আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনায় স্থবির হয়ে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আসস্মিক সংঘাতে জড়িয়েছে বহুমবার দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে এটি রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। গত ১ বছর সংগঠনটির বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিপযস্ত হয়ে পড়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলো।

অবশেষে শান্তি ফেরাতে এক বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্ধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের বাসায় ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুই ধাপে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অনুসারী মধ্যে এসব দ্বন্দ্ব সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী।

দুই গ্রুপের এ দ্বন্ধ সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তাঁরই আপন তিন ভাগনে। তাঁরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু,ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সিরাজিস সালেকিন রিমন। তিন ভাগনে কাদের মির্জার ৪৮ বছরের রাজনীতির ক্যারিয়ারকে টেক্কা দিয়ে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেয় তাঁর প্রতিপক্ষ গ্রুপকে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ শিবিরের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায় তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ গ্রুপের অনত্যম নেতা উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন,চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মাহবুবুর রহমান আরিফ। এ সময় কাদের মির্জার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, এডভোকেট শংকর ভৌমিক ও এডভোকেট শাহেদুর রহমান তুহিন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাজ্জাদ রোমন।

বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুউদ্দিন নোমান বলেন, সমঝোতা বৈঠক খবর চাউর হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। শান্তি ফেরাতে এ বৈঠককে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন আছে বলেও মাঠ পর্যায়ে এ নেতা মন্তব্য করেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তাঁর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরজিস সালেকিন রিমনের বলেন, গত প্রায় দেড় বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে চলমান পরিস্থিতির আলোকে সেতুমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের স্বমনয়ে উপজেলার পরিবেশকে শান্ত করে সবাই যাতে অবাধে চলাচল ও রাজনীতি করতে পারে এ জন্য সমঝোতা বৈঠকের প্রথম ধাপে রাজনৈতিক মামলা গুলো প্রত্যাহরের সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও এখনো ভয়ভীতিতে অবাধে বসুরহাট বাজারে চলাচল করতে পারেনা। গুটি কয়েক বখাটে নেতৃবৃন্দকে দেখলে এখনো গালমন্দ করে ইভটিজিং করে নানা ভাবে অপদস্ত করতে চায়। তারপর বাসস্ট্যান্ডের সমস্যা। বসুরহাট হাইস্কুল এবং সরকারি মুজিব কলেজে এক পেশে রাজনীতিসহ রাজনৈতিক বৈষম্য। সব মিলিয়ে এসব সমস্যা গুলোকে স্থিতিশীল করতে বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

তিনি আরও বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে গত দেড় বছরের দ্বন্দ্ব সংঘাতে ২টি হত্যা মামলা, ৮টি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলাসহ পাল্টাপাল্টি প্রায় ৬০টি মামলা হয়। এ ছাড়া কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিপক্ষরা কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা গুলো বিহিত করার জন্য প্রশাসন আন্তরিক। এরপর কোন পক্ষের অনুসারী গন্ডগোল সৃষ্টি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।

সমঝোতা বৈঠকের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন মামলা প্রত্যাহারে সমঝোতা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে গত কয়েক দিন কয়েক বার সমঝোতা সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়। দুই গ্রুপের যতগুলো মামলা আছে সব মামলা গুলো সমাঝতার মাধ্যমে শেষ করা হবে। এখন থেকে নতুন করে কেউ কোনো প্রকার ঝগড়া পাষাদ মারামারি বা কাউকে কেউ অপমান করতে পারবে না । আমরা সবাই সমঝোতা চাচ্ছি। সবাই মিলে মিশে একসাথে কোম্পানীগঞ্জে থাকব। কোম্পানীগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে মানুষের জান মালের হেফাজত করা হবে।

তিনি আরও বলেন,  গতকাল নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় । ওনারা আশ্বস্ত করেছেন সমাঝতার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। ওনাদের পরামর্শ নতুন করে কোন বিরোধ করা যাবে না। কেউ নতুন করে কিছু করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিবেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন করে কাউকে কোনো প্রকার ঝগড়া পাষাদে না জড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার সভাপতিত্বে কোম্পানীগঞ্জে পুনরায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই পক্ষ দ্বন্দ্ব সংঘাত থেকে বিরত থাকলে প্রশাসন তাদেরকে আইনানুগ সহযোগিতা করবে।


আরও খবর



মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে একটি যাত্রীবাহী নৌকা (ফেরি) ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করা এই নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গত শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নৌকাডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

নাগরিক সুরক্ষা প্রধান থমাস ডিজিমাসে বলেন, উদ্ধারকারীরা পানি থেকে ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পানির নিচে থাকা মোট লোকের সংখ্যা আমরা জানি না।

অবশ্য নৌকা দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বহু মানুষ বাঙ্গুইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।


আরও খবর



গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজে অসন্তোষ, নতুন প্রকল্প না নেওয়ার সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক এ সুপারিশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। এ সময় কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মো. মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, মো. শাহরিয়া আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্ম বণ্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়।

এ সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তকরণ এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্য ক্ষমতা ও বিধি বিধান রয়েছে কি না তার তথ্য উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।


আরও খবর



সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে আসছে ‘মিস এআই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। মূলত বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটরদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

পুরস্কার হিসেবে মিস এআই বিজয়ীকে দেয়া হবে নগদ ৫ হাজার ডলার। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের কোনো দেশের ক্রিয়েটররা তাদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন মিস এআই প্রতিযোগিতায়। তবে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

জানা গেছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড নারী মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে ওপেনএআই এর ডাল-ই ৩ মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

তবে প্রতিযোগীদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলোতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।


আরও খবর



এসএসসির ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে। এরই মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মেএই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।


আরও খবর



চবির অধিভুক্ত হলো আরও চারটি কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের আরও চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চবি অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯টি। রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নয়টি (পুরাতন পাঁচটিসহ) কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায়, উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নতুন চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  হলো- সরকারি সিটি কলেজ, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজ।

এর আগে চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর