বহুল আলোচিত বহুস্তর বিপণন কোম্পানি (এমএলএম)
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের কর্ণধার মো. রফিকুল আমীন কারাগারে বসে ব্যবসায়িক বৈঠক করায়
কারাবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিধি লঙ্ঘন করায় তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ১ জুলাই
রফিকুল আমীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে বসেই জুমে ব্যবসায়িক
বৈঠক করেন।
বৈঠকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর রফিকুল আমীনের নিরাপত্তার
দায়িত্বে থাকা প্রধান কারারক্ষীসহ আটজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়। রফিকুল আমীন
জুম বৈঠক কীভাবে করলেন, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কারা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি রিপোর্টটি কারা মহাপরিদর্শকের (আইজি-প্রিজন্স) কাছে জমা দিয়েছে কারা অধিদফতরের
তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
থাকা অবস্থায় রফিকুল আমীন গত ১১ এপ্রিল থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৫ বার জুম মিটিং করেন।
এর ফলে তিনি কারাবিধি ৭০৪(১) ও ৭০৫(৩)(৭)(৮)(৯)(৪৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে
কারাবিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এসব ধারা লঙ্ঘন করায় রফিকুল আমীন যেসব
শাস্তি পেতে পারেন- জেলার শহরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে শুনানি করে ৬ মাস
থেকে ১ বছরের অতিরিক্ত সাজা, ডাণ্ডাবেড়ি পড়িয়ে রাখা, আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করা, আসামি
সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত না হলেও তাকে দিয়ে ৭ দিন কঠোর পরিশ্রমের কাজ করানো, ৩ মাসের
জন্য একঘরে করে রাখা, ৯৬ ঘণ্টার জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির কর্ণধার রফিকুল আমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর ওই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন।