
জয়পুরহাটে নেপাল
দাস (৩৫) নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে
আনার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি
বিভাগের রেজিস্টার খাতায় নেপাল দাসের ঠিকানা ‘২০ বিজিবি, জয়পুরহাট’ লেখা রয়েছে। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার
মেঘচামী গ্রামের নারায়ণ দাসের ছেলে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৮
নভেম্বর) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা হাসপাতাল মর্গে লাশ রেখে পাহারা
দিচ্ছেন। এর কিছুক্ষণ পর ময়নাতদন্ত শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে
যান তারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা জানান, সকাল ১০টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানানো হবে।
কিন্তু এ ঘটনায় পরে আর কোনও প্রেস ব্রিফিং হয়নি। আর নেপাল দাস কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন
সে বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
জয়পুরহাট আধুনিক
জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে
নেপাল দাস নামে এক বিজিবি সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের লাশ
কাটা ঘরের ডোম মো. মান্নান জানান, নেপাল দাসের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
জয়পুরহাট সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায়
জেলা হাসপাতালের চিকৎসক নুরুন্নবী বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা
(ইউডি) করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ জয়পুরহাট-২০ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।