আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

জমি নিয়ে বিরোধ: সালিশের মাঝেই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামাতো ভাইয়ের হাতে ফুফাতো ভাই খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর উস্তিংগেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালিক (৪০) ওই গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বসতভিটার দুই শতাংশ জমি নিয়ে ময়না মিয়া ও তার ছোট শ্যালক আব্দুর নুরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার রাতে নিহত আব্দুল খালিকের বসতঘরে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে শালিস বৈঠক বসে। এ সময় উভয়পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও ঝগড়াঝাটি শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে আব্দুর নুরের ছেলে সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ময়না মিয়ার ছেলে আব্দুল খালিককে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় জুয়েল আহমদ, লায়েক আহমদ, রানা আহমদ, আলী হোসেনসহ আরও ৫/৬ জন মিলে নিহত খালিকের ভাই আব্দুল হক এবং শ্বশুর আহমদ মিয়াকে মারপিট করে জখম করেন। গুরুতর আহত আব্দুল খালিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

স্বজনরা জানান, মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় সুমন মিয়া, লায়েক আহমদ, রানা আহমদ, আলী হোসেনসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, দুই শতক জায়গা নিয়ে মামাতো ভাই ও ফুফাতো ভাইদের মধ্যে পারিবারিক সালিশ হয়। এসময় মামাতো ভাই সুমন মিয়া বটিদা দিয়ে কুপিয়ে ফুফাতো ভাই আব্দুল খালিককে আহত করেন। এছাড়া সুমন মিয়ার অন্যান্য ভাইয়েরা আব্দুল খালিকের ভাই ও শ্বশুরকে পিটিয়ে আহত করেন।

তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিহতের মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের পক্ষে খোলাচিঠি: রাবি প্রগতিশীল শিক্ষকদের উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে শ্রম আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য একটি খোলা চিঠি দেন বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা। এই চিঠির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে মনে করে। রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করার জন্য এ ধরনের চেষ্টাকে আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের বহির্দেশীয় অংশ বলে মনে করি।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈদেশীয় অযাচিত, বেআইনি, অসাংবিধানিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ সময় দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট সব দেশের অভ্যন্তরীণ ও আইনানুগ বিষয়ে এ ধরনের অযাচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপরে কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে তিনি উন্নত চিকিৎসা পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ‘দেশের রাজনীতি থেকে মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস চারটি দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি দিয়ে আসছিলাম। এমনিতে তাদের দূতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে, আমি সংখ্যায় বলছি না কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ পাহারায় নিয়োজিত আছে। যখন তারা বাইরে যান আমরা গাড়ির একটা প্রোটেকশন দিতাম। কিছু মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেমন সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ি থাকে এমন চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় সে ধরনের প্রোটেকশন দিতাম।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা সেই রাস্তার প্রোটেকশনে পুলিশের পরিবর্তে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট নিয়োগ করেছিলাম। যারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম এবং সেনাবাহিনী থেকে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমরা চেয়েছি রাস্তায় চলাচলের নিরাপত্তায় আনসার গার্ড রেজিমেন্ট থাকবে এবং একজন পুলিশ কমান্ডার থাকবে। যে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এটি দেওয়া হয়েছে সেটি তারা মেনে নিয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র একটু আপত্তি জানিয়েছে। এরপরেও তারা মনে করলে এটা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কথা বলব, চিন্তা করব।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে : মুখ্য সচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই শিল্পনগর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কর্মকর্তা, প্রশাসন এবং পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সোনাগাজী উপজেলার ৩৩  হাজার ৮০৫ একর জমিতে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর। ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এখানে উৎপাদন শুরু করেছে। আরও তিন প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।

শিল্পনগর পরিদর্শন শেষে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ইকোনমিক জোনে কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও কারখানা গড়ে উঠছে। এ জোনে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ কাজ করবে। তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তাগুলো বৃদ্ধি করতে হবে। থানা তৈরি করতে হবে। তাদের মুভমেন্ট ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের এই প্রকল্পে ইতোমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ শিল্পনগরে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের ১৫২ শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে এসেছে। এখানে একসময় ১৩৯টি পরিবার ছিল। এ শিল্প নগরী করার সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের ঘর করে দেব। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আমরা উন্নয়নও চাই, পরিবেশও চাই। পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে এখানে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো করা হবে। এখানে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (সিইটিপি) থাকবে। কারো নিজস্ব ইটিপি থাকলে সেটাতে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সিইটিপিতে আসতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম শফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির কড়া জবাব দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ঢাকায় দেওয়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ল্যাভরভের বক্তব্যের সমালোচনা করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যারা প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ চালিয়ে নারী-শিশুসহ অসহায় মানুষদের ওপর নির্বিচারে হামলা করছে, সেই রাশিয়ার অন্য দেশের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলা উচিত নয়।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ল্যাভরভের ঢাকা সফরকালে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এমন মন্তব্য করেন মিলার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অভিযোগের বরাত দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বাংলাদেশ সফরকালে বলেছিলেন, মস্কো এই অঞ্চলে মার্কিন শাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করবে। এই বিষয়ে মার্কিনিদের অবস্থান কী? 

আরও পড়ুন>> যাত্রীদের লাগেজ ছাড়াই স্পেনে গেল সুইস বিমান

এর জবাবে মিলার বলেন, আমি রাশিয়ার প্রতি সম্মান রেখে বলব, যে দেশ প্রতিবেশী দুটি দেশেকে আক্রমণ করেছে, যেখানে এটি প্রতিদিন স্কুল, হাসপাতাল এবং অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলোতে বোমা হামলা চালানো হয়। সে দেশকে অন্য কোনো দেশের বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়।

তবে আমি বলব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ক্ষেত্রে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত, উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করছে। এটাই আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের উদ্দেশ্য এবং এটাই আমাদের অবস্থান।

বাংলাদশের দুই সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, এর আগেও এ বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্নীতি উন্মোচিত হয় এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত হয়। নিত্যদিনের যেসব বিষয় জনগণের জীবনকে প্রভাবিত করে- সে সম্পর্কে তাদের অবগত করতে সাংবাদিকদের সুযোগ দিতে হবে। আপনারা এখানে যেমন প্রতিদিন আমার কাছ থেকে জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’ 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে ভয়ংকর সিসা দূষণ, বছরে লাখো মানুষের মৃত্যু

তিনি বলেন, আমি প্রায়ই বলে থাকি- সাংবাদিকদের অবশ্যই কোনো ধরনের ভীতি, হয়রানি এবং সহিংসতা ছাড়া কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। বাংলাদেশের যেসব সাংবাদিকরা সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে; তাদের বিরুদ্ধে সরকারের রাষ্ট্রীয় এবং নিপীড়নমূলক আচরণের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।


আরও খবর



১৬ দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

১৬ দফা দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) 'ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি'।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম এমদাদুল আলম এবং কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. ওয়ালিদ হাসান মুকুট স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ১৬ দফা দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৩০ জুলাই থেকে অদ্যাবধি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন করছে ইবি কর্মকর্তারা। শোকের মাস আগষ্ট মাসে কঠোর কোন কর্মসূচী প্রদান করেনি ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি। তবে শীঘ্রই তাদের দাবীসমূহ বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে তারা ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলে, এই দাবী সমূহ আইনগতভাবে ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও আপনি তা পুরণ না করে বরং জিয়ে রেখে আমাদেরকে আন্দোলনের মুখে ঠেলে দিয়ে একদিকে পরোক্ষভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ইন্ধন জোগাচ্ছেন অন্যদিকে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন বলে আমরা মনে করি। আপনার এহেন কর্মকাণ্ডে আমাদের মধ্যে চরমক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে দাবীসমূহ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত "ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি' আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, আমাদের বঞ্চিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। অথচ তারা যেসব কর্মকাণ্ড করছে বিশ্ববিদ্যালয় একটি শান্তির জায়গা থেকে সংকটের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি অথচ তারা তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন না করে পরিকল্পিতভাবে এ সরকারের বদনাম যেন হয় সে জন্য তারা ক্যাম্পাসকে একটি অস্থিতিশীল জায়গায় ঠেলে দিয়েছে। এ জন্য আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমি সিন্ডিকেটে যাওয়ার সময় ভিসি বাংলোর সামনে থেকে কর্মকর্তারা আমাকে নিয়ে আসছে। আমি এখন অফিসেই আছি। কর্মকর্তারা আমাকে ঘেরাও করে রেখেছে। তারা প্রশাসন ভবনের নিচেই আছে। আমার মন ভালো নেই, আর কিছু বলতে পারছিনা।

এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

১৬ দফা দাবিসমূহ হলো:  ১. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। ২. সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখতে হবে। ৩. উপ-রেজিস্ট্রার হাসিনা মমতাজকে চাকরি অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। ৪.GST এর অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে পোষ্যদের ভর্তি করা হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির আলোকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পোষ্যদেরকে ভর্তি করতে হবে। ৫. কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর না হওয়া পর্যন্ত  ৮(II) ধারা বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬.সিনিয়র ইমাম মোঃ মনিরুজ্জামান এবং মোঃ বেলায়েত হোসেনগণের পদোন্নতি ও বাতিলকৃত উচ্চতর স্কেল প্রদান করতে হবে। ৭.প্রকৌশল অফিসের ২জনের পদোন্নতির সমস্যা সমাধান করতে হবে। ৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতাবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীবৃন্দের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৯. সিণ্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ১০. চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত সকল স্তরের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে হবে। ১১. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীবৃন্দের অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে। ১২. পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করতে হবে। ১৩. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় গাড়ী চালকদেরকে সাত ধাপের সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে। ১৪. সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালানুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি/আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ১৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম করতে হবে। ১৬. ৬ জন কর্মকর্তার ৭ বছর পূর্তিতে পদোন্নতি/ আপগ্রেডিং কার্যকর করার বিষয়ে অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশ দ্রত বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরও খবর