আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জুলিও কুরি পদক কী, কেন দেওয়া হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তিনি এই আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বশান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র।

সেদিন এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে পদক পরিয়ে দিয়ে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।

জুলিও কুরি বিশ্বের অন্যান্য শান্তি পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হন। বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে জুলিও কুরি পদক দিয়ে আসছে।

ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুর পর বিশ্বশান্তি পরিষদ তাদের শান্তি পদকের নাম ১৯৫৯ সাল থেকে রাখে জুলিও কুরি। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন কুরি। তারা দুজনেই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।

ইরিনার মা-বাবাও বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী দম্পতি মাদাম কুরি ও পিয়েরে কুরি। বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জুলিও কুরি।

১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শান্তি পরিষদের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্সের বিশ্বশান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্বশান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশচন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্ম ও প্রজ্ঞার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই প্রথম এই আন্তর্জাতিক সম্মান লাভ করেন। এছাড়া আরও অনেক বাঙালি জুলিও কুরি পদক পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু। আরও অনেক বিখ্যাত মানুষ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য জুলিও কুরি পদক পেয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফিদেল কাস্ত্রো, সালভেদর আলেন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, লিওনিদ ব্রেজনেভ, ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: জুলিও কুরি পদক

আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস

শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪




স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হচ্ছে দীর্ঘ ১৫ বছরের টুনার মার সড়ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাহাদার হোসেন সাজ্জাদ, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

Image

কেউ মাটি কাটছেন, কেউ সড়কে ফেলছেন। আবার কেউ কেউ বাঁশের খুঁটি গেড়ে সড়কের পাশ রক্ষায় কাজ করছেন। ওরা কেউ পেশাদার সড়ক নির্মাণ শ্রমিক নয়। কেউ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, কেউ প্রবাসী আবার কেউ কেউ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙামাটি সড়ক থেকে শুরু হওয়া টুনার মার সড়ক সংস্কারে এমন ব্যস্ততা দেখা যায়।

অর্ধশতাধিক নানা বয়সী মানুষ মিলে প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারের দৃশ্যটি রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাউজান ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায়।

ওই এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১০০০ মিটার দৈর্ঘ্যের টুনার মার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়েছিল। সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরা। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল সড়কটি।

জানা যায়, রাউজান পৌরসভা এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অনুরাগ ক্লাব নামে একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন। সংগঠনটির উদ্যোগে এলাকার অর্ধ শতাধিক নানা বয়সী মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করে। স্বেচ্ছাসেবীদের একজন সাইফুল কাদের।

তিনি বলেন, আমাদের এলাকার এই সড়কটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিগত সরকার একটি ইটের কণাও ফেলেনি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে স্রোত সৃষ্টি হয়ে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।

আবিদ মাহমুদ নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করলেও সরকারিভাবে সড়কটি সংস্কার খুবই জরুরি।

এদিকে সড়কটি পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম।


আরও খবর



গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ফেসবুক লাইভে আজ শহীদি মার্চ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই সমন্বয়ক। এক পর্যায়ে তিনি লাইভ ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা গণভবনকে একটি জাদুঘর করার জন্য প্রস্তাব দেবো।

২০২৪ এর আন্দোলন নিয়ে একটি জাদুঘরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, আগে সবাই গণভবনমুখি হয়ে থাকতো। আমরা দেখেছি, কারও ডিভোর্স হয়েছে, সেও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পূর্বাচলে কারও প্লট লাগবে, সেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পঞ্চগড়ে কারও একটা ব্যক্তিগত সমস্যা, সেও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই গণভবনটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটা আখড়া। এই গণভবনকে স্থায়ীভাবে একটি জাদুঘর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করবো এবং সেটা নিশ্চিত করতে চাই।

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও গণভবনের জায়গায় গণহত্যা মিউজিয়াম তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা গণভবন ছিল বা দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী স্মারক। গণভবন বা বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার দুর্নীতি দুঃশাসন, অনাচার, অপকর্মের প্রতীক। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে এই গণভবনকে গুম খুন অপহরণ এবং গণহত্যার মিউজিয়াম হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে হাসিনার মতো বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মিউজিয়াম সেই বার্তাই বহন করবে।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ত্রাণ নিয়ে গবাদি পশু পাশে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশের দুইটি জেলার গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ হিসেবে প্রায় ৬ টন পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ও গবাদিপশুর ত্রাণ বিষয়ক অন্যতম সমন্বয়ক রাকিব রনি।

রাকিব বলেন, 'গত ২৮ আগস্ট রাতে কিছু শিক্ষার্থী ৩ টন পশুখাদ্য নিয়ে ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় এবং ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল আড়াই টন পশুখাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গিয়েছে। বাকি আধা টন পশুখাদ্য দেশের অন্যান্য বন্যা কবলিত অঞ্চলে দেয়া হবে।

জরুরী ভিত্তিতে বন্যা কবলিত এলাকায় চারটি সেবা দিবেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ১. অসুস্থ প্রাণিগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া, ২. যেসব প্রাণির ডায়রিয়া, ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি, পুষ্টি সমস্যা তাদের রুচিবর্ধক এবং ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লাই দেয়া ৩. পশুখাদ্য সরবরাহ করা এবং ৪. পরবর্তীতে খামারিদের কোনো সমস্যা হলে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া।

ত্রাণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে রনি বলেন, 'সংগৃহীত পশুখাদ্যের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা সিপি বাংলাদেশ। এছাড়া ইনোভা, মিনার এগ্রো এবং লোকাল কিছু পেট কোম্পানি পশুখাদ্য পাঠিয়েছে। এছাড়া স্কয়ার, একমি, এসিআই, এসকেএফ এবং বায়োল্যাব ঔষধের যোগান দিয়েছে।'

টেলিমেডিসিন সেবা সম্পর্কে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, 'গবাদিপশুগুলো অনেকদিন না খেয়ে থাকায় তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে। ওইসব অঞ্চলের খামারিদের ভেটেরিনারিয়ানদের নাম্বার দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গবাদি পশুগুলো যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে খামারিরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।'

ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক বলেন, 'আমাদের ভেটেরিনারি এবং পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন 'এ্যানিমেল স্যাভিয়ার্স অব বাউ' তাদের তত্ত্বাবধানে দুর্গত এলাকার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদেরও সাহায্য দরকার। বিভিন্ন ফিড কোম্পানি ও ঔষধ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ছয় টন পশুখাদ্য ও ঔষধ সংগ্রহ সম্ভব হয়।'

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা গত ৩-৪ দিন ধরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্ররা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্যও যাবে, চিকিৎসা এবং মেডিসিন দিয়েও সাপোর্ট করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তারা সমাজের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

ফেনীতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ফেনীর অন্যতম তিনটি বন্যা দুর্গত এলাকা ফুলগাজী, পশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলাযর প্রায় ৯০০ খামারীদের মাঝে পশুখাদ্য, ঔষধ এবং কয়েকটি খামার পরিদর্শন ও বিভিন্ন টেকনিক্যাল পরামর্শ প্রদান করা হয়। উক্ত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় মানুষের খাদ্যের অপর্যাপ্ততা না থাকলেও, পশুখাদ্যের অপর্যাপ্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপস্থিত খামারিগণ ও ফেনীর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

বাকৃবির এই টিমটির আগে কেউ এত বড় পরিসরে পশুখাদ্য দিয়ে খামারিদের সাহায্য করেনি বলেও জানান উপস্থিত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও খামারিরা।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জয়পুরহাটে যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট শহরে যানযট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করছেন তারা। এসব শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে খাবার খাওয়াচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কে দায়িত্বরত শতাধিক শিক্ষার্থীকে খাবার খাইয়েছেন জয়পুরহাট মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এসময় কলেজের অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান চৌধুরী, প্রভাষক শামীমা আক্তার, ফারজানা আক্তার রুঞ্জুসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মোদিকে ড. ইউনূসের ফোন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মোদিকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। মোদি এ নিয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

মোদি জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।

এক্সে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

আমি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি।

তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এরপর ৮ আগস্ট প্রফেসর ইউনূসকে প্রধান করে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ওইদিনই প্রফেসর ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক্সে এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রফেসর ইউনূসের প্রতি আমার শুভেচ্ছা। আমরা আশা করি (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা ফিরবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি, উভয় দেশের নাগরিকের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের আকাঙ্খার প্রতি বদ্ধপরিকর।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪