আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাল থেকে শুরু সংসদ অধিবেশন, মানতে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশন। একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলা নিশ্চিতকরণে বেশ কিছু এলাকায় চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ অধিবেশন উপলক্ষে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে সকল প্রকার অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যে কোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো; ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং হতে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত হতে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত হতে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণীর সংযোগস্থল হতে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণীর পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।

একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: সংসদ অধিবেশন

আরও খবর



দোহারে পদ্মায় গোসলে নেমে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় কিশোরী জান্নাতুল (১৫)। সোমবার বিকেলে পদ্মানদী মৈনট ঘাট এলাকা থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার আনোয়ারের মেয়ে।

জানা যায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে মৈনট ঘাটে গোসলে নেমে হঠাৎ ডুবে যায়।

পরে স্থানীয়রা কুতুবপুর নৌ পুলিশের সদস্যদের খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা প্রায় সাড়ে ছয়টার দিকে নিখোঁজ জান্নাতুলকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরে জান্নাতুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল মোল্লঅ জানান, পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা মৈনটঘাটে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে জান্নাতুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিউজ ট্যাগ: মৈনট ঘাট

আরও খবর



বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু-কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে চারজন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন দিনের সফর শেষে, ঢাকা ছাড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। টানা দুইদিন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় শাহজালাল বিমান বন্দর ছাড়ে, তাকে বহনকারী বিমান। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সাথে বৈঠক করেন। রাতে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিলো নৈশভোজের আয়োজন।

বুধবার, তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কন্নোয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



পাঁচ বছরে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ, স্ত্রীর ৪৮গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের ৫ বছর ব্যবধানে স্থাবর, অস্থাবর, ব্যাংক আমানতসহ বিভিন্ন সম্পত্তি বেড়েছে ১৫৯ গুন। এছাড়া তার স্ত্রী সুমি আক্তার এইবার প্রার্থী হয়েছেন।

সেখানে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা ব্যবসাসহ সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৪৮ গুণ। রেজবি উল কবির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামা জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া সেই হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজবি উল কবিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও পেশা ব্যবসায়ী দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকলেও সেগুলো নিস্পত্তি হয়েছে। গত ৫ বছরে তার নিজের নির্ভরশীল উৎস থেকে আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যবসায় পুঁজি বেড়েছে। তবে ব্যাংক ঋণ কমেছে। পাঁচ বছর আগে তাঁর ব্যবসায় বাৎসরিক আয় ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৯ টাকা। বর্তমানে ৯৭ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। গত ৫ বছর আগে অস্থাবর সম্পদ ছিলো ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকের পরিশোধিত ঋণসহ অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫৪২ টাকা। যা আগের থেকে ১০০ গুন বেড়েছে। স্থাবর সম্পত্তি গত ৫ বছর আগে ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে ২৮০ গুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ টাকা।

বর্তমানে তিনটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৬ টাকা। ঋণের চাপ কমেছে ৪৩ শতাংশ। বার্ষিক আয়, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে গড়ে তার সম্পাদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ। গত ২০১৯ সালের হলফনামায় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ টাকা ঋণ ছিলো। গত ৫ বছর আগে তার মেসার্স পায়রা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করলেও এই বার সাথে যুক্ত করেছেন মেসার্স ফাতেমা রাইস মিল ও মেসার্স পায়রা স্বমিল এন্ড টিম্বার। তবে নগদ টাকা,নিজের নামের বাড়ি ও গাড়ি নেই।

গত ৫ বছর আগে যে সব খাত থেকে কোনো আয় ছিলোই না। শূণ্য থেকে সেই সব খাতে বর্তমানে ব্যবসায় পুঁজি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ টাকা দেখানো হয়েছে। কৃষি খাতে বছরে আয় ১ লাখ ১৫ হাজার ২শ টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। পেশা থেকে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ থেকে বাৎসরিক আয় ৮১ হাজার ৫০৩ টাকা।

এদিকে স্ত্রী সুমি আক্তার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই ও স্ব-শিক্ষিত উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি ব্যবসায়ী। রৈশি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ টাকা, ব্যবসায় পুঁজি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,কৃষি জমি ২.৫০ একর যার মূল্য ২০ লাখ টাকা,অন্যান্য পরিসম্পদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেন হলফনামায়। ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় রেজবি উল কবির জোমাদ্দার তার স্ত্রীর নামে শুধু মাত্র নগদ ২ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। স্ত্রীর গত ৫ বছর আগে কোনো আয় না থাকলেও গড়ে সব সম্পত্তি মিলিয়ে বেড়েছে ৪৮ গুন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,আমার বাবা ও মা মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পদের কারণে সম্পত্তি বেড়েছে। এছাড়া বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছি। আমার হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ করা আছে।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তার মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনার আনসার রোডে যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে পিকআপটিকে শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কে একটি ডাম্পট্রাক পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত ও ১২ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা গেলে চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর