আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জ্বালানি তেল সংকট: চলাচল বন্ধ জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে জ্বালানি তেল সংকটের কারণে অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ থাকায় হাসপাতালের মুমূর্ষ রোগীকে দূরবর্তী কোনো হাসপাতালে নিতে পারছেন না রোগীর স্বজনরা। এদিকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গরিব ও দুস্থ রোগীদের।

আধুনিক জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চারটি অ্যাম্বুলেন্স, তত্ত্বাবধায়কের জিপগাড়ি ও জেনারেটর রয়েছে। এসব গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে অকটেন তেল ব্যবহার করা হয়। এই অর্থ বছরের শুরুতে প্রতি বছরের জন্য ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর তেল কেনা সীমিত করায় এবং অর্থ বছর শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস আগেই বরাদ্দের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেল সংকটে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১০ টাকা। জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার নির্ধারিত ভাড়ার ১ হাজার ২০০ টাকা, রংপুরের ভাড়া ২ হাজার ৪০০ টাকা, দিনাজপুরের ভাড়া ১ হাজার ৮২০ টাকা, রাজশাহীর ভাড়া ২ হাজার ৬৪০ টাকা (পাহাড়পুর হয়ে) এবং ঢাকার ভাড়া ৫ হাজার ৬০০ টাকা। আর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার নির্ধারিত ভাড়ার ছোট অ্যাম্বুলেন্সে ১ হাজার ৮০০ টাকা, বড় অ্যাম্বুলেন্স নন এসিতে ২ হাজার ২০০ টাকা ও এসিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরের ভাড়া প্রায় একই। এসব স্থানে গেলে ছোট অ্যাম্বুলেন্সে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, বড় নন এসিতে ৪ হাজার ৫০০ টাকা ও এসিতে ৫ হাজার টাকা এবং ঢাকায় গেলে ছোট অ্যাম্বুলেন্সে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা, বড় অ্যাম্বুলেন্স নন এসিতে ১২ হাজার টাকা ও এসিতে ১৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা সীমিত করা হয়। গত এক মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। রোগীদের স্বজনেরা হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে ভাড়ার জন্য যোগাযোগ করলে। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা তাদের জ্বালানি তেলের বরাদ্দ শেষ হওয়ায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ থাকার কথা বলে। এ কারণে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসায় রোগীদের বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে।

জয়পুরহাট সদরের এলাকার বাসিন্দা বিমল চৌধুরী জানান, আমার বড় ভাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। চিকিৎসকেরা ভাইকে দ্রুত ঢাকায়  নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে রেফার করেছিলেন। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যোগাযোগ করি। তারা ১৩ হাজারের কমে ঢাকায় যাবে না। পরে ৮ হাজার টাকায় বগুড়া থেকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স এসে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসায় জয়পুরহাটের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা গাড়ি যেতে বিলম্ব করায়। এমনকি ওই চালকের কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ে।

সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে বগুড়ায় নিয়ে গেছি। এতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে ৮০০ টাকা ভাড়া বেশি লেগেছে। তেলের কারণে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ থাকবে এমনটা মেনে নেওয়া যায় না।

রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় জয়পুরহাটে অ্যাম্বুলেন্সে কথা বললে তারা ১৩ হাজার টাকা চায় পরে ১২ হাজারের কমে যাবে না জানায়। তাদের নাকি সমিতি আছে, আর এটিই নির্ধারিত ভাড়া। কিন্তু বগুড়া থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে ৮ হাজার টাকায় ঢাকা নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু জয়পুরহাটের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা ওই গাড়ি আসতে দেবে না। তাই বাধ্য হয়ে ১২ হাজার টাকায় জয়পুরহাটের অ্যাম্বুলেন্স নিতে হয়েছে।

জানতে চাইলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক জুয়েল হোসেন বলেন, বর্তমানে অকটেন তেল ১৩৫ টাকা লিটার। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। তাছাড়া একেকটা গাড়ির দাম ১২ লাখ, ১৩ লাখ, ১৬ লাখ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আর অন্য কোনো স্থানের অ্যাম্বুলেন্স এসে রোগী বহন করলে রোগীদের থেকে ঘুরে ফিরে তারা আমাদের সমানই টাকা নেয়।

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক কাজল হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি তেলের বরাদ্দ শেষ হওয়ায় মার্চ মাস থেকে টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপরও চারটি অ্যাম্বুলেন্স সীমিত আকারে চলেছে। তত্ত্বাবধায়ক স্যারের নির্দেশর এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ থেকে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ইঞ্জিন যেন বিকল না হয় এজন্য মাঝে মধ্যে কাছের কোনো গরিব পরিবারের কেউ মারা গেলে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হয়।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, চলতি অর্থ বছরে ২৪ লাখ টাকা তেলের বরাদ্দ ছিল। হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স চলাচল সীমিত করা হয়। এরপর বরাদ্দের অর্থ না থাকায় আমরা আর চালিয়ে নিতে পারছিলাম না। এ কারণে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পেলে আবারও অ্যাম্বুলেন্স সেবা সচল হবে। আর আগামী অর্থ বছরের জন্য ৫৫ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইরানি কনস্যুলেটে হামলা, কমান্ডারসহ নিহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (০১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত কনস্যুলেট ভবনের এনেক্স ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

লেবানের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, এই হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলিদের চালানো হামলায় ইরানি কনস্যুলেটের সেই ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলার পরপর ভবনটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

তবে হামলার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দখলদার ইসরায়েল।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবারি এবং তার পরিবারের কোনও সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কনস্যুলেটের যে ভবনটিতে হামলা হয়েছে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

যদিও হামলার পর সিরিয়ার বার্তাসংস্থা সানা নিউজ জানিয়েছিল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও একটি ক্ষেপণাস্ত্র কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে আঘাত হানতে সমর্থ হয়।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর নিউমার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের এলাকার একটি বাসায় অতিরিক্ত মদ্যপানে মো. মাহি রশিদ দীপ্ত (১৭)নামে এক শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কাউন্সিলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড এলাকার একটি বাসায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে অতিরিক্ত মধ্যপানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা বেগমগঞ্জ থানা দয়জপুর গ্রামে মামুনুর রশিদ মামুনের সন্তান। বর্তমানে নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড ৭/এ নম্বর বাড়ি ভাড়াটিয়া।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মশার ঘনত্ব গত ৪ মাসে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে। এখানকার প্রতিটি ড্রেনে ভাসছে লার্ভা, পচা আর নোংরা পানির প্রতিটি জলাধার যেন একেকটি মশার খামার। স্থানীয়রা জানান, অগণিত মশা। কয়েল জ্বালালেও যায় না। সারাদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মশারির ভেতর বসে থাকো এমন একটা অবস্থা।

গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ও আশপাশের ৬টি স্থানে ফাঁদ পেতে মশা ধরে চালানো হয়, গবেষণা। যাতে দেখা যায়, ফাঁদপ্রতি নভেম্বরে ২শ', জানুয়ারিতে ৩শ', ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮, আর মার্চের মাত্র এক সপ্তাহে ৪২০টি মশা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, মার্চে মশার বংশবিস্তার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, এ বিষয়টি আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। আমরা জানুয়ারি মাসেই সতর্ক করে বলেছিলাম মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে। এই মশাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কিউলেক্স মশা। তবে এরা কোন রোগ ছড়ায় না। তবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে।

সতর্কবার্তা যে সিটি করপোরেশন আমলে নেয়নি, সেটি স্পষ্ট স্থানীয়দের কথাতেও। তারা জানায়, জায়গায় জায়গায় শুনি মশা মারে, কিন্তু একটা মেশিনও এখনে বসা না। সিটি করপোরেশনেরও দেখা পাই না। মশার অত্যাচারে আমরা ঘরে বসতেও পারি না। আপনারা আসলে ওদের একটু খোজ পরে, তখন পয়ঃপরিষ্কার করে, তারপরে তাদের আর কোন খবর থাকে না।

এ জন্য সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার ওপর দায় চাপালেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। দয়া করে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। চেষ্টা করবো এর থেকে ভালো করার জন্যে।

ফাঁদে ধরা পড়া মশার মধ্যে ৯৯ শতাংশই কিউলেক্স। যার কামড়ে হতে পারে গোদ ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ। ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে এটি। এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪