রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয়
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে জয়পুরহাট জেলার তিনটি থানায় বিএনপির স্থানীয় ৪৫০ নেতা-কর্মীদের
আসামি করে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিন উপজেলাতেই
বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠক করেছেন। তিন স্থান থেকেই ককটেল
উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এসব মামলা হয়েছে। বিএনপি নেতাদের দাবি, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য
বৃদ্ধি প্রতিবাদসহ জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি সারা দেশে সমাবেশ করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও গণসমাবেশ হবে। ওই সমাবেশে যেন স্থানীয় নেতারা কর্মীদের
সংগঠিত করে নিয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্যই মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা
গেছে, সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি ও কালাই থানায় বিএনপির স্থানীয় ৫০ জন
নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ জন নেতা-কর্মীকে মামলার আসামি করা হয়েছে। সব মামলারই
বাদী পুলিশ।
এ নিয়ে জানতর
চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তুলে পুলিশ
জেলার তিনটি থানায় তিনটি গায়েবি মামলা করছে। এ সব মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত
প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের মূল উদ্দেশ্য হলো, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ
জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে বিএনপির আসন্ন সমাবেশ বাধাগ্রস্ত ও পণ্ড করা।
বিএনপির জাতীয়
নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য মিথ্যা
মামলা করছে। কিন্তু এসব করে সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। সব বাধা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে
নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হবে বলে আমরা বিশ্বাসী।
জেলার পুলিশ সুপার
মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার চেষ্টা করেছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামতও সংগ্রহ করেছে। এটাই প্রকৃত ঘটনা। সে অনুযায়ীই আইনগত ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে।