অনলাইনভিত্তিক গরুর হাটে আগ্রহ বাড়ছে জয়পুরহাটের খামারিদের। হাটের বিড়ম্বনা এড়াতে খামার থেকেই বিক্রি করছেন যত্নে পালন করা এসব গরু। ক্রেতারাও খুশি এমন উদ্যোগে। এই উদ্যোক্তাদের গরুর বিক্রির ৮০ শতাংশ ক্রেতাই অনলাইনের সদস্য। একটু কম দামে হলেও খামার থেকে বিক্রি করাটাই ভালো বলে জানান তারা। প্রান্তিক খামারীদের এমন উদ্যোগে পাশে থাকার আশ্বাস প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নারী উদ্যোক্তা রহিমা খাতুন। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন বিদেশি উন্নত জাতের গরুর খামার। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পরম যত্নে লালন পালন করা এসব গরু তিনি বিক্রি করেন অনলাইনে। রহিমা খাতুন বলেন, আমার এখানে বিভিন্ন জাতের গরু যেমন হরিয়ানা, ব্রাহামা , গিরিবাজসহ আরও অনেক উন্নত জাতের গরু আছে। আমার সব গরু অনলাইনে বেচা-কেনা হয়।
অনলাইনে গরু বিক্রি করা আরেক উদ্যেক্তা জানায়, আধুনিক যুগে মানুষ অনেক সচেতন। এখন অনলাইনের মাধ্যমেই কেনা বেচা সব কিছুই সহজে করা যাচ্ছে। এখন আমরা অনলাইনে গরু বিক্রি শুরু করেছি।
খামারে কাজ করা এক কর্মচারি জানায়, খামারে কাজ করে আমাদের বেকারত্ব দূর হয়েছে এবং পরিবার নিয়ে অনেক ভাল আছি।
এদিকে এমন অনুকরণীয় উদ্যোগের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের জেলা ট্রেনিং অফিসার ডা. খুরশিদ আলম বলেন, হাটে বাজারে গরু কেনা-বেচা অনেক কষ্টসাধ্য। সে তুলনায় অনলাইনে গরু ক্রয়-বিক্রয় অনেক সহজ। তাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এরকম আরও উদ্যেক্তা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।