আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাদের মির্জা-বাদলকে আসামি করে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের বিরোধের জেরে এবার আদালতে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলার জন‌্য আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোছলেউদ্দিন মিজানের আদালতে এই দুটি মামলার আবেদন করা হয়।

মামলা দুটির বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশীদ হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট শংকর ভৌমিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, বিকেলে দুটি মামলার অভিযোগের ওপর শুনানি হবে।

একটি মামলার বাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান  আরা পারভিন।  তিনি তার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেছেন।

অপরদিকে,উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সালাউদ্দিন পিটন বাদী হয়ে মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলার আবেদন করেছেন।

এরআগে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় ওই দুই বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আরজুমান পারভীন জানান, ৯ থেকে ১৩ মার্চ শনিবার পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও পুলিশের টালবাহানায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করাতে পারিনি।

অপরদিকে,নিহতের ছোট ভাই মো. এমদাদ হোসেন জানান, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেওয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত, আহত ৬

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয় শ্রমিক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-মোস্তফা (৫৫) এবং মিলন (৩৫)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুরে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে আহত মোট আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বজ্রপাতের পর ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত।

শরণখোলা থানার ওসি বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ও সংহতি জানানোয় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ, বিক্ষোভ–সম্পর্কিত সংবাদ ও আদালতের নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে অধ্যাপকদের গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃত অধ্যাপকদের কেউ কেউ পুলিশের মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের সূচনা করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েল সরকার ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

পরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন। এই সময়ে আমেরিকায় আড়াই হাজারের বেশি ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক শিক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। এ সময় পুলিশের পাল্টা বাধার মুখে পড়েন তিনি। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এই নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক পুলিশ সদস্য। আটকের পর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ তামারি। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তাঁর পাঁজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্প্রতি বিক্ষোভে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ অধ্যাপক। সেই অধ্যাপকদের একজন গ্রায়েম ব্লেয়ার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়েই বিক্ষোভে যোগ দেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। সেদিন তিনি গ্রেফতার না হলেও তার অন্তত চার সহকর্মী অধ্যাপককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস। সংগঠনটির সেন্টার ফর দ্য ডিফেন্স অব একাডেমিক ফ্রিডমের পরিচালক আইজ্যাক কামোলা গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।


আরও খবর