২০২২-২৩ অর্থবছরের
প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা
কামাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু
করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট।
স্পিকার ড.
শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল
হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক,
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী
এমএ মান্নান, তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
এর আগে আজ দুপুরে
জাতীয় সংসদ ভবনে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার
বৈঠক শুরু হয়। সে বৈঠকে বাজেট অনুমোদন করা হয়ঢ। পরে বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর
করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এটি দেশের ইতিহাসের
৫১তম বাজেট। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার
ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে
বাজেটটি।
এ বাজেটে মোট
দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
করোনা মহামারির
কারণে গতবছর বাজেট অধিবেশন হয় সংক্ষিপ্ত পরিসরে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের
তুলনায় এবারে র বাজেট ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার
৫৬৪ কোটি টাকা বেশি।
আগামী অর্থবছরের
বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
অনুদান ছাড়া এ বাজেটের ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ
ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
আয়ের সম্ভাব্য
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২১-২০২২
অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো
থেকে কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয়
রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ
৭০ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা
দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে
১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। আর বৈদেশিক অনুদান
থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।