প্রস্তুতি শেষ এবার মাঠে নামার পালা। ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডকে আমলে না নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ম্যাচ
মাঠে গড়াবে দুপুর ১২টায়।
এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের সামনে
পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড যে বেশ শক্তিশালী। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা।
বাটলার-জ্যাকসদের মতো বাঘা বাঘা ব্যাটার
ছাড়াও দলটিতে রয়েছে আর্চার-রশিদদের মতো বিশ্বসেরা বোলার। যারা বাংলাদেশের ব্যাটারদের
জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।
অন্যদিকে সফরকারী ইংল্যান্ডের চিন্তার
অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের স্পিনিং উইকেট। এর আগে ২০১৬ সালে মিরপুরে স্পিন উইকেটের
ফায়দা নিয়ে ইংলিশদের টেস্টে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল সাকিব-তামিমরা। বরাবরই ইংল্যান্ড,
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো স্পিনের বিপক্ষে বেশি ভোগে।
তাই ফের একবার স্পিন দিয়েই হয়তো ইংলিশদের কুপোকাতের ছক কষছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কন্ডিশন সহজ হবে না তা ভালো
করেই জানা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের। প্রেস কনফারেন্সে বাটলার বলেছেন, ‘আমরা জানি, এখানকার
কন্ডিশন কতটা কঠিন হতে পারে। সামনে যেহেতু ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তাই আমরা
এই ধরনের কন্ডিশনে নিজেদের পরীক্ষায় ফেলতে চাই। দল হিসেবে আমরা দারুণ ছন্দে রয়েছি,
আশা করছি ভালো কিছুই হবে।’
এদিকে ইংল্যান্ডকে পূর্ণশক্তির দল মনে
করছেন না বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে
তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডকে হারাতে আমরা পূর্ণশক্তির দল নিয়েই খেলবো।
আমার মনে হয় না তারা পূর্ণশক্তির দল নিয়ে এসেছে, তাদের কয়েজন টেস্ট খেলছে। আমাদের দক্ষতা
ও শক্তির ওপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, আশা করছি ভালো কিছুই হবে।’
ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি না স্পিনিং কেমন হবে
প্রথম ওয়ানডের উইকেট। তা বলা মুশকিল। কারণ ক্ষণে ক্ষণে যে রং বদলায় শেরেবাংলার উইকেট।
অতীত অভিজ্ঞতা অন্তত সেই বার্তাই দেয়। তবে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশে স্পিনারদের
প্রাধান্য থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে ইংলিশরাই। ২১টি
ওয়ানডেতে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। যেখানে ১৭টিতে
জয় ইংলিশদের আর বাকি ৪টিতে জয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ অতীত পরিসংখ্যান
ছাপিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার। পারবে কি সাকিব-তামিমরা সাম্প্রতিক সব আলোচনা-সমালোচনা পেছনে
ফেলে মাঠে শতভাগ উজাড় করে দিতে, তা তো সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল
হাসান শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন
ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:
জেসন রয়, ফিল সল্ট, জেমস ভিন্স, ডেভিড
মালান, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, জোফরা আর্চার, ক্রিস ওকস, স্যাম
কারান, আদিল রশিদ, মার্ক উড।