জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় এ দেশ জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। মানুষ খুন, আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার পর গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা আমরা দেখেছি। জঙ্গিবাদ কখনো কোনো দেশের উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, মাদক, অগ্নিসন্ত্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জঙ্গিবাদ দমন, চরমপন্থি দমন ভেজালবিরোধী অভিযানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে র্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। ডাকাতি লুটপাট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে র্যাব সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। র্যাবের ভূমিকায় আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাহাড়েও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র্যাব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধরতে সক্ষম হয়েছে। কোভিড মহামারির সময়ে লকডাউনে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান হয়েছিল। এক্ষেত্রে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি, আবার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে মাদকের প্রভাব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত হচ্ছে অনেকেই। এটা ধনী শ্রেণি থেকে একেবারে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে সেই পরিবারের কষ্টের সীমা থাকে না। এমনটাও দেখা যাচ্ছে, মাদকাসক্ত সন্তান তার বাবা-মাকে মেরে ফেলে। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র্যাব চালাচ্ছে, এটা একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এই ক্ষেত্রে সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার কারণে হলি আর্টিজান ছাড়া জঙ্গিরা আর কোনো বড় ঘটনা ঘটাতে পারেনি। র্যাব মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর আরেকটা বোঝা, সেটা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।