আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জনপ্রিয় মডেল থেকে দেহব্যবসা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এক সময়ে জনপ্রিয় মডেল ছিলেন গীতাঞ্জলি। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকার সময়ই মাদকের নেশা ভর করে তাঁর উপর। তারপর ক্রমে তলিয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবন। মাদক শুধু তাঁর জনপ্রিয়তাই কেড়ে নেয়নি। নিজের ছেলে, স্বামীকেও তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিল। র‌্যাম্প থেকে রাস্তায় নিয়ে এনে ফেলেছিল তাঁকে।

গীতাঞ্জলি দিল্লির মেয়ে। দিল্লিতে কলেজে পড়ার সময়ই তিনি মডেলিংয়ে আসেন। সে সময় কলেজ পড়ুয়াদের কাছে মডেলিং ছিল খুবই জনপ্রিয় পেশা। হাত খরচের টাকার জন্য অনেকেই টুকটাক মডেলিং করে থাকতেন। গীতাঞ্জলিও তাই ছিলেন।

কলেজ জীবনে তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন সন্দেলি সিন্‌হা। ২০০১ সালের ছবি তুম বিন-এর জন্যই পরিচিত মুখ সন্দেলি। তিনি তখন মডেলিং এবং বলিউড দুজায়গাতেই কাজ পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বন্ধুকে দেখেই মূলত মডেলিংয়ে আসা তাঁর। যাতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন আমির রাজপাল নামে এক চিত্রগ্রাহক।

ওই চিত্রগ্রাহকই গীতাঞ্জলির ব্যক্তিত্ব, চেহারা দেখে তাঁকে মডেলিংয়ে আসার উপদেশ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় মডেল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দিল্লি থেকে ব্যাগ গুছিয়ে মুম্বই চলে আসেন গীতাঞ্জলি। বলিউডে ছবির প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দিকে না গিয়ে মডেলিং করছিলেন।

কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, মডেলিং এবং গ্ল্যামারের পিছনে অন্ধকার জগতের মধ্যে ডুবে যেতে শুরু করেছিলেন তিনি। ক্রমে মাদকের নেশা তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল। অত্যন্ত পেশাদার এই মডেল ক্যামেরা চালু হওয়ার পরও অনেক সময় মাদকের জন্য ছটফট করতেন। মাদক নিয়ে তবে তিনি শ্যুট করতেন।

ইতিমধ্যেই জার্মানির এক ব্যক্তির সঙ্গে কর্মসূত্রে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কয়েক বছর ডেট করার পর দুজনে বিয়ে করেন। তাঁদের এক ছেলেও হয়। কিন্তু এই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। মাদকের নেশা তাঁর কাছ থেকে স্বামী-সন্তানকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর স্বামী গীতাঞ্জলির উপর বিরক্ত হয়েই ছেলেকে নিয়ে জার্মানি ফিরে যান। সে সময় ভীষণ একা হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

আর বেশি করে মাদক সেবন করতে শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, মডেলিং কেরিয়ারও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। এ দিকে মাদকের নেশায় অর্থাভাবও প্রকট হয়ে উঠতে শুরু করেছিল।

বাধ্য হয়েই গীতাঞ্জলি তখন দেহব্যবসায় নামেন। কিছু দিন পরিচারিকার কাজও করেছিলেন। তাঁর পাশে নিজের বলতে কেউ ছিলেন না। গীতাঞ্জলির একমাত্র সঙ্গী হয়ে উঠেছিল মাদক। মাথার উপর ছাদটুকুও খুইয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

কখনও রাস্তায়, কখনও কোনও মন্দিরে আশ্রয় নিতেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই করুণ হয়ে উঠেছিল যে তাঁকে দেখে ভিখারি ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারতেন না পথচলতি মানুষ। মাদক কিনতে ভিক্ষাও করতে হয়েছে তাঁকে।

এক সাংবাদিকের সূত্রেই গীতাঞ্জলির এই পরিস্থিতির কথা জানাজানি হয়। তারপর তাঁকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। বহু দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি।

সুস্থ হওয়ার পর বেশ কিছু সময় মায়ের সঙ্গে হরিদ্বারে কাটিয়েছিলেন। তাঁর সেই জার্মান স্বামী তাঁকে ফেরাতে চাইলেও গীতাঞ্জলি সেই সম্পর্কে ফিরতে চাননি। ২০০৮ সালে ফ্যাশন নামে একটি ছবি মুক্তি পায়। শোনা যায়, গীতাঞ্জলিকে মাথায় রেখেই এই ছবিতে কঙ্গনা রানওয়াতের চরিত্র এঁকেছিলেন পরিচালক। যদিও পরিচালক মধুর ভান্ডারকর কখনও তা মানতে চাননি।


আরও খবর



স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে সই করেন তিনি।

পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আজ ২৬শে মার্চ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজকের দিনে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি। গভীর বেদনাভরা ক্লান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা এবং আমার তিন ছোট ভাই কামাল, জামাল, রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে আঘাতে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের।

শ্রদ্ধা জানাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতাদের। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

আজকের এই মহান দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা-স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব। ইনশাল্লাহ। আমি বাংলাদেশের সব জনসাধারণকে মহান  স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৬ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

২. অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

৩. জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

৪. ভিকটিমের (অবন্তিকার) পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো পূরণ না হলে আগামী সোমবার বেলা ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেও উল্লেখ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুজাহিদ বাপ্পি বলেন, আমার আমাদের অবস্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। আমাদের ৬ দাবি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূরন না হলে আমরা ভিসি চত্ত্বর ঘেরাও করবো। আমরা ফাইরুজ হত্যার বিচার চাই।


আরও খবর



বিএনপি কতোটা দেউলিয়া হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের কথা বলে: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কতোটা দেউলিয়া হলে বিএনপি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কতোটা উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন অবিবেচক হলে, কতোটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ তিন দিক থেকে ভারত বেষ্টিত। ২১ বছর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্কে বাংলাদেশই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতীয় পণ্য যারা বয়কট করতে চায় বাংলাদেশের জনগণ তাদের বয়কট করবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে ততক্ষণ বন্ধুত্ব রাখবো, যতক্ষণ জনগণ ও জাতীয় স্বার্থ নিশ্চয়তা পাবে। যখন বিএনপির আন্দোলনের কোনো ইস্যু থাকে না তখন ভারত তাদের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

বিএনপি কোন পথে চলছে তা নিজেরাই জানে না এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সাহায্য চাইছে। অন্য নেতা সেদেশের পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছে। বক্তব্যে আগামী ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে গণহত্যা দিবসের সমাবেশ করার ঘোষণাও দেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



গণপরিবহনে ৩৫ শতাংশ নারী আসন রাখার দাবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণপরিবহনে নারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার দাবিতে সমাবেশ ও র‌্যালি করেছে সেভ দ্য রোড নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, নির্মম বাস্তবতা হলো, গণপরিবহনে নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন কমপক্ষে শতাধিক নারী নিপীড়িত হচ্ছেন কেবলমাত্র সড়ক পরিবহন নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায়। আমরা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সব গণপরিবহনে ৩৫ শতাংশ নারী আসন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা সেভ দ্য রোডের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক শুভঙ্কর দেবনাথ, শ্রমিক নেতা ও মানবাধিকার কর্মী আনিসুর রহমান, সেভ দ্য রোডের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, বিকাশ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক, রাজনীতিবিদ সেলিম আহমাদ, সমাজসেবক আবদুল্লাহ আল মামুন, মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।


আরও খবর



রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর