দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে জয়পুরহাটের
ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে তিনটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ
ভোট পাওয়া দু’জন নারী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ওই পদে কাউকেই বিজয়ী
ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে ওই পদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে আবারও ১৬ গ্রামের মানুষ
ভোট দেবেন।
আগামী বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে
বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই তিনটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সমান ভোট পাওয়া ওই
দুজনই প্রার্থী থাকবেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়
সূত্রে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য
পদে নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬টি গ্রামে ৬ হাজার ৭৭৫ ভোটার রয়েছে। গত ১১
নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ওই তিন ওয়ার্ডের ৫ হাজার ২৪৬ জন ভোটার মামুদপুর দ্বি-মুখী
উচ্চ বিদ্যালয়, মামুদপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদরাসা ও এতিমখানা এবং আয়মাপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এর মধ্যে ত্রুটির কারণে ৩৮৯ ভোট অবৈধ ঘোষণা
করা হয়। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৮৫৭ ভোটের মধ্যে সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী আনোয়ারা বিবি
(বই প্রতীক) পেয়েছেন ২১৪ ভোট, ফেন্সী বিবি (মাইক প্রতীক) পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৯ ভোট এবং
অপর দুই প্রার্থী রেখা বিবি (হেলিকপ্টার প্রতীক) ও সাজেদা বেগম (বক প্রতীক) উভয়েই সমান
সংখ্যক ১ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়েছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আনিছার রহমান বলেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ওই দুই প্রাথী
সর্বোচ্চ ও সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। ভোটের ফলাফল নির্বাচন
কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ নভেম্বর ওই তিনটি
কেন্দ্রে আবারও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সমান ভোট পাওয়া রেখা বিবি (হেলিকপ্টার প্রতীক)
ও সাজেদা বেগম (বক প্রতীক) দুজনই এবার প্রার্থী থাকবেন।
এর আগে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাটের
ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।