আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কালুরঘাট সেতু হবে পদ্মা সেতুর আদলে

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৮০ মিটারের কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হবে পদ্মা সেতুর আদলে। বুধবার (৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১০ সালে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন আমরা সিডিএর মাঠে একটা জনসভা করেছিলাম। সেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, কালুরঘাটেও একটি নতুন  সেতু নির্মাণ করে দিবেন। যেটাতে একপাশে গাড়ি এবং নিচে ট্রেন চলতে পারবে।

কিন্তু দীর্ঘ এগারো বছর সময় গেছে। আমার আগে যিনি এমপি ছিলেন তিনিও চেষ্টা করেছিলেন, হয়নি।  দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে এটি একনেকে গিয়েও ফেরত এসেছে। তখন কিন্তু খরচও অনেক কম ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি দায়িত্বে আসার পর এটি নিয়ে আবার কাজ শুরু করলাম। পরে নকশার জন্য টেন্ডার হলো।

প্রধানমন্ত্রী একনেকের মিটিংয়ে বললেন, এটি আবার রিভাইস করে আনার জন্য। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। লেখা হয়েছিল দুইটা সেতু করার কথা, একটা রেলসেতু আরেকটা সড়ক সেতু। পরবর্তী সময়ে ওই নকশা করে যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যায় তখন তিনি বলেন, আমি তো এরকম বলিনি। একটিই সেতু হবে। সেটিতে গাড়ি ও ট্রেনসেতু থাকবে। এছাড়া দুইপাশে দুই মিটার করে চার মিটার হাঁটার রাস্তা থাকবে।

তিনি বলেন, করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় রিসোর্ট ডিভিশন, যারা অর্থায়নের জন্য বিদেশের সাথে কথা বলেছিল তাদের সাথে সচিব, মন্ত্রীসহ বারবার কথা বলার পর পুনরায় টেন্ডার হয়েছে। ওই টেন্ডারে আগে যারা স্ট্যাডি করেছিল তারাই আবার কাজটি পেয়েছে।

ফলে খুব কম সময়ে ডিজাইনটা সাবমিট করেছে। তবে এর আগে রেলসহ অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে আরও সুন্দরভাবে তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার জন্য তারা কিছু সময় নিয়েছে। আগামী আগস্টে তারা সেটি জমা দিবেন। এজন্য আজ রেলের সাথে একটি চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টেন্ডার শেষ করতে ৭-৮ মাস লাগবে। আগামী আগস্ট মাসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ বছরেই সমস্ত টেন্ডার জটিলতা শেষ হবে। চেষ্টা করছি এবছর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার। পদ্মা সেতুর আদলে এ সেতু নির্মিত হবে। ওপরে গাড়ি চলবে, নিচে ট্রেন। মোট তিনটি লাইন থাকবে। এ সেতুর সমস্ত ব্যয় বহন করবে কোরিয়ান সরকার।  


আরও খবর



আগামীকাল থেকে শুরু ডিপিএলের সুপার লিগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রতি রাউন্ডের পর দুদিনের বিরতি রেখেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে শুরু হবে সুপার লিগ।

প্রাথমিকভাবে প্রতি রাউন্ডের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবারের আসর শেষ করতে চেয়েছিলো সিসিডিএম। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সিদ্বান্ত বদল করেছে সিসিডিএম। কারণ, প্রচন্ড গরমের কারণে খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্পিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চলতি ডিপিএলে অংশ নিচ্ছে। এজন্য যে কোনো সময় বড় ধরণের ইনজুরিতে পড়তে পারে তারা।

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া ছয়টি দল হলো...

১। আবাহনী লিমিটেড

২। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

৩। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৪। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

৫। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

৬। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক এবং বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলবে শাইনপুকুর। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ মোহামেডান।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রেলিগেশন লিগে খেলবে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, সিটি ক্লাব এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এই পর্বে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। সব ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে যাবে। রেলিগেশন লিগেও প্রতি ম্যাচের পর দুদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে।


আরও খবর



আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




গুলিস্তানে ‘হিট স্ট্রোকে’ পথচারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তায় আলমগীর শিকদার (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আনোয়ার হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি বাসে করে হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে গুলিস্তান নামেন। ফ্লাইওভারের ওপরে গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। দেখতে পেয়ে প্রথমে তাঁর মাথায় পানি ঢালা হয়। তবে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম। তিনি জানান, দুই পথচারী ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পকেটে থাকা এনআইডি কার্ড ও বিভিন্ন ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তাঁর নাম পরিচয় জানা গেছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে মৃত আলমগীর শিকদারের বন্ধু আব্বাস মোল্লা জানান, আলমগীর পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা পেট্রল পাম্পের পেছনে থাকেন। মিরপুরে একটি ছাপাখানায় চাকরি করেন। সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মিরপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পরে ফোনের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর