আজঃ শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জুলিও কুরি পদক কী, কেন দেওয়া হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তিনি এই আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বশান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র।

সেদিন এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে পদক পরিয়ে দিয়ে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।

জুলিও কুরি বিশ্বের অন্যান্য শান্তি পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হন। বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে জুলিও কুরি পদক দিয়ে আসছে।

ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুর পর বিশ্বশান্তি পরিষদ তাদের শান্তি পদকের নাম ১৯৫৯ সাল থেকে রাখে জুলিও কুরি। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন কুরি। তারা দুজনেই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।

ইরিনার মা-বাবাও বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী দম্পতি মাদাম কুরি ও পিয়েরে কুরি। বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জুলিও কুরি।

১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শান্তি পরিষদের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্সের বিশ্বশান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্বশান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশচন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্ম ও প্রজ্ঞার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই প্রথম এই আন্তর্জাতিক সম্মান লাভ করেন। এছাড়া আরও অনেক বাঙালি জুলিও কুরি পদক পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু। আরও অনেক বিখ্যাত মানুষ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য জুলিও কুরি পদক পেয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফিদেল কাস্ত্রো, সালভেদর আলেন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, লিওনিদ ব্রেজনেভ, ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: জুলিও কুরি পদক

আরও খবর
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজ বিশ্ব স্বপ্ন দেখা দিবস

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আ.লীগ কোনো ষড়যন্ত্র-পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) কোনো ষড়যন্ত্র ও পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিকেএমইএ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে তার অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দিবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল। সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপড়ে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে। 

আরও পড়ুন>> অভিযানের খবরে দাম কমল ডিম-পেঁয়াজ-আলুর

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমানের এমপির সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা।


আরও খবর



গাইবান্ধায় ধ্বংস হতে বসেছে গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধা শহরের বাংলা বাজার এলাকায় অবস্থিত গেজেটেড অফিসার্স কোয়ার্টারটি এখন মাদক সেবন এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিগত ২৫ বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস করে না। হাউস রেন্ট বাঁচাতে অফিসাররা এখন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় অথবা বেসরকারি কোন বাসায় স্বল্প ভাড়ায় থাকেন।

ফলে অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো অযত্ন অবহেলায় পড়ে থেকে জরাজীর্ণ দশায় পরিণত হচ্ছে। এ সুযোগে একটি সমাজ বিরোধী চক্র বিভিন্ন ভবনের দরজা-জানালা, গ্রীল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি, বেসিন ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে সেখান থেকে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে একে একে বিভিন্ন সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেও কারো এ নিয়ে যেন মাথা ব্যথা নেই।

সরেজমিন দেখা গেছে বিশাল চত্বরে চারদিকে দেয়াল ঘেরা থাকলেও প্রধান ফটক অরক্ষিত থাকায় খেলার মাঠ এবং ফাঁকা জায়গায় গরু চরছে। গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৬ সালে ৫.২৮ একর জমির উপর এ জেলার গেজেটেড অফিসারদের বসবাসের জন্য এ স্টাফ কোয়ার্টারটি নির্মাণ করে। এতে ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল ও একটি ত্রিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। এসব ভবনের নাম দেওয়া হয় সাবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা। শুরুতে সবগুলো ব্লকেই বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা বসবাস করতেন। কোয়ার্টার ভবনগুলোর সামনে বিরাট খেলার মাঠ। ওইসব কর্মকর্তাদের সন্তানরা সেখানে খেলাধুলা করতো। বসবাসকারীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকতো গোটা স্টাফ কোয়ার্টার।

কিন্তু পরবর্তীতে গেজেটেড অফিসার্স ডরমেটরী, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা থাকতে শুরু করলে গণপুর্ত বিভাগের আওতাধীন এ অফিসার্স কোয়ার্টারটি ফাঁকা হতে শুরু করে। ২০০১ সালের দিকে এটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। হাউস রেন্ট বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই অফিসাররা এভাবে ফাঁকিজুকির পথ বেছে নেন বলে জানান গণপূর্ত দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী। এদিকে স্টাফ কোয়ার্টারের বিভিন্ন স্থানে ঝোপ জঙ্গল গজিয়ে উঠতে থাকে। এ সুযোগে ওই ফাঁকা ভবনগুলোতে বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদক সেবীদের আড্ডা এবং সাথে সাথে জমজমাট মাদক ব্যবসাও চলে। শুধু তাই নয়, সেখানে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কথাও শোনা যায়।

এদিকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী, গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কয়েকটি কক্ষ নিয়ে সেখানে কার্যক্রম চালু হয়েছে। ওই ভবনের বাকি কক্ষসহ অপর ৩টি ভবনের সবগুলো কক্ষই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি একজন নাইট গার্ডকে সেখানকার তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বহিরাগতদের অসামাজিক কার্যকলাপ তাতেও বন্ধ হয়নি। বরং তাদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। 

সরকারি ওইসব ভবনে কেন সরকারি কর্মকর্তার থাকেননা এমন প্রশ্নের জবাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ভবনগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় কোন কর্মকর্তা সেখানে থাকতে উৎসাহ বোধ করেন না। তিনি আরও বলেন, যারা এখন ওই ভবনে রয়েছে তারা নিজ দায়িত্বে রয়েছে। সেখানকার কোন ক্ষয়ক্ষতির দায় স্থানীয় প্রশাসন নেবে না।

এব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তিনি জানান, ব্যবহার না করায় ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা আর কেউ কোয়ার্টারে থাকতে চান না। এগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য কয়েক বছর আগে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাতে অনুমতি পাওয়া যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: গাইবান্ধা

আরও খবর



বিশ্ব ওজোন দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বিশ্ব ওজোন দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি

ওজোন স্তরের ক্ষয় ও তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই দিনটিতেই পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর রক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব ওজোন দিবস

আরও খবর
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজ বিশ্ব স্বপ্ন দেখা দিবস

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পটুয়াখালী যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনায় ১০ সাংবাদিক আহত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীতে যাত্রীবাহী বাসে এর সাথে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে করমজাতলা এলাকার বল্লভপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ ও বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনিরুল আলম স্বপন খন্দকার জানান, কুয়াকাটায় ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুইদিন ব্যাপী বরিশাল সংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সধারণ সভা শেষ করে আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা থেকে দুটি পরিবহন বাস ইয়াসিন ও মা পরিবহন বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মা এন্টারপ্রাইজ বাসটি পটুয়াখালী জেলা শহরের বাঁধঘাটের অদূরে বল্লভপুর এলাকায় পৌঁছলে সেখানে বিপরীতগামী সিমেন্ট বোঝাই লড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রং সাইড দিয়ে অতিক্রমকালে সংঘর্ষে মা পরিবহন বাসটি সড়কের পাশে গাছের সাথে সজোড়ে ধাক্কা লেগে সামনের অংশ মুচড়ে যায়। এতে দুই নারী সাংবাদিকসহ অন্তত ১০জন সাংবাদিক আহত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটিদলসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হসপাতালে নিলে  গুরুতর আহত উম্মে আরিফা ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে এ্যাম্বুলেন্সে বরিশালে প্রেরণ করা হয়। বাকি আহত চ্যানেল আই বরিশাল প্রতিনিধি সাঈদ পান্থ ও তার স্ত্রী লুনা, বাস চালক মোজাম্মেলকে পটুয়খালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

বাসের চালক ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকটা নিরাপদে রাখার কারণে বাসে থাকা ৪০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা জীবনে রক্ষা পেয়েছে বলে সাংবাদিক মুফতী সালাউদ্দিন জানান।


আরও খবর



কাস্টমসের স্বর্ণ চুরি, জড়িতরা শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদাম থেকে গায়েব করা সোনার বেশিরভাগই বিক্রি হয়েছে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও তাঁতীবাজারের বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে। কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম এবং সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার গুদাম থেকে সরানো ওই সব স্বর্ণ তাঁতীবাজারের দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। আর টাকার ভাগ পেয়েছেন কাস্টম হাউজের অনেক কর্মকর্তাই। তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চোরাই সোনা কেনা অন্তত সাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম বলেন, সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঢাকা কাস্টম হাউজের বেশ কয়েকজন এই সোনা চুরির সঙ্গে জড়িত। আমরা মামলা তদন্ত করে অনেকটা এগিয়েছিলাম। এখন ডিবি তদন্ত করবে।

সোনা গায়েবের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় হওয়া মামলাটি গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) যাওয়ার পর থানা হেফাজতে থাকা কাস্টমসের চার কর্মকর্তা ও চার সিপাহিকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু বলেন, থানা হেফাজতে থাকা আটজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো কাউকেই গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

গত রোববার সোনা চুরির বিষয়টি কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে রাতেই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এয়ারপোর্ট প্রিভেন্টিভ টিম) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এ ঘটনায় কাস্টমসের একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি অনুযায়ী হেফাজতে থাকা আটজনের মধ্যে তিনজন জড়িত। তবে তাদের গ্রেফতার না দেখানোর বিষয়টি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। চার দিন ধরে আটজনকে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ ও ডিবি।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ঢাকা কাস্টম হাউজের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়নি। যদিও পুলিশের দাবি সোনা গায়েবের সঙ্গে কাস্টম হাউজের অনেকেই জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলার নীতিতে রয়েছেন কাস্টমসের শীর্ষ কর্তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আকরামুল হোসেন বলেন, এখনো কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ ও শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কাস্টম হাউজের গুদামের দায়িত্বে ছিলেন। বিমানবন্দরে আটক হওয়া অবৈধ সোনা ওই গুদামে রাখা হতো। তারা বিভিন্ন সময়ে গুদামের আলমারি থেকে সোনা সরিয়েছেন। এসব সোনা কত ক্যারেটের তা যাচাই করেছে রাজধানীর তাঁতীবাজারের দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদ ও শহিদুলের দীর্ঘদিনের সখ্য রয়েছে। মূলত তাদের মাধ্যমেই রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও তাঁতীবাজারের সোনার দোকানে বিক্রি করা হয়েছে গুদামের সোনা।


আরও খবর