থেকে আমরা এলএনজি আনতে পারি। তারা আমাদের প্রস্তাব করেছেন, তাদের দেশ থেকে ক্রুড ওয়েল আনতে পারি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর
যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৯০০

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৯। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮ জন।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা  ৮১২ জন। ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ জনের মৃত্যু

শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এবার চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করল ভারত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেদ্ধ চালের রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটি। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

সেদ্ধ চালের রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে প্রথমদিকে রয়েছে ভারত। দেশটি রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করায় বিশ্ববাজারে কমে যাবে সরবরাহ। এতে বেড়ে যেতে পারে সেদ্ধ চালের দাম। এরই মধ্যে দাম গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে ঠেকেছে।

তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, অভ্যন্তরীণ মজুত ঠিক রাখা এবং দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সেদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত মাসে সেদ্ধ সাদা চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত সরকার। ওই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়ানো। এ ছাড়া আসন্ন উৎসব মৌসুমের সময় চালের খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইছে দেশটি। উল্লেখ্য, ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া চালের প্রায় ২৫ শতাংশ অবাসমতী সাদা চাল। তারও আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত।

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক বিশ্ববাজারের অনেক প্রতিষ্ঠান বেশি দামে বিক্রি শুরু করে। আর তাতেই বেড়ে যায় দাম। এমনটাই জানিয়েছেন মুম্বাইভিত্তিক একটি ডিলার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সেদ্ধ চাল কেনার জন্য আর তেমন বড় বাজার নেই। ফলে দাম বেড়েই যাবে।

উল্লেখ্য ২০২২ সালে ৭৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল রপ্তানি করেছিল ভারত। বিশ্বের ৪০ শতাংশ চাল ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়। তারা চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় অন্য আমদানিকারক দেশে চালের দাম বৃদ্ধির পেতে পারে। বাংলাদেশও ভারত থেকে সেদ্ধ চাল আমদানি করে।


আরও খবর