আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জমি নিয়ে বিরোধে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধে চাচার ঘুষিতে সালামত উল্লাহ (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের তারা পাল্লা গ্রামের আমান উদ্দিন প্রধানিয়া বাড়ির মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সালামত উল্লাহ ওই বাড়ির রবিউল আলমের ছোট ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে সালামত ঘর উঠানোর জন্য বাড়ির সামনের ভিটায় বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন। ওই সময় তার চাচা কাউছার এসে জিজ্ঞাসা করেন কেন বালু ভরাট করা হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কাউছার সালামতের পেটে ঘুষি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই সালামত লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সালামতের বাবা রবিউল আলম বলেন, সকালে আমার ছেলে বালু ভরাটের জন্য বাড়ির সামনে আসে। কাউছার আমার চাচাতো ভাই। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পত্তি বণ্টন হয়নি। বালু ভরাটের জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। অন্য জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে মামলা আছে। কিন্তু কাউছার আমাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে রমজান মাসে আমার ছেলেকে এভাবে মেরেছে। সে আর বেঁচে থাকতে পারল না। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক হোসেন প্রধানীয়া জানান, সকালে সালামত ঘর উঠানোর জন্য বাড়ির সামনের ভিটায় বালু ভরাটের কাজ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তাদের অনেক দিন যাবত জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। কেউ বলছে কাউছারের ঘুষিতে সালামতের মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলছে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সে স্ট্রোক করেছে। কোনটা সঠিক পুলিশ তদন্ত করলে বোঝা যাবে।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবাঈর সৈয়দ বলেন, এ ঘটনায় সালামতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কাউছারকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘কন্ট্রাক্ট বিয়ে’ করলেন মৌসুমী!

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী। বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। অংশ নিয়েছেন কিছু অনুষ্ঠানেও। শুধু তাই নয়, সেখানে বসেই করেছেন একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং। নাম কন্ট্রাক্ট বিয়ে। এতে মৌসুমীর বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা ও পরিচালক হাসান জাহাঙ্গীরকে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এই অভিনেতা ও নির্মাতা।

সিরিজটিতে আরও রয়েছেন জনপ্রিয় অনেক তারকা। সাসপেন্স থ্রিলার ঘরানার এই সিরিজটির গল্প মৌসুমীকে ঘিরেই আবর্তিত হবে। গল্পে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর স্থায়ী হওয়ার জন্য বাংলাদেশের মেয়েরা কিছু সময়ের জন্য কন্ট্রাক্ট বিয়ে করেন। মৌসুমীও তেমনি বিয়ে করেন হাসান জাহাঙ্গীরকে। তারপর উঠে আসবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তব পরিস্থিতির দৃশ্যপট। যা কাঁদাবে দর্শককে, কখনও দেবে আনন্দও।

ওয়ার্ল্ডওয়াইড সংগঠন হিউম্যান রাইটসের তত্ত্বাবধানে এসএএস প্রোডাকশনের ব্যানারে শামসুল আলম সোহাগ ও মাসুদ রানার সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট বিয়ে। এর গল্প ও পরিচালনা করছেন হাসান জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, এ সিরিজের গল্পের পটভূমিতে অন্য এক মৌসুমীকে খুঁজে পাবেন দর্শক। অনেকেই স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান। এজন্য তারা নানা কৌশল অবলম্বন করেন। অনেকে ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যান। এমন গল্পগুলো উঠে আসবে এ সিরিজে। আমার বিশ্বাস, দর্শক সিরিজটি উপভোগ করবেন।


আরও খবর
হিন্দি সিনেমায় জয়া আহসানের অভিষেক

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়, ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা সড়কের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সংলগ্ন স্থানে রাস্তার পাশের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি দিয়ে গার্লস্কুল, মাদ্রাসা, ইদিলপুর পাইলট বিদ্যালয়সহ ১০-১৫ টি বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা, থানা, কলেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিস, হাসপাতালসহ প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি আবাসিক বাড়িঘরের বসবাস করা সকল শ্রেণির লোকজনের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তা হিসেব পরিচিত।

গোসাইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

প্রায় এক বছর বেশি সময় ধরে সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্থানটি ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে।

এ রাস্তায় প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে পৌরসভার ময়লার স্তূপ। আবর্জনার স্তূপে দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ বালাই। দুর্গন্ধের স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। নবঘোষিত গোসাইরহাট শ্রেণির পৌরসভা হলেও স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে পৌরবাসীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়েও কোন কাজে আসেনি। পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে এর প্রতিকার চেয়েছেন স্থানীয়রা।


সরেজমিনে দেখা যায়, দাশের জঙ্গল বাজারের পূর্ব এলাকায় ডাকবাংলোর রাস্তার উত্তর পাশ ঘেঁষেই ময়লার ভাগাড়। তার পাশেই অবস্থিত পোস্ট অফিস বহু বাড়িঘর। চার পাশেই ঘনবসতি। সেই রাস্তায় স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক, হোটেল ও রেস্তোঁরার বর্জ্য ফেলায় এ সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ওই রাস্তায় চলাচলকারী জয়নাল মিয়া নামের এক ভ্যান চালকসহ কয়েকজন বলেন, আমার সবসময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা লাগে। এই দুর্গন্ধে ভ্যান চালাইতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে এই জায়গাটুকু পার হই। এই ময়লাগুলো যদি এখান থেকে সরানো হতো তাহলে আমাদের চলাচলে আর কষ্ট হতো না।

পথচারী সজিব হাওলাদার বলেন, রোদের সময় ময়লার দুর্গন্ধ আরো রেড়ে যায়। সে সময় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়া এ থেকে মশা-মাছির উপদ্রব্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন ও সুমন সাহা বলেন, আমার বাড়ির পাশেই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। এটার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। স্থানীয়রা প্রতিনিয়তই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আমরা পৌরসভা অফিসে অবহিত করা হলেও তাতেও কোন লাভ হয়নি। আমরা অতি দ্রুতই এর একটা সমাধান চাই।