আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জনগণের বন্ধু যারা, তাদের পাশে ‘বসুন্ধরা’

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রমজানে প্রতিটি মুসলিমই চান ঘরে ফিরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে। তাই বিকেল থেকেই ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভীড় সামলাতে প্রকৃত বন্ধুর মতো নিরলসভাবে কাজ করে যান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পুলিশ সদস্যদের এমন কষ্টে সব মানুষ সময় মতো ঘরে ফিরলেও তাদের নিজেদেরই থাকতে হয় রাস্তায়, সেখানেই সারতে হয় ইফতার। শুধু তাই নয়, চৈত্রের এই কাঠফাটা রোদে সারাদিন রোজা রাখার পরও জোটে না মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর ইফতার।  নিজের নামে বরাদ্দ আসা খেজুর, ছোলা, মুড়ির মতো কয়েকটি খাবারে ইফতার সেরে আবারও কাজে লেগে পড়তে হয় তাদের।

শুধু মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা নয়, জনগণের যেকোনো বিপদে-প্রয়োজনে সবার আগে ছুটে যায় পুলিশ। দেশমাতৃকার নিরাপত্তার জন্য দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই পালাক্রমে ডিউটি পালন করেন পুলিশ সদস্যরা।এতসব ত্যাগের কারণেই পুলিশ পরিচিতি পেয়েছে জনগণের বন্ধু হিসেবে।

এবারের রোজায় জনগণের সেই বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সরাসরি তত্বাবধানে রোজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মাঝে প্রতিদিন ইফতারির সময় সাড়ে ৫ হাজার প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সাধারণ কোনো খাবার নয়, রাজধানীর বিলাবহুল রেস্টুরেন্টে দক্ষ হাতে তৈরি করা খাবার গুলোই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের মাঝে। ইফতারের সময় রাজধানীর মোড়ে মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক, থানা, পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৫ হাজার রোজাদার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যসম্মত এসব খাবার।

রোববার প্রথম রমজানের ইফতারের আগ মূহুর্তে রাজধানীর বিমানবন্দর সিগন্যালে গিয়ে দেখা যায়- অফিস ছুটির সময়ে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল শফিক। ইফতারের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে তার কাজের পরিধি যেন আরও বাড়ছে। কিছুক্ষণ পরই মাগরিবের আজান শুরু হলে তড়িঘড়ি করে পাশের ট্রাফিক বক্সে গিয়ে কোনো রকমে চোখেমুখে পানি ছিটিয়ে রোজা ভাঙেণ তিনি। সেখানেই কথা হয় কনস্টেবল শফিকের সঙ্গে। জানান, তার বাড়ি নেত্রকোণায়। গত ৬-৭ বছর ধরে রাজধানীর যানজট নিরসনে কাজ করছেন তিনি। প্রতি রমজান মাসেই এভাবে ডিউটি পালন করতে হলেও তাদের কষ্টের প্রতিদান কেউ দেয় না। তবে এবার অন্তত বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করেছে। চেষ্টা করছে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর।

শুধু পুলিশ সদস্যরাই নয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদেও প্রতিদিন ৬০০ রোজাদারের জন্য ইফতার সরবরাহ করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রথম রমজানেই সেখানে ইফতার করেন বেসরকারি চাকরিজীবী বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, অফিস শেষে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সময় সল্পতায় সম্ভব হয়নি। তাই ইফতারের আগ মূহুর্তে তড়িঘড়ি করে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে পরি। ভেবেছিলাম নামমাত্র ইফতার করে নামাজ শেষে বাসায় গিয়ে খাওয়াদাওয়া করবো। কিন্তু বসুন্ধরার পক্ষ থেকে এমন ইফতার বিতরণ করা হয়েছে যে সব খাবার খেয়ে শেষ করতে পারিনি। পর্যাপ্ত পরিমাণের পাশাপাশি খাবারগুলো খুবই মানসম্মত ছিল। রোজাদারদের এভাবে আপ্যায়ন করায় বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ। দোয়া করি তারা আরও বেশি বেশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করুক।     

জানা গেছে, ইফতারের সময় খাবার সরবরাহের জন্য রাজধানীর কয়েকটি অভিজাত ও স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছে বসুন্ধরা। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগপাই বাংলা ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, রোস্টেড টুয়েন্টি ওয়ানআইআর টেকনোলজিস অ্যান্ড সলুশন। ম্যাগপাই বাংলা ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধীকারী সেলিম আহমেদ বলেন- খাবারের মান ও দামের কারণে আমাদের রেস্টুরেন্টে সাধারণত অভিজাত লোকেরাই আসেন। তবে এবার বসুন্ধরার অর্থায়নে প্রতিদিন আড়াই হাজার রোজাদারের জন্য খাবার সরবরাহ করছি আমরা।

এমন উদ্যোগ সম্পর্কে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ জানায়, মানবিক দিক বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইফতার হচ্ছে রোজাদারের জন্য উৎসব, আমরা সেই উৎসবে অংশ নিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। কর্মব্যস্ততায় ইফতার। নিয়ে যাতে মানুষ বেকায়দায় না পড়ে এজন্য সবারই এগিয়ে আসা উচিত।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বায়েজিদ টেক্সটাইল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় লাগা আগুন ২ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোরিয়ান গার্মেন্টস নামের ওই কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

উত্তর তানজানিয়ার সিহা জেলার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন, তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছু ভেসে গেছে।’

অন্যদিকে কেনিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত এই দেশটিতেও ভারী বৃষ্টিপাত রাজধানী নাইরোবিসহ দেশের বড় অংশে আঘাত হেনেছে এবং কিছু বস্তি এলাকার বাড়িঘর, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্রসহ বহু জিনিস পানিতে ভেসে গেছে।

এই সপ্তাহে কেনিয়ায় ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর গত মার্চ মাস থেকে দেশটিতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেড ক্রস জানিয়েছে।

এছাড়া বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


আরও খবর



ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এসময়, ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



এখনো উদ্ধার করা যায়নি সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রশাসন ভবনে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরও অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন ভবনে হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। পরে সোনালি ব্যাংকের শাখায় হামলা চালানো হয়। সে সময় ব্যাংকে আসা নতুন টাকা লুটের পাশাপাশি ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য অঞ্চলভিত্তিক নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা এ হামলায় অংশ নেয় বলে রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম গণমাধ্যমকে জানান।

সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আনসার ভিডিপির) অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের সদস্য বলে ধারণা করছেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।

আজ সকালে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত সাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদ রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর