আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কালীগঞ্জে শেখ রাসেলের নামে প্রতিবন্ধী স্কুল খুলে বাণিজ্য!

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শেখ রাসেলের নামের সাথে কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম যৌথ নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছে। শুধু তাই নয়, শেখ রাসেলের ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের নামের ডিজিটাল ব্যানার টাঙিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত ২০১০ সালে তরিকুল ইসলাম শমশেরনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেটি ঠিক মত চালাতে না পেরে ওই একই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গত দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় বলে ঘোষণা করেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এইসব শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপারে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছেন।

নিয়ম রয়েছে সরকার প্রধান শেখ পরিবারের কোন সদস্যের নাম বা নামের সাথে কোন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে হলে ট্রাষ্টি বোর্ডর অনুমোদন নিতে হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের কোন অনুমোদন না নিয়েই শেখ রাসেলের সাথে নিজের নাম ও ছবি জুড়ে দিয়েছেন কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে নয় ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।

শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরকুল ইসলাম জানান, আমি এলাকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্কুলটি চলছে। শেখ রাসেলের নাম ব্যবহারের প্রশ্নে বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে বাণিজ্যের ব্যাপারটাও তিনি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি ছাড়া শেখ পরিবারের নাম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। নাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হয়। যদি কেউ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর



নড়াইলে ধান ক্ষেতে প্রশিক্ষণ বিমানের জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলে বিলের মধ্যে ধান ক্ষেতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানে দুজন পাইলট চালক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি মধ্যপাড়ায় বিলে বিমানটি অবতরণ করে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চালক বিমানটি ধান ক্ষেতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বিমানটিতে দুজন চালক ছিলেন। এদের একজন সামান্য আহত হয়েছেন। যশোরের বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাদের যশোর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০ বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৫৫০টি বাস। দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এই বাসগুলো সার্ভিস দিবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়া হবে। মাত্র ৩৪টি লিজে আছে। গাড়ি লিজে চালাবো না। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও  বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিলো; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুট ছিলো, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিলো এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিলো।


আরও খবর



রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গোজাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সার বোঝাই একটি কার্গোজাহাজ ডুবে গেছে। এতে কার্গোজাহাজের ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কার্গোজাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোজাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গোজাহাজটি ডুবে যায়। কার্গোজাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত নিখোঁজ হয়।

তিনি আরও জানান, এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোজাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার বোঝাই করে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, রূপসা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক তিনটি টিম নৌযান নিয়ে রূপসা নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ডুবে যাওয়া কার্গোজাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি।

রূপসা নৌ-পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম শেখ জানান, তারা ডুবে যাওয়া জাহাজটি শনাক্ত এবং নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে ডিবি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বুয়েটে আন্দোলনের নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে কিনা পর্যবেক্ষণ করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন, ছাত্রশিবিরের বর্তমান সভাপতিও বুয়েটের। এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের টিম রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্ত করে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আন্দোলন সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর