আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন

জনপ্রিয়তায় এগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থিত প্রার্থী শেখ রকিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

আগামী ১৫ ই জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ২০২২। কোন দলীয় মনোনয়ন না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ব্যক্তিগত সমর্থন দিয়েছেন তার চাচা মেয়র প্রার্থী শেখ রকিব হোসেন রকিবকে। ভোটারদের জনপ্রিয়তার ও তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। তিনি গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনের বিষয়টি গত ৩১ মে প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া সফরে জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নেতাকর্মীদের সাথে ঘরোয়া সভায় শেখ রকিবের হোসেন রকিবের পক্ষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাজ করার আহবান জানানো ও অপর দুই প্রার্থীদের সংবাদ  সম্মেলনে শেখ রকিব হোসেন পক্ষে ওপেন সমর্থন জানানো বিষয়টি নিশ্চিত করে। এছাড়াও মৃনাল কান্তি রায় পপা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে ডেকে নিয়ে শেখ রকিব হোসেন রকিবের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এদিকে রকিব হোসেনের বাকি প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য কোন কোন প্রার্থী ভোটারদের উদ্যেশ্যে করছেন সংবাদ সম্মেলন। অন্যদিকে অপর দুই মেয়রপ্রার্থী সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রত্যাহার করে ওপেন সমর্থন জানিয়েছেন শেখ রকিব হোসেন রকিবকে।

ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। চায়ের স্টল, হোটেল ও বিভিন্ন অলিগলিসহ সব জায়গাতেই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা আর জল্পনা-কল্পনা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গান-ছন্দে প্রার্থীদের নজরকাড়া ভোট প্রার্থনা আর মাইকের আওয়াজে আন্দোলিত এখন শহর। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে চলছে অনেক প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণা বিভিন্ন। গণসংযোগে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা, আর যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। গোপালগঞ্জ পৌরবাসীর মাঝে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচন কেন্দ্র করে পৌর এলাকার প্রতিটি অলিগলি, দোকানের সামনে, ফাঁকা জায়গায়, বাড়ির সম্মুখে ছেয়ে গেছে সাদা-কালো পোস্টারে।

সব আলোচনা সমালোচনা পিছনে ফেলে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগে থেকেই ভোটারদের দুয়ারে ছুটতে দেখা গিয়েছে এই মেয়র প্রার্থী রকিব হোসেন রকিব কে । বেদগ্রাম, হরিদাসপুর, হেমাঙ্গনসহ কয়েকটি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বড় কয়েকটি জনসভা। এতে আনন্দ-উল্লাস দেখা যায় প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের মধ্যেও। নারকেল গাছ প্রতীক পেয়েই সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পথে ঘাটে চায়ের দোকানে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারপ্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন শেখ রকিব হোসেন রকিব । মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন তিনি।

এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাজায়, পৌরবাসীর মধ্যে  ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে অনেক । শেখ পরিবারের  এ নেতাকে মেয়র হিসেবে চান দল-বল নির্বিশেষে সকলেই। অনেকেই  বলছেন তিনি একমাত্র পৌরসভা আধুনিকতায় রুপান্তরিত করতে পারবেন। তিনি পৌরসভার প্রতিটি এলাকার মাদক সন্ত্রাস জুয়া বাল্যবিবাহ, বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে, আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পৌরসভার একাধিক ব্যক্তি জানান, তিনি তরুন-প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা। সব সময় তাকে মাঠে পাওয়া যায়, বিপদে-আপদে, মহামারী করোনা-কালীন সময়ে তার অনেক অবদান রয়েছে।

এদিকে ছোট ছোট হ্যান্ডবিল নিয়ে অপর মেয়র প্রার্থী, ও সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। হ্যান্ডবিল বিলির সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন উঠান বৈঠকও। সেই সঙ্গে প্রার্থীরা দিচ্ছেন বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। সাবেক, বর্তমান ও নতুন প্রার্থীরা সবাই উন্নয়নের অঙ্গীকার করে যাচ্ছেন। 

পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়রপ্রার্থী কাজী লিয়াকত আলী লেকু মোবাইল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।

এদিকে  ক্যারামবোর্ড  প্রতীকের যুবলীগ  নেতা জি এম শাহাবুদ্দিন আজম নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিনিও পৌর নাগরিকদের সার্বিক উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

চামচ প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র  ও জেলা  শ্রমিকলীগ নেতা রেজাউল হক শিকদার রাজু মেয়রপদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি ও পৌরবাসীকে দেখাচ্ছেন নানান স্বপ্ন।

এছাড়াও  মুশফিকুর রহমান লিটন (ইস্ত্রি), দিলীপ কুমার সাহা দীপু (কম্পিউটার) এস এম নজরুল ইসলাম নতুন (হেলমেট), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো: দিদারুল ইসলাম (হাত পাখা) ও মো. আবুল ফত্তাহ সজু (রেল ইঞ্জিন) প্রতীক  নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


আরও খবর



৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ১৭ মার্চ 'জাতীয় শিশু দিবস' উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরু হয়ে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে। দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। পঁচিশে মার্চ রাতে যে গুলিবর্ষণ হয়েছিল তা আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই রাতে মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাত্রিযাপন করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনায় আমরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো আমি ভাবতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

চবি উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শোষণ ও ২৩ বছরের পাকিস্তান শোষণ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন কারাগারে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে দেশের মুক্তির জন্য। ১৭৫৭ সালে এদেশে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। ইতিহাসের শুরু থেকেই সবাই এদেশকে শোষণ করে গেছে, কেউ স্বাধীনতা দেয়নি। ১৯৭১ সালে বিশ্ব মোড়লরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।

আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো জিনিস আমাকে যেমন আনন্দিত করে, তেমনি খারাপ কাজগুলো ব্যথিত করে। আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়ে উপাচার্য প্রমাণ করলেন তিনিই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমনকারীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

সভায় জানানো হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। সেদিন সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেদিন বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাসে ঢোকা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমরা তো তিমিরবিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে শেষ হবে।

পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের প্রস্তুত করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢোকা যাবে। এরপর শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নববর্ষের দিন টিএসসির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে চারুকলা অনুষদের সামনের ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশের গেট ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া, টিএসসির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, টিএসসি সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশ-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।


আরও খবর



হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।


আরও খবর



বিরল ঘটনাটি স্থায়ী হবে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে। পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণের সময় উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। এ ধরনের বিরল আরেকটি ঘটনা দেখতে মানবজাতিকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের কোটি মানুষ।

বেলা ১টা ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ধীরে ধীর সূর্যকে ঢাকতে থাকবে চাঁদ। তবে ৩টা ৭ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণগ্রাস শুরু হয়ে শেষ হবে ৩টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অর্থাৎ তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে মহাজাগতিক ঘটনাটি।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে যে চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ৮ এপ্রিল যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে।

এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারে অন্তত ১০ লাখ দর্শনার্থী।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে মেক্সিকোর মাজাটলান, টরিওন; টেক্সসাসের সান অ্যানটোনিও, অস্টিন, অকো, ফর্ট ওর্থ এবং ডালাস, আরকানসাসের লিটল রকি, মিসৌরির এটি লুইস, কেন্টাকির লুইসভিলে, ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিস, কলম্বাবাসের ডেটন, ওহিওর টোলেডো এবং কেলিল্যান্ড, মিশিগানের ডেট্রয়েট, পেনসিলভানিয়ার ইরি, নিউ ইয়র্কের বাফেলো, রোসেস্টার এবং সিরাকাস এবং কানাডার হেমিলটন, টরেন্টো ও মন্ট্রিয়াল থেকে দেখা যাবে এই বিরল সূর্যগ্রহণ।

তবে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ কোনো সানগ্লাস এ ক্ষেত্রে নিরাপদ হবে না। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের এমপির ভাইয়ের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে গত দুই মাস আগে টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভির হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সাথে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর। গত বৃহস্পতিবার তাদের প্রথম দেখা হয় উত্তরায়। এর একদিন পর শুক্রবার রাতে আবারো সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে তরুণীকে ডেকে নেন বড় মনির। এরপর তুরাগ থানর প্রিয়াঙ্কা সিটিতে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান মেয়েটিকে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এই বাসাটিতেই অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করে বড় মনির। পরে তাকে ফেলে চলে যায় বড় মনির। এরপর ভুক্তভোগী ট্রিপল নাইনে কল করলে, তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটিতে পরিবারসহ বড় মনিরের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। পাসওয়ার্ড না থাকায় ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ তাৎক্ষনিক দেখতে পারেনি পুলিশ। তবে জব্দ করা হয় ডিবিআর মেশিন।

পুলিশ বলছে, আসামী যেই হোক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তুরাগ থানার ওসি আবু সাঈদ মিয়া বলেন, অপরাধ যে করবে তাকে সাজা পেতেই হবে। আমরা আইনগত ভাবেই এগিয়ে যাবো। এখানে বাঁধার কিছু নেই।

এর আগেও ২০২২ সালে ধর্ষণ মামলার আসামী ছিলেন টাঙ্গাইলের এই বড় মনি।
নিউজ ট্যাগ: বড় মনির

আরও খবর