স্বাধীনতার পর
সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে নানা নিত্যপ্রয়োজনীয়
পণ্যের আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাগজও। ফলে পরীক্ষায় বসতে পারছে না দেশটির
স্কুলপড়ুয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
আগামী সোমবার শুরু হয়ে স্কুলগুলোতে এক সপ্তাহ সাময়িকী পরীক্ষা চলার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কায়
প্রায় ৪৫ লাখ স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে কাগজের অভাবে তাদের তিন ভাগের দুই ভাগই পরীক্ষা
দিতে পারবে না।
স্কুলে সাময়িকী
পরীক্ষাগুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ। এর ফলের ভিত্তিতেই কোনো শিক্ষার্থী বছর শেষে
পরের শ্রেণিতে উঠতে পারবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রীলঙ্কার ওয়েস্টার্ন
প্রভিন্সের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে প্রয়োজনীয় কাগজ
ও কালি আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে স্কুলের অধ্যক্ষরা পরীক্ষা নিতে পারছেন না।
অর্থসংকটের জেরে
শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কমে এসেছে দেশটির
খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মজুত। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে কলম্বো। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে
জানিয়েছে আইএমএফ।
চলতি বছরে শ্রীলঙ্কাকে
৬৯০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির হাতে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ২৩০ কোটি ডলার। সংকট মোকাবিলায় বছরের শুরুতে চীনের
কাছে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে সহায়তা চায় শ্রীলঙ্কা। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে
কোনো সাড়া দেয়নি বেইজিং।