আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কানাডায় বিনিয়োগ হিসেবে বাড়ি কিনতে পারবেন না বিদেশিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়ি কেনার সুযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে বাড়ির দাম আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, এ বিষয়ে একটি আইনও পাস করেছে কানাডার সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম দিন থেকেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওপর বাড়ি কেনা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলো। মূলত নিজ দেশের নাগরিকদের আবাসন সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু শহর অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া বিনোদনমূলক সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে অটোয়া কর্তৃপক্ষ।  দাম বেশি হওয়ায় অনেক কানাডিয়ান বাড়ি কিনতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় ২০২১ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুই বছরের জন্য এমন পদক্ষেপের প্রস্তাব দেন। 

সে সময় ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি জানায়, কানাডায় বাড়ি কেনা মুনাফাখোর, ধনী ব্যবসায়ী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এতে বাড়িগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। বাড়ি তো জনগণের, বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়।

এদিকে কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২২ সালের শুরু থেকে বাড়ির দাম কমেছে। বাড়ির দাম গড়ে সর্বোচ্চ ৮ লাখ কানাডিয়ান ডলার থেকে কমে ৬ লাখ ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে নেমে এসেছে।  এ ছাড়া দেশটির জাতীয় আবাসন সংস্থা কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কানাডায় প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের মতো আবাসন ইউনিট প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে অন্তত ৫৮ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে হতে পারে। 

নিউজ ট্যাগ: কানাডা

আরও খবর



সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ‘ভুল ধারণা’ পরিবর্তন জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে  যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই নানারকম ধারণা চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলছেন, এসব ধারণার প্রায় সবগুলোই সম্পূর্ণ ভুল এবং এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এরকম কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে:

রান্না করা, খাবার খাওয়া : এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে সেটিও অমঙ্গলজনক। কিন্তু এরকম ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।

গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, 'সংস্কার' আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।

ভ্রমণ না করা : সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক - এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেক মানুষের মধ্যেই। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গ্রহণের পর গোসল করা : সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এই ধারণাটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক নওরীন আহসান।

তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় সূর্যের রশ্মি গায়ে লাগলে যতটা ক্ষতি হোতো, সূর্যগ্রহণের সময় তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় যে আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্ষতি হবে, এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখা : সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসানের মতে, শুধু সূর্যগ্রহণের দিনই যে সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয় - এমনটা নয়। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে - যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক নওরীন আহসান আরও বলেন, যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর



ত্রিশালে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোমিন তালুকদার, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয় সাথে প্রাইভেটকারটি। পরে স্থানীয়রা গাড়ি থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে গাড়ির চালক যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম দীপক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরে তাদের গাড়ি থেকে বের করার পর গাড়ীতে আগুন ধরে যায়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের বাইপাস এলাকায় যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ নিজের ফিসারীর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করে ত্রিশাল আসার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি নিজের গাড়ী নিজেই চালিয়ে আসছিলেন।

নিহত শামীম পারভেজ ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে। সে উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সকালে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়। নিহতের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না : কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।  তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।

বিএনপি-জামায়াত বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজকে কোনো রাখঢাক নেই, আজকে যারা সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক সে বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই শত্রুকে আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চেতনায় আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মতো ফুটে, বনফুলের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়, কমলা রঙের অপরাহ্ণের রৌদ দুহাতে গালে মাখে, সে শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।


আরও খবর



মাদক কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা : বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর