আগামী নির্বাচনে
জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই।
আজ শুক্রবার রাজধানীর
শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব
দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
গত ১০ ডিসেম্বর
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলটির নেতা-কর্মীদের
সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেদিন
মধ্যরাতে উত্তরার বাসা থেকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীরকে। পরের দিন তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর প্রবীণ রাজনীতিক বদরুদ্দীন
উমর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৬০ বিশিষ্ট
নাগরিক ফখরুলের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
বিএনপি বুদ্ধিজীবী
নামিয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুলের মুক্তি চায়। ভালো। ফখরুল তাদের
বন্ধু। তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না।’
ওবায়দুল কাদের
বলেন, ‘এই বুদ্ধিজীবীরা এই বিশিষ্টজনেরা এই বাংলায়
যখন ১৫ আগস্টে জাতির পিতার গোটা পরিবার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বিদেশে ছিল তারা রক্ষা
করেনি। এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে কি আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে
আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? কোথায় ছিল প্রতিবাদ আমি জানতে চাই। জাতীয় চার নেতাকে
জেলখানায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ?’
জঙ্গিবাদ রুখতে
হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের
রুখতে হবে। হাওয়া ভবনের লুটেরাদের রুখতে হবে। তারা (বিএনপি) বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে।
বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে
তারা। এই রাষ্ট্রে অর্থপাচার করেছে বিএনপি। পাঁচ বছরে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে
বিএনপি ৷ তারা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে
না। ধ্বংস করতে পারে।’
বিএনপি জীবনেও
মেগা প্রকল্প করতে পারবে না দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিষোদ্গার লিপ সার্ভিস ছাড়া আপনাদের কি আছে? নির্বাচনের
জন্য বাংলার মানুষ আর ভোট দেবে না।’
সারা দেশে আওয়ামী
লীগ নেতা-কর্মীরা সতর্ক আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াব না। তবে
আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
শান্তি সমাবেশে
আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক
সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর
উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহসভাপতি
সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।