আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জনবল সংকটে সান্তাহার জংশন স্টেশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী জংশন স্টেশনটি তীব্র জনবল সংকটে ভুগছে। মুজিবশত বর্ষ উপলক্ষে কিছুদিন আগে এই স্টেশনটির প্লার্টফরম উচুকরণ ও প্রশস্তকরণের একটি বৃহৎ প্রকল্প ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান সান্তাহার স্টেশনটি নান্দনিক, সৌন্দর্যময় রুপ ধারণ করেছে। এটি ১ম শ্রেনীর একটি জনবহুল ও জনপরিচিত ষ্টেশন।বর্তমানে সান্তাহার জংশন স্টেশনটি তীব্র জনবল সংকটে ভুগছে।

সান্তাহার স্টেশন মাস্টার কার্যালয় সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে সান্তাহার স্টেশনের পরিবহন খাতে সর্বমোট ৫৯ টি পদের মধ্যে ২৭ জন কর্মরত আছে। বাকী ৩২ জন পদে কোন লোক নেই। আবার ষ্টেশনটির বাণিজ্যিক স্টাফ পজিসনে ৫৩ টি পদের মধ্যে ১৬ জন কর্মরত আছেন। বাকী ৩৭ টি পদ ঘাটতি অবস্থায় আছে। ফলে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে  বৃহৎ এই স্টেশনে  যাত্রীসেবা দারুণ ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

স্টেশনের স্টাফ পজিসন অনুযায়ী স্টেশন মাস্টারের গ্রেড-১ টি মজ্ঞুরী পদ শুণ্য অবস্থায় আছে। নানা গ্রেডের ১৩ টি স্টেশন মাস্টার /সহকারী স্টেশন মাষ্টার পদের বিপরীতে কর্মরত আছে ৮ জন।  এই পদে ৫জন ঘাটতি আছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ২ টি মজ্ঞুরী পদ আছে, সেখানে দুটি পদেই কোন লোক বা জনবল নেই। এওয়াইএফ (ইয়ার্ড ফোরম্যান) ২টি মজ্ঞুরী পদ, দুটিই শুণ্য অবস্থায় আছে। টিএনসি/১ ( ট্রান্সসিপম্যান) ২ টি পদ, ২টিই শুণ্য অবস্থায় আছে। কোন লোক নেই এই পদে। টিএনটি (ট্যান্স ক্লাক) ৩টি মজ্ঞুরী পদে ২ জন কর্মরত আছেন, ১টি পদ ঘাটতি আছে।

সান্টিং জামাদার ৪ টি মজ্ঞুরী পদে ১ জন মাত্র কর্মরত আছেন,বাকী ৩ টি পদ শুণ্য অবস্থায় আছে। টিএনসি (ট্রান্স ক্লার্ক) ৮ টি মজ্ঞুরী পদের মধ্যে কর্মরত আছে ১ জন, বাকী ৭টি পদই শুন্যে। পি-ম্যান ( পয়েন্টস ম্যান) পদে ৭টির মধ্যে ৭ জনই কর্মরত আছে এই ষ্টেশনে। জি-কে ( গেট কিপার) পদে ৬টি মজ্ঞুরী পদে ৬ জন গেট কিপারই কর্মরত আছে। সান্টিং পোটার ৬টি মজ্ঞুরী পদে ৬টিই শুন্য অবস্থায় আছে। তাই সান্তাহার স্টেশনের স্টাফ পজিশন(পরিবহন) সেক্টরে ৫৯ টি পদের মধ্যে ২৭ জন কর্মরত, বাকী ৩২ টি পদে ঘাটতি আছে। সান্তাহার স্টেশনে জিএ/১ (গুডস ক্লার্ক)  পদে ২টি মজ্ঞুরী পদে কেউ কর্মরত নেই, দুটিই ঘাটতি।

জিএ/২ পদে একজন কর্মরত আছে। ১টি শুন্যে। টিআরসি (ট্রান্সসিপমেন্ট ক্লার্ক) পদ ২টি মজ্ঞুরী, দুটিই শুন্যে। এসআর/১ পদে ১টি মজ্ঞুরীর বিপরীতে একটি পদই শুন্যে অবস্থায় আছে। পিএ/১ পদে ১টির বিপরীতে ১টি পদে কেউ কর্মরত নেই। পিএ/২ পদে একজন কর্মরত আছে। এসআর/২ পদে ১টি পদ আছে এখানে, সেই পদও শুন্যে। বিএ/১ ( বুকিং ক্লার্ক) ১ টি পদে কোন জনবল নেই।

বিএ/২ পদে মজ্ঞুরীকৃত  ৮টি পদে ৬ জন কর্মরত আছেন, ২টি পদ শুন্যে। টিসি/১ (টিকিট ক্যালেক্টর) ১ টি পদ, নেই কোন জনবল সেই পদে। টিসি/ ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ২ জন কর্মরত আছেন, ৩টি পদই শুণ্যে। টালী সহকারী ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৫টিই ঘাটতি । ল্যাম্প ম্যান পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৩টিই শুণ্যে। পিয়ন/অফিস সহায়ক পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদের মধ্যে ১ জন কর্মরত আছেন, বাকী ২টি পদ শুন্যে।

পোর্টার পদে ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৩ জন কর্মরত আছেন, বাকী ২টি পদ শূণ্যে। ওয়েটিং রুম আয়া পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে  ৩টি পদই শুণ্যে। ওয়েটিং রুম বেয়ারার ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে একজনও কর্মরত নেই,সবগুলি শুণ্যে। ফলে এই স্টেশনের বিশ্রামাগারগুলি অধিকাংশ সময়ে বন্ধ থাকে। আরআর বেয়ারার ২টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ১ জন কর্মরত আছে, ১টি পদ ঘাটতি আছে।

বাবুর্চি পদে মজ্ঞুরীকৃত পদের ২টি পদে কেই কর্মরত নেই। ফলে ২টি শুন্যে। সিলম্যান ২টি পদে ১ জন কর্মরত আছে, ১টি ঘাটতি আছে। অফিস সহকারী (স্টেশন ক্লার্ক) ১টি পদ, ১টি ঘাটতি। ফলে সান্তাহার স্টেশনে স্টাফ পজিশন ( বাণিজ্যিক) শাখায় ৫৩ পদের মধ্যে মাত্র ১৬ জন কর্মরত আছে, বাকী ৩৭ টি পদই শুন্যে।

সান্তাহার জংশন স্টেশনের বর্তমান স্টেশন মাষ্টার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান এক সঙ্গে ৩টি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তীব্র সংকটের মুখে সান্তাহার স্টেশনের যাত্রীসেবা ভেঙে পড়েছে।

তিনি জানান, অচিরেই এই জনবল সংকট নিরসন হবে। অনেকে নতুন নিযুক্ত ব্যাক্তিরা প্রশিক্ষণে আছে। তারা এসে কাজে যোগদান করলে এই সমস্যা থাকবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ( পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, অনেক নতুন নিয়োগ হয়েছে রেলওয়েতে। আশা করছি, এই সমস্যাও দুর হবে।

আজকের দর্পণ/এমদাদুল হক/বগুড়া


আরও খবর



দেশবাসীকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এলো মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ২ বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)।

এ হিসাবে দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার।

সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এর ম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।


আরও খবর
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর



২০ বছর আগেই শনাক্ত করা যাবে ক্যান্সারের লক্ষণ: গবেষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপসর্গ নিয়ে জেঁকে বসার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে।  যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সুখবর দিয়েছেন।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গবেষকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে কোষের প্রাথমিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র পরিবর্তন শনাক্ত করা যাবে। কোনো কোষ টিউমার হয়ে আত্মপ্রকাশ করার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কোষটি যাতে টিউমারে রূপান্তরিত না হয় বা ক্যানসার না ছড়ায়, সেজন্য চিকিৎসার অনেক সময় পাবেন ডাক্তাররা।

ক্যামব্রিজের আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট এ গবেষণা করেছে। নতুন এ ইনস্টিটিউটটি এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পেয়েছে। তাও পেয়েছে সম্প্রতি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ অর্থ দান করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেবেকা ফিটজেরাল্ড বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্যানসারের জীবাণু দেহে বাসা বেঁধে একপর্যায়ে পৌঁছে আত্মপ্রকাশ করে। যখন টিউমার আকারে প্রকাশ পায় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। তাই ক্যানসার শনাক্ত করতে আমাদের পরীক্ষা-পদ্ধতিটাই আমূল বদলে ফেলতে হবে। এমন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যা ক্যানসার জীবাণু সুপ্ত পর্যায়ে থাকতেই শনাক্ত করতে পারবে।

ফিটজেরাল্ড ও তার দল নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালানোর জন্য সাইটোস্পঞ্জ’ উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে স্পঞ্জটি বড়ির মতো গিলে ফেলতে হয়। পেটে একটি স্পঞ্জের মতো প্রসারিত হয়। তার এটি এটি খাদ্যনালি থেকে পথিমধ্যে থাকা কোষগুলো সংগ্রহ করে। এমন সব কোষকে সংগ্রহ করে যেগুলোতে টিএফএফ৩ নামক প্রোটিন থাকে। টিএফএফ৩ এমন একটি প্রোটিন যা কেবল ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় রয়েছে এমন কোষে পাওয়া যায়।

আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো রক্ত পরীক্ষা।

ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতা জেমি ব্লান্ডেল এ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে তারা গর্ভাশয় ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া প্রায় দুই লাখ রক্ত নমুনা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এখানে ১০ থেকে ২০ বছর আগে জমা দেওয়া হয়েছে এমন নমুনাও রয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে যাদের পরবর্তীতে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের হয়নি তাদের আলাদা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের পরবর্তীতে লিউকেমিয়া হয়েছে তাদের রক্তের জেনেটিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট।

হারবীর দেব নামের গবেষক দলের আরেক নেতা পুরুষদের প্রোস্টেট বা মূত্রথলির ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। এ পরীক্ষার নাম বায়োমার্কার।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ৬ দিন ছুটি পেলেন গণমাধ্যমকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা।

কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

তবে এবার ঈদের ছুটি ৬ দিন একটি অনন্য রেকর্ড। কারণ স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর