আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কানাডায় খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস ইউএসডিএর

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২২-২৩ মৌসুমে কানাডায় খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ায় এমন সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে কানাডায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়বে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ কোটি ৮০ লাখ টনে। বসন্তকালীন গম, দুরাম ও জইয়ের আবাদ লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। কানাডার অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য আবাদি অঞ্চল আলবার্টা ও পশ্চিম সাসক্যাচুয়ান। এসব অঞ্চলে খরা পরিস্থিতি কতটুকু দীর্ঘায়িত হয় তার ওপরই সংস্থাটির এ পূর্বাভাস নির্ভর করছে। এ ঝুঁকি কেটে গেলে পূর্বাভাস মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে ইউএসডিএ।

কানাডায় খরার কারণে চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আবাদের পরিমাণও ছিল নিম্নমুখী। এ কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমে কয়েক বছরের সর্বনিম্নে নামতে পারে গম, যব ও জইয়ের প্রাথমিক মজুদ। ভুট্টার প্রাথমিক মজুদ কমে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টনে নামার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ শস্যটির মজুদ আট বছরের সর্বনিম্নে নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশুখাদ্য উৎপাদনে ঊর্ধ্বমুখী স্থানীয় চাহিদাকে এর পেছনে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

ইউএসডিএ বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে কানাডায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার টন গম উৎপাদন হতে পারে। মৌসুম শেষে শস্যটির মজুদ দাঁড়াবে ৪০ লাখ টনে। ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে গমের মজুদ ও ব্যবহারের অনুপাত কমে ১২ শতাংশে নামার পূর্বাভাস মিলেছে। ১৯৩৮ সালের পর এমন নিম্নমুখিতা দেখা যায়নি।

২০২২-২৩ মৌসুমে গম, যব ও জই রফতানি গত বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। ফলন পরিস্থিতির উন্নতি দেশটির রফতানিযোগ্য গম সরবরাহ ৬০ লাখেরও বেশি বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শস্যটির মজুদ ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। কারণ বিশ্বজুড়ে গমের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে শস্যটির সরবরাহ সংকট তীব্র। এদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে কানাডায় ৯৪ লাখ টন যব উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো দাম ও আবাদ বৃদ্ধির কারণে জই উৎপাদন ৪০ লাখ ৩০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে।

আগামী মৌসুমে ভুট্টা উৎপাদন ১ কোটি ৩৬ লাখ টনে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। চলতি মৌসুমে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টন উৎপাদন হয়েছে। মূলত আবাদ কমে যাওয়ার কারণেই উৎপাদন কমতে পারে। অন্যদিকে ভুট্টা, যব, গম ও জই আমদানি ৪০ শতাংশেরও বেশি কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত পশুখাদ্য উৎপাদন খাতে ভুট্টা ও যবের নিম্নমুখী চাহিদা এতে ভূমিকা রাখবে।

নিউজ ট্যাগ: কানাডা

আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৮ বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৮ বার পেছাল। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



‘বুবলীর আগের সংসারে একটি মেয়ে আছে’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সবসময় থাকেন আলোচনায়। এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তার সিনেমা দেয়ালের দেশ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি পারিবারিক জীবন নিয়েও বেশ সমালোচিত। বুবলীর অতীত নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

ঈদ উপলক্ষে টিভি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (বুবলী) এখনও শাকিব খানের স্ত্রী। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আলাদা থাকছেন। বীরের কথা ভেবে তারা সময় নিচ্ছেন।

বুবলী জানান, শাকিবের বাসায় গেলে অপু-জয়ের সঙ্গে দেখা হয় বুবলী ও বীরের। একবার বীর ও শাকিবের সাথে রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী, এ সময় জয়কে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। বুবলীর এমন মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শুনে নাকি বিরক্ত শাকিব ও অপু।

একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। তিনি বলেন, বর্তমানে শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছে, তাদের মধ্যে বুবলী ঢুকে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, বুবলী শাকিব খানের লেজ ধরে এই পর্যন্ত আসছে। তাকে ধরে ১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে। আর বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, এটা শাকিব জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনওই ফেলে দেবে না।

বুবলীকে নিয়ে সুরুজ আরও বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?

শবনম বুবলী ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ নবীনশিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে বুবলী জনপ্রিয় সব সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন দর্শকদের।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর