আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। আলু চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও জমিতে আলুর বীজ রোপণের কাজ শেষ হয়নি। পাঁচটি উপজেলাতেই সরেজমিনে দেখা গেছে কৃষকেরা নিবিড়ভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু রোপনের কাজ করছে। ইতোমধ্যেই জেলার ৭৫ ভাগ আলু রোপন করা হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৯০ ভাগ আলু রোপন করা হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায় জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ বোপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। উপজেলা ভিত্তিক আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ৭ হাজার ১৫৫ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৮ হাজার ১০৫ হেক্টর, কালাই উপজেলায় ১০ হাজার ৬১০ হেক্টর ও আক্কেলপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমি। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২০ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এবার হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ধরা হয়েছে ২৪ মেট্রিক টন আলু।

এবার বিঘা প্রতি আলু খরচের কথা জানতে চাইলে ক্ষেতলাল উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক শাহারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতি বিঘায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে ভালো ফলন হলে এবং দাম ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, আলু চাষ সফল করতে জেলায় সারের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। নভেম্বর মাসের মজুদ সারের পরিমান ছিল ইঊরিয়া ৩ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন, টিএসপি ২ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন, এমওপি ৩ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন ও ডিএপি ২ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন। এর সঙ্গে ডিসেম্বর মাসের চাহিদার মধ্যে রয়েছে ইঊরিয়া ৫ হাজার ৩৪৫ মেট্রিক টন, টিএসপি এক হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন, এমওপি এক হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন ও ডিএপি এক হাজার ৭৮৮ মেট্রিক টন সার। সরকারের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের ফলে রাসায়নিক সারের সংকট নেই জয়পুরহাটে।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে ক্ষেতলাল উপজেলার দাসরা খানপাড়া গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু লাগাবেন কিন্তু প্রয়োজন মতো সার ডিলারের কাছে পাচ্ছেন না। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে সার সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাকে।

বিএডিসির বীজ বিপণন বগুড়া ও জয়পুরহাট অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোহা. জাকির হোসেন বলেন, উন্নত জাতের আলুর বীজ ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি প্রকার ভেদে সাড়ে ৩০ টাকা থেকে সাড়ে ৪২ টাকা পর্যন্ত বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী এবার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং বাজারে পর্যাপ্ত বিএডিসি আলুবীজ সরবরাহ রয়েছে।

ভালো মানের কারণে বিএডিসির উচ্চ ফলনশীল এ্যাস্টোরিক জাতের আলুবীজের চাহিদা একটু বেশি বলে জানান, উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন।

জেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম। জয়পুরহাটের আলু উন্নত মানের হওয়ায় গত বছর দেশের গন্ডি পেরিয়ে ৯টি দেশে রপ্তানী করা হয়েছিল। প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে। গত বছর আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলন ভালো হওয়ায় জেলায় গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, ও রোজেটা জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। জেলার ১৫টি হিমাগারে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব, বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।


আরও খবর



বাসে আগুন দেওয়ার পর ভিডিও পাঠানো হতো লন্ডনে: ডিবিপ্রধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিউমার্কেট থানার গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় ৪ নভেম্বর মিরপুর সুপার লিংক লিমিটেড বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিবি) গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- তানভীর আহমেদ (২৭), দেলোয়ার হোসেন (৫১) ও মো. ফারুক হোসেন (৪৩)।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে তানভীর আহমেদ ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পাঠাগার সম্পাদক। দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও ফারুক হোসেন বিএনপির সক্রিয় সদস্য।

ডিবির দাবি, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে তানভীর বলেছেন- আগুন লাগানোর পর সিনিয়র নেতাদের তারা ভিডিও পাঠাতেন। লন্ডন ও ঢাকার ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছেও ছবি-ভিডিও পাঠানো লাগতো। মঙ্গলবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগকারী তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর নিউমার্কেট যাত্রী ছাউনির পাশে যে বাসটিতে আগুন লাগানো হয়েছিল সে বাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় ডিবি-উত্তরা বিভাগ তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার তানভীর আহমেদই সেদিন বাসটিতে আগুন দেয়।

সেদিন বাসে আগুন দেওয়ার পর তিনি নিজের ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে আগুন লাগানোর কথা জানান তার এক বন্ধুর কাছে। কথোপকথনে তানভীর লিখেছেন, আগুন লাগিয়ে কী হবে? আমরা আগুন লাগাচ্ছি আর লন্ডনে যারা আছেন তারা ভালো আছেন। উল্টো আগুন দিতে গিয়ে আমরা ধরা পড়ছি।

এমন কথোপকথন তিনি করেছেন। তাকে যখন ডিবিতে নিয়ে আসা হলো তখন তিনি স্বীকার করেছেন এটি তিনি লিখেছেন।

আরও পড়ুন>> বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের জান্নাতুল

ডিবির কাছে তানভীর বলেছেন, আমরা আগুন লাগাচ্ছি, ককটেল নিক্ষেপ করছি কিন্তু জেলে গেলে আমাদের দেখার কেউ নেই। যারা নির্দেশ দিচ্ছেন তারা কোথাও লুকিয়ে আছেন অথবা বিদেশ গিয়ে অবস্থান করছেন।

তানভীরকে রিমান্ডে আনা হয়েছে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, অনেকের নাম ও নম্বর পেয়েছি। তানভীরের সঙ্গে আর কারা কারা ছিল এসব বিষয় জানা যাবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া থাকে, আগুন লাগানোর পর দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের ছবি-ভিডিও দেখাতে হবে। আগুন দেওয়ার সময় মুখে মাস্ক ও রুমাল ব্যবহার করতে হবে। যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আগুন দিতে হবে। নিয়ম হলো আগুনটা লাগানোর পরে বড় ভাইদের খুশি করার জন্য টাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ককটেল কিনে এনে ককটেল নিক্ষেপ করছে আবার কোথাও পেট্রল ঢেলে আগুন দিচ্ছে।

হারুন বলেন, ডিবির বিভিন্ন টিম অনেককে আইনের আওতায় এনেছে। তাদের মধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। কে কে তাদের সহায়তা করছে তাদের নামও আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, কোনো বড় ভাইয়ের কথায় যদি আগুন লাগান, ককটেল নিক্ষেপ করেন আসামি-তো আপনিই হবেন। টাকা পেয়ে ধরা পড়ার পর বড় ভাইদের নাম বললে কোনো লাভ হবে না। যারা আগুন দেবেন তারাই ধরা পড়বেন, তারাই মামলা খাবেন আর বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যারা করছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন তাদের বলেন, যার গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছেন তার হয়তো জীবনের শেষ সম্বল বিক্রি করে প্রতিদিনের রোজগার হিসেবে তিনি বাসটি চালান। আপনারা যে বাসটি পুড়িয়ে ফেলছেন আসলে একজন মানুষের স্বপ্ন পুড়িয়ে ফেলছেন। তার চলার আর পথ রইল না। জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে জনগণের কথা বিবেচনা করে আগুনের পথ থেকে সরে আসুন। নয়তো থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ যে কাজ করছে আপনারা অবশ্যই গ্রেফতার হবেন। লুকিয়ে থাকলেও পার পাওয়া যাবে না। বাকি যারা আছেন তাদেরও আমরা আইনের আওতায় আনব। যে গর্তেই ঢুকে থাকুক নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করা হবে।

লন্ডন থেকে কোনো নির্দেশনা আসছে কিনা জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা অনেককে গ্রেফতার করেছি। তারা বলছে, আগুন লাগানোর পরে সিনিয়র নেতাদের ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে লন্ডন ও ঢাকার ঊর্ধ্বতন নেতাদের কথাও বলেছেন।

আগুন লাগানোর পরে গ্রেফতাররা অনুতপ্ত কিনা জনাতে চাইলে তিনি বলেন, আগুন লাগানোর শেষ কোথায় তারাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা ধরা পড়লে জামিনের জন্য তাদের বড় ভাইয়েরা কাজ করবে কিনা এ নিয়েও গ্রেফতাররা উদ্বিগ্ন।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, গতকাল সোমবার হরতাল ছিল। হরতালের মধ্যেও প্রচুর গাড়ি বের হয়েছিল, যানজট লেগেছিল। সাধারণ মানুষ আগুন, ককটেল পছন্দ করছে না। আমরা বারবার বলছি, নাশকতা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে পুলিশ ডিমোরালাইজড হবে না।


আরও খবর



মোংলায় ৮০০ টন কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজ ডুবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

জেলার মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নামক কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পশুর নদীর কানাইনগর সংলগ্ন এলাকায় তলা ফেটে লাইটারটি ডুবে যায়।

এরআগে, সকাল পৌনে ৯টার দিকে চরে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে কানাইনগর এলাকায় আটকে যায় ৮০০ টন কয়লা বোঝাই জাহাজটি। তবে লাইটারে থাকা ১২ জন কর্মচারী তাৎক্ষণিকভাবে সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

লাইটারটি হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। জাহাজটি ডুবে গেলেও চ্যানেলে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটি কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া ঘাটে যাচ্ছিল। পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে চরে ধাক্কা লেগে লাইটারটির তলা ফেটে যায়। পরে দুপুরের দিকে জোয়ার আসলে লাইটারটি ডুবে যায়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মালিকপক্ষ লাইটারটিকে উদ্ধার করবেন বলে জানান এই শ্রমিক নেতা।


আরও খবর



মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কে গাংনীর আকুবপুর নামক স্থানে বালু বোঝায় ড্রাম ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সায়েম নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে তার বন্ধু বকুল।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকসহ চালক আলামিন ও হেলপার মারুফকে আটক করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম জানান, গাংনী উপজেলা মটমুড়া ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের হাসেম আলী বিশ্বাসের ছেলে স্থানীয় হাজি ভরস উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র সায়েম ও তার বন্ধু আনারুল ইলামের ছেলে বকুল মোটরসাইকেলযোগে খলিশাকুন্ডি যাচ্ছিলেন। আকুবপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা বালু বোঝায় ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট- ১৩-২৪১২) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজনই মারাত্মক জখম হয়। দুমড়ে মুচড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে বেলা ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েমের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি জব্দ করার পাশাপাশি ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। এরা হচ্ছে ড্রাইভার কুষ্টিয়ার জুগিয়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আলামিন ও হেলপার একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মারুফ।

ওসি আরো জানান, এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



এমপি রমেশের আয় বেড়েছে ৮ হাজার গুণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

গত ১০ বছরে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের আয় বেড়েছে সাড়ে আট হাজার গুণ। ২০১৪ সালে তার ছিল ৩৫৯ টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৪৯৭ টাকা। এই হিসেবে বেড়েছে ৮ হাজার ৬৩৯ গুণ। গত তিনবারের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী এই তথ্য মিলেছে।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে ষষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন রমেশ চন্দ্র সেন। নিয়ম অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেন হলফনামা। গত ১০ বছরে তার জমির পরিমাণ বাড়েনি। তবে কিছু পরিমাণ আয় বেশি দেখানো হয়েছে এ খাতে।

২০১৪ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, এমপি সেনের বার্ষিক আয় কৃষি থেকে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৮ টাকা ও সম্মানী বাবদ ১৭ লাখ ২২ হাজার ৩০০ টাকা। এবারের হলফনামায় কৃষি খাতে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা ও সম্মানী বাবদ ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৯ টাকা, ব্যাংক মুনাফা ৫৪ হাজার ২২৪ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। ২০১৪ সালে তার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের কোনো আয় দেখানো হয়নি। ২০১৮ সালে নির্বাচনী হলফনামায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ ছিল; এবার হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

এবার রমেশ চন্দ্র সেনের নামে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার দামের বাড়ি, ঢাকার উত্তরায় ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমির ওপর দোতলা বাণিজ্যিক ভবন দেখানো হয়েছে, যার নির্মাণ খরচ দেখানো হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। হলফনামার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমি সব সময় হলফনামায় সঠিক তথ্যই দিয়ে থাকি। এবারও আমার যা সম্পত্তি আছে সেটাই দেখানো হয়েছে।


আরও খবর



পোষা বিড়ালের কামড়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদরের পোষা বিড়ালের কামড়ে মৃত্যু হলো বাবা ও ছেলের। পোষা বিড়াল ভেবে কেউ কামড়কে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই অবহেলাই মৃত্যু ডেকে আনে দুজনের। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত ব্যক্তি আকবরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি স্থানীয় সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার ছেলের বয়স ২৪ বছর। অনেকদিন ধরে বাড়িতে বিড়াল পালেন তারা। হঠাৎই তার আচরণে বদল দেখা যায়। একদিন বিড়ালটি দুজনকে কামড় দেয় ও আঁচড় দেয়। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে রেবিস ভাইরাসের সংক্রমণে, যাকে জলাতঙ্ক বলা হয়। কিন্তু কীভাবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলেন ওই দুজন, সে বিষয়ে খোজ চালাচ্ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তখনই জানা যায়, বিড়ালটিকে কিছু দিন আগে একটি কুকুরে কামড়েছিল। তার পর থেকেই তার আচরণ বদলে যায়।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিড়ালটির শরীরে রেবিস ভাইরাস প্রবেশ করে তখনই। এর পর বিড়ালটি তার মনিবদের কামড়ালে তারাও আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পোষা বিড়াল বলে চিকিৎসকের কাছে যাননি তারা।


আরও খবর