আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জুনে চালু হচ্ছে চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাব্বি হাসান, চিলাহাটি (নীলফামারী) প্রতিনিধি

Image

নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি থেকে ঢাকা পর্যন্ত আগামী জুনে দিবাকালীন একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর রেলওয়ের শহর সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল শুরু করে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেনটি উত্তর জনপদের মানুষের জন্য আর্থসামাজিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকা রেলওয়ে কারখানায় তৈরি আধুনিক রেলকোচবহর দিয়ে নীলসাগর ট্রেনটি চালু করে। এরপর রেলপথ সংস্কার করে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে ওই ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত গন্তব্য পুননির্ধারণ করে।

সূত্রটি আরও জানায়, নীলসাগর চালু হওয়ার বেশ কিছুদিন পর ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-কুড়িগ্রাম, ঢাকা-লালমুনিরহাট ও ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একাধিক ট্রেন চালু করা হয়েছে। অথচ ৩৮৩ কিলোমিটার দূরত্বের ঢাকা-চিলাহাটি রুটে একটিমাত্র নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। এ রুটে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি, যাত্রীদের চাপের কথা বিবেচনায় রেখে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নীলসাগরের দ্বিতীয় র‌্যাক চালু করতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী দিবা ও রাত্রীকালীন দুটি নীলসাগর ট্রেন চলবে এ রুটে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) মুহাম্মদ কুদরত ই খুদা বলেন, র‌্যাক প্রস্তুতের কাজ শেষ। আশা করছি, আমদানি করা নতুন রেলকোচ দিয়ে চিলাহাটি- ঢাকা দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। এরই মধ্যে মন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। ঈদের আগে বা পরে জনপ্রিয় এ ট্রেনটি চালু হবে। ৮০৫ নং ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত সাড়ে ৮টায়, চিলাহাটী পৌছবে সকাল ০৬:১৫ মিনিটে। অপরদিকে ৮০৬ নং ট্রেনটি চিলাহাটী ছাড়বে সকাল ০৯:১৫ মিনিটে, ঢাকা পৌছবে সন্ধ্যা ০৭টায়। ট্রেনটি শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে ৬দিন চলাচল করবে।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ৬৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিন। তার বিদায়ের পর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর দলের হাল ধরেন আঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা। এই দুই ব্যাটার রানের চাকা সচল রাখেন। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ম্যাথুস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাথুস ২১ বলে ৩২ ও শানাক ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাহেদি, সৌম্য ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ফেসবুক নিয়ে সুখবর দিলেন জাকারবার্গ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে লগ আউট হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুক লাগ-আউট এবং সেশন আউট হয়ে যায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে। যারা ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যান।

এর পরপরই রাত ৯ টা ৩৯ মিনিটে আরেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আশার কথা শোনান মেটার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি লেখেন, কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে।

একই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসেও। তবে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে এ ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি।

বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইটের ত্রুটি পর্যবেক্ষণকারী ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা থেকে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই সমস্যায় পড়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




আরও একদিন বন্ধ থাকবে পোস্তগোলা সেতু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ পোস্তগোলা সেতু। চলমান সংস্কার কাজের শেষ দিন শুক্রবার (৮ মার্চ)। যার কারণে বন্ধ থাকবে সেতুতে গাড়ি চলাচল। তবে পরদিন শনিবার (৯ মার্চ) থেকেই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেরানীগঞ্জ সড়ক সার্কেলের উপসহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পোস্তগোলা সেতুতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। পর দিন সংস্কার কাজ শেষে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> কমলো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি

গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে। এই সংস্কার কাজ শেষ হচ্ছে ৮ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টার পর।

এদিকে, গত ১৫ দিনে সেতুটির সংস্কার কাজ চলায় বিকল্প পথ হিসেবে চাপ বাড়ে বাবুবাজার ব্রিজে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে আগামী শনিবার থেকে এ ভোগান্তি দূর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



সগিরা মোর্শেদ হত্যা, ২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তিন যুগ আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালাত।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।চুক্তি করা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।


আরও খবর