আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জন্মনিবন্ধন করতে আর মা-বাবার জন্মসনদ লাগবে না

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জন্মনিবন্ধন করতে এখন থেকে আর মা-বাবার জন্মসনদ লাগবে না। মা-বাবার জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করে নিয়ম কার্যকরের দেড় বছরের বেশি সময় পর তা তুলে দেওয়া হলো। গত ২৭ জুলাই থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যারে মা-বাবার জন্মসনদ আর চাওয়া হচ্ছে না। এতে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সন্তান, যাদের মা কিংবা বাবা যেকোনো একজনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে যে জটিলতা ছিল, তা কাটবে বলে মনে করছেন ভোগান্তির শিকার মানুষেরা।

রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ জুলাই থেকে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদন নেওয়ার সফটওয়্যারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন যাঁরা শিশুর জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের কাছে আগের মতো মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হবে না। তবে আগের নিয়মের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধনের আন্তর্জাতিক ব্যবহার সম্পর্কে জানার কারণে ভবিষ্যতের কথা ভেবে মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হতো। এভাবে ৩০ লাখ শিশুর একক পরিচয়পত্র (ইউনিক আইডি) করা হয়েছে। এটা মাবাবার সঙ্গে সন্তানের পরিচিতির একটি পদ্ধতি ছিল। মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় সে সুযোগটি নষ্ট হয়ে যাবে।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় সাংবাদিকদের জানায়, এখন থেকে হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পর দেওয়া ছাড়পত্র বা টিকার কাগজ যেকোনো একটি প্রমাণ দেখিয়ে শিশুর জন্মনিবন্ধন করা যাবে। এ নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল। তবে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিয়মে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছিল, ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্মনিবন্ধন করতে হলে তার বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ অবশ্যই প্রয়োজন হবে। ওই সময় জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও কেন সন্তানের জন্মনিবন্ধন করার জন্য মা-বাবারও জন্মনিবন্ধন করা লাগবে?

যেভাবে কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়ম

নতুন নিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, এসংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। তবে সিস্টেম থেকে মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হয়েছে। সেটা আবেদন করতে গেলেই বোঝা যাবে। এর আগে গত বছর যে নিয়ম কার্যকর হয়েছিল, সেই সময়েও কোনো নির্দেশনা জারি হয়নি।

বিয়েবিচ্ছেদ হওয়া মা-বাবার সন্তান ও পথশিশুদের ক্ষেত্রে কী করা হবে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, এই আবেদনগুলো বিশেষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং নাগরিকেরা সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারতেন না। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) বা নিবন্ধন কার্যালয়ে সরাসরি গিয়ে আবেদন করতে হতো। যেহেতু মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা থাকছে না, তাই এ ধরনের পরিবারের শিশুরাও সাধারণভাবে এখন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তবে পথশিশুদের ক্ষেত্রে যারা মা-বাবার নাম বলতে পারবে না, তাদের আগের মতোই নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮এর ৩ (গ) ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি এতিম, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন, পরিচয়হীন, বেদে, ভবঘুরে, পথবাসী বা ঠিকানাহীন বা যৌনকর্মী হলে যেসব তথ্য অসম্পূর্ণ থাকবে, সেসব স্থানে অপ্রাপ্য লিখে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না।


আরও খবর



বাংলায় ঝড় উঠবে, মোদির হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পুরো পশ্চিমবঙ্গে সন্দেশখালি ঝড় উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার (০৬ মার্চ) রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে বিজেপি আয়োজিত মহিলা সম্মেলন’-এ একই জেলার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের অন্তর্গত সন্দেশখালি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রাজনীতির সব চেয়ে আলোচিত এলাকা। এর পাশের লোকসভা আসন বারাসাতে আজ মহিলা সম্মেলন’ করে বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তৃণমূল এই ভূমিতে নারীশক্তির ওপর অত্যাচার করেছে। মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে যে কারও মাথা লজ্জায় নুয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।’

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা (তৃণমূল) অপরাধীকে বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে! কিন্তু প্রথমে হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্টে এরা ধাক্কা খেয়েছে।’

মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গরিব, আদিবাসী, দলিত মা-বোনদের ওপর তৃণমূলের নেতারা অত্যাচার করছেন। তৃণমূলের নিজেদের নেতাদের ওপর ভরসা থাকলেও আমাদের মা-বোনদের ওপর ভরসা নেই। তাই মা-বোনেরা রুষ্ট হয়েছেন। মা-বোনদের এই রাগ সন্দেশখালিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো রাজ্যে সন্দেশখালি ঝড় উঠবে।’

সন্দেশখালির নারীদের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের মাফিয়ারাজ শেষ করতে বাংলার নারীশক্তি এগিয়ে এসেছে। সন্দেশখালি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।’


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় শহরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ।

শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। ২০৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের কলকাতার স্কোর ২০১। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর স্কোর ১৭৮, চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ১৭৫ এবং ১৭০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



উত্তর আমেরিকার ‘কিনোয়া’ মিরসরাইয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

উত্তর আমেরিকার ফসল কিনোয়া এবারই প্রথম চাষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনার এ ফসল চাষ করেছেন কৃষক দীলিপ নাথ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে তাঁর স্বপ্নের ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়, খরচ আর পরিশ্রমের হওয়ায় আবারো চাষের লক্ষ্যে এগুচ্ছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন শস্যদানা কিনোয়া চাষে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘড়িয়াটোলা এলাকার কৃষক দীলিপ নাথ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রথম জানতে পারেন বিদেশি এই ফসল সম্পর্কে। শুনে মনে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও শেষমেশ নেমে পড়েন ফসল ফলাতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশে কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বীজ আবাদ করেন। ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে এখন ফসল ঘরে উঠার অপেক্ষায়।

গতকাল সরেজমিন দেখতে আসেন কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

কৃষক দিলীপ নাথ বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে জানতাম না। তাই ফলনের ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভয় কাজ করেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিনোয়া নিয়ে যে সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছেন তাতে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করি। এখন পুরো ক্ষেতে ফসলে ভরপুর। আনন্দ লাগছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো। আশা করছি ভালো দাম পাবো।

২৪ শতকে ১৪ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। দুই থেকে তিন মণ ফসল উঠার সম্ভাবনা’— বলেন কৃষক দীলিপ নাথ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এই প্রথম হলেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পরিচিতি না পেলেও এই সফলের বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। বাংলাদেশের সুপারশপগুলোতেও বাজার গড়ে উঠছে বিদেশি এই ফসলের। কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রান্না করলে এই কিনোয়াবীজ প্রায় চারগুণ ফুলেফেঁপে ওঠে এবং কিছুটা স্বচ্ছ দানাদার আকৃতি ধারণ করে। মৃদু স্বাদের কিনোয়া একেবারে গলে যায় না এবং কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।

সুপারফুড নামে পরিচিত পাওয়া কিনোয়ায় রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, কিনোয়া উত্তর আমেরিকার ফসল। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস স্যার বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিনোয়া নিয়ে কাজ করছেন। স্যারের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ধীরে ধীরে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিচিত ফসল হওয়ায় এখনো স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেনি তবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বেশ কয়েকটি সুপারশপ বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে। দিলীপ নাথের ফসল অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন। হারবেস্ট/হারভেস্ট করলেই তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৩৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ২২ জনের মরদেহ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১১ জনের মরদেহ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত দেড়টার দিকে বলেন, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ১১ জনের মরদেহ রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগুনের ঘটনায় তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী রয়েছেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মরদেহ এসেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়া আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। আগুনে হতাহতদের বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেটির ক্রেতা ও স্টাফ।


আরও খবর



রমজানেও থেমে নেই বর্বরতা: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৩

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলছেই। এতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহতসহ মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭৩ হাজার ৯৩৪ ফিলিস্তিনি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে ৯৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

এর মধ্যে মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন মারা গেছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


আরও খবর