বেড়া-সাথিঁয়া(পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনা কাজিরহাট ফেরিঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া ও গাড়ির টোল আদায়ে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে ঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
ঘাটে প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং বিআইডব্লিউটিসি এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঘাট ইজারাদার ও ঘাটের কিছু দালালদের দৌড়াত্বের কারণে এ রুটে যানবাহন আসা বন্ধ হওয়ার আসংখা রয়েছে।
ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের এক সময়ের একমাত্র যাতায়াতে মাধ্যম ছিল কাজিরহাট আরিচা নৌরুট কিন্তু দুই যুগ আগে যমুনা নদীর পূর্বে টাংগাইল জেলার ভূঞাপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার অংশ নিয়ে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ঠ বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু সেতুটি ১৯৯৮ সালে ২৩শে জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই কাজিরহাট আরিচা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সরকার বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানোর জন্য কাজিরহাট আরিচা নৌ-রুটে পূনরায় ফেড়ী চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক গত ২৭শে ফেব্রয়ারী ২০২১ সালে ঘাটটি ৪টি ফেরি দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম নৌ-পথ পাবনা কাজিরহাট-আরিচা ঘাট। প্রতিদিন প্রায় এই রুটে শত শত হালকা, মাঝারি ও ভারী যানবাহন পারাপারসহ সাধারণ যাত্রীরাও পারাপার হয়ে থাকে এই রুটে।
কিন্তু ঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির টোল আদায় করছে বিআইডব্লিউটিসি এর কর্মকর্তারা। এমনই অভিযোগ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারদের।
সেই সাথে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকেও ৩৬ টাকার ভাড়া ৪৫/৫০ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে।
এদিকে এ ঘাটে নিয়ম না মেনে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলে স্পিডবোর্ড। তবে স্পিড বোডে মাত্র ১৮/২০মিনিটের পাড়াপাড়ের ভাড়া বেশি বলে মনে করেন পারাপারত যাত্রীরা। শুধু ভাড়া বেশিই নয় ধারণ ক্ষমতার বাইরে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। বেশির ভাগ বোর্ডে ব্যবহার করা হয় না সেফটি জ্যাকেট। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
কাজিরহাট ঘাটে গত ৩ বছর আগে পথচারী যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ওয়াশ রুম তৈরী করলেও উদ্বোধনের পর আলোর মুখ দেখে নাই যাত্রীরা।
আরিচা ঘাটের দায়িত্বে থাকা ইজারাদারের লোকদের কাছে অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন।
ঘাট ইজারাদারের লোক বিআইডব্লিউটিসি এর কর্মকর্তা মোঃ ফখরুজ্জামান তিনি নিজেদের ডিপার্টমেন্টের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করলেও ঘাটে কিছু দালাল আছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সবুর আলী বলেন, যাত্রীদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঘাটের রাস্তা প্রসারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
সকল অনিয়ম রোধ করে ঘাটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।