আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে শিশুদের ভ্যাকসিন
কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার
(২৯ জুন) মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক
কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য সেবা
বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম
হাতে নিয়েছি। শিশুদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন জুলাই মাসের মাঝামাঝি পেয়ে যাবো। এটা
হাতে আসলে জুলাইয়ের শেষে পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে
পারবো। সেজন্য যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে
হবে।
তিনি বলেন, করোনা এখন উর্ধ্বমুখী। আমরা
কিছুটা চিন্তিত। আমরা শঙ্কিত নই, প্রস্তুত আছি। সংক্রমণ রোধে গত সপ্তাহে আমরা সভা
করেছি। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। অফিস, স্কুলে গেলে মাস্ক পরবেন। ট্রেনে-বাসে
মাস্ক পরতে হবে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে অনুরোধ করেছি। কেবিনেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি
দিয়েছি। জনগণ এই নির্দেশনা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছি। গত দুই, তিন দিন ধরে দুই,
তিন জন করে মারা যাচ্ছেন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নেয় এবং মাস্ক
পরে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা বৃদ্ধির হার গত ১৫
দিন অনেক কম ছিলে। এখন অনেক বেশি। এটার লাগাম টেনে ধরতে চাই। আমাদের একার পক্ষে সম্ভব
নয়। মাস্কের ব্যাপারে জনগণের সচেতন হওয়া জরুরি। সেটি হলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ
করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়েছি।
একটি চিঠি মন্ত্রপরিষদ থেকে দিয়েছে। আমাদের সুপারিশ থাকবে, শাস্তি দিয়ে নয়, স্বতঃস্ফূর্তভাবে
মাস্ক পরার। তবুও ব্যত্যয় ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা
সেতুকে বাস্তব রুপ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালিরা
বিশাল কাজ করতে পারেন। আমরাও পারি। সোনার বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। স্বাস্থ্যসেবা
এমনভাবে দিতে হবে মানুষ যাতে সঠিকভাবে সেবা পায়।
তিনি বলেন, এখন ভ্যাকসিন, করোনা নিয়ন্ত্রণ
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নতুন যেসব প্রকল্প নিয়েছি এবং যেসব নিয়োগ কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের তদারকিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে যেসব কাজ হাতে নেবো সঠিক
সময়ে, সঠিকভাবে শেষ করতে পারবো। যে সময়ে করা দরকার সে সময়ের মধ্যে যেন কাজটি হয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে সঠিক জনবল দিতে হবে, সঠিক জিনিসপত্র ও ফান্ড দিতে হবে।
যারা কাজ করবে তাদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে
সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে ও অর্থ বিভাগের সঙ্গে সঠিক সময়ে অর্থ ছাড়ের জন্য নিবিড়ভাবে
যোগাযোগ রাখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের বেশ কিছু অর্জন
আছে। আমাদের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সেজন্য করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
হয়েছে। আমাদের জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। প্রকল্প যেগুলো চলমান সেগুলো
দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।