দেখতে দেখতে
মহেন্দ্রক্ষণটি এসেই গেল। আজ বুধবারই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ২০২৩ ক্রিকেট
বিশ্বকাপের শুরুর দামামা বেজে যাওয়ার কথা। হওয়ার কথা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ‘ক্যাপ্টেনস ডে’ অনুষ্ঠান। হওয়ার কথা অংশগ্রহণকারী
দলের ১০ অধিনায়কের অফিসিয়াল ফটোসেশনও। ১০ অধিনায়ককে নিয়ে ‘ক্যাপ্টেনস ডে’ ও অফিসিয়াল ফটোসেশনপর্ব যথা সময়েই
হবে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না হওয়া নিয়ে একটা শঙ্কার খবর ছড়িয়ে পড়েছে গণমাধ্যমে। জি
নিউজিসহ ভারতের অনেক গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নাও হতে পারে। যদিও বিসিসিআই
(ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) এবং আইসিসি এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হোক না হোক, বিশ্বকাপ শুরুর দামামা আনুষ্ঠানিকভাবে আজই বাজবে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে মাঠের লড়াই। আহমেদাবাদের এই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই আগামীকাল উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ অক্টোবর, ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। ১০ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও বাংলাদেশ খেলবে এই ধর্মশালাতেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচ দুটি সামনে রেখে বাংলাদেশ দল আসামের গোহাটি থেকে এরই মধ্যে হিমাচল প্রবেশের ধর্মশালায় পৌঁছে গেছে। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে ধর্মশালায় যাননি। তিনি গেছেন আহমেদাবাদে, ‘ক্যাপ্টেনস ডে’র অনুষ্ঠান ও অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনপর্বে অংশ নিতে।
বিশ্বকাপ সামনে
রেখে প্রতিটি দলই শেষ সময়ের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতির ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেটাররা
নিজ নিজ দেশের মানুষকে শানাচ্ছেন আশাবাদের গান। দিচ্ছেন ভারতের মাটিতে ভালো কিছু উপহার
দেওয়ার প্রস্তুতি। বাংলাদেশের দলের তরুণ সদস্য তানজিদ হাসান তামিম যেমন গাইলেন আত্মবিশ্বাসের
গান।
বাংলাদেশের
জাতীয় ক্রিকেট দলে এখন দুই জন করে সাকিব-তামিম। নামের মিল ছাড়াও ‘দুই তামিমের’ মধ্যে আরও একটা বড় মিল আছে। ‘বড় তামিম’ (তামিম ইকবাল) ও ‘ছোট তামিম’ (তানজিদ হাসান তামিম), দুজনেই
ওপেনার। দুজনেই দলে থাকলে দারুণ একটা ব্যাপার হতো। কিন্তু তামিম ইকবাল (বড় তামিম) এবারের
বিশ্বকাপ দলে নেই। তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ দলে না থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি।
এখনো হয়তো তামিম ইকবাল ভক্তদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকের মনেই শঙ্কা— বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল অভিজ্ঞ
তামিম ইকবালের শূন্যতায় ভুগবে!
এমন শঙ্কা যারা করছেন, তারা আশ্বস্ত হতে পারেন ছোট তামিমের আত্মবিশ্বাসের কথা শুনে। প্রতিভা আর সামর্থের প্রমাণ দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। আছেন বিশ্বকাপ দলেও। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা তার সুখবর হয়নি। এ পর্যন্ত ৫টি ওয়ানডে খেলে ৪ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে সেই ৪ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৩৬ রান! ডাক মেরে শুরু। পরের তিনটি ইনিংস ১৩, ১৬ ও ৫ রানের। রানের হিসেবে শুরুটা চরম হতাশাজনক। তবে সেই হতাশা তানজিদ তামিম কাটিয়ে উঠেছেন বিশ্বকাপের আগে খেলা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে।
ভারতে গিয়ে
শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে ৮৪ ও ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন
তানজিদ হাসান তামিম। যা তার আন্তর্জাতিক অভিষেকের হতাশা মুছে দিয়ে তাকে আত্মবিশ্বাসী
করে তুলেছে। স্বপ্নের বিশ্বকাপের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের প্রতি সেই আত্মবিশ্বাসের গানই
গাইলেন তিনি, ‘আলহামদুলিল্লাহ যেটুকু হয়েছে..এখান থেকে (প্রস্তুতি ম্যাচে) যে আত্মবিশ্বাসটা
পেয়েছি, আশা করি তা পরের স্ট্যাজে (বিশ্বকাপে) কাজে লাগবে।’