দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ারে সাগরের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। শুক্রবার সেন্টমার্টিনের ঘাট এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে, সঙ্গে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে দ্বীপের কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বঙ্গোপসাগরে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটিতে বসবাস করা দশ হাজারের বেশি মানুষ বৈরী আবহাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে তছনছ হয়েছিল সেন্টমার্টিন। সে সময় দ্বীপের হাজারের ওপরে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এরপর আবারও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে, সঙ্গে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি । তার ওপরে সাগরের পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে। ফলে দ্বীপের তীরের কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দ্বীপের ডেইলপাড়া, উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়ার শেষ প্রান্তের গলাচিপা এলাকাসহ কয়েকটি জায়গা জোয়ারে তোড়ে ভেঙে গেছে এবং উপড়ে গেছে গাছপালা।’
সেন্টমাটিন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ খোরশেদ বলেন, ‘দ্বীপে সাগরের পানির উচ্চতা অনেক বেড়েছে। যার ফলে তীরের বাসিন্দাদের কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পাশাপাশি দ্বীপের তীরের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত চারপাশে বাঁধ না দিলে দ্বীপের অস্তিত্ব থাকবে না।'
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের তোড়ে দ্বীপের উত্তর, পশ্চিম-পূর্বের কিছু জায়গা ভাঙছে।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে বালুকাময় সমুদ্র সৈকত বলা হয় সেন্টমার্টিনকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্য আগলে রাখায় সেন্টমার্টিন থাকে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সেই সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাওয়ার পথে।