বেনাপোল প্রতিনিধি:
আর মাত্র ৯ দিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ যশোরের শার্শা সাতমাইল পশুর হাট। ছোট বড় গরুতে জমজমাট হাট। শনি মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে ৩দিন বসছে কোরবানির হাট। তবে এবার বাহিরের ব্যাপারী ও ক্রেতা কম থাকায় পশুর দাম পাচ্ছেনা চাষী ও বিক্রেতারা।
সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার বাগআচড়া-সাতমাইল পশুহাটে ঝিকরগাছা, কলারোয়া, চৌগাছাও শার্শাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে দেশি-বিদেশী জাতের ছোট বড় গরু। প্রতিবছর ভারত থেকে আসতো হাজার হাজার পশু। বিএসএফের কড়াকড়িতে এবার ভারতীয় গরু না আসলেও দেশে উৎপাদিত খামার থেকে গরু আসছে হাটে। তবে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে গরু উৎপাদনে খরচ যাচ্ছে বেড়ে। তারপরও বাহিরাগত ব্যাপারী ও ক্রেতা কম আসায় গরুর দাম পাচ্ছেনা তারা। কমদামে গরু বিক্রি করে লোকসানের মুখে খামারী ব্যাবসায়িরা। মেহেরপুর, শরিয়তপুর ও ঢাকা চিটাগাং থেকে ব্যাপারীরা কিছু গরুর কিনে ঢাকায় নিলেও এখনও কুরবানির বাজার জমে না ওঠায় লোকসানের মুখে তারা ক্রেতা বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন>> জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৫০ বছরের শিক্ষক
ক্রেতা আরমান গাজী ও বিক্রেতা ফরিদ মিয়া বলেন, ঢাকা ও সাভারের পশুর হাট না জমে ওঠায় সমস্যায় পরতে হচ্ছে। গরু কিনে খরচ বাড়ছে বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে। তবে ঈদের আগে লোকসান কেটে যাবে বলে আশা করেন তারা।
সাতমাইল পশুরহাট কর্তৃপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াজ কবির বকুল বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাড়ে পশু আমদানি। গত ৫টি হাটে বেচাকেনা হয়েছে ১৩ হাজার গরু। সামনে আরো বাড়বে গরু বিক্রি। পশুরহাটে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা-ও সুরক্ষা। কুরবানীর ঈদের আগে দাম ভাল পাওয়াসহ বাজার ভাল হওয়ার আশা করেন তিনি।
যশোরের শার্শার উপজেলায় নাভারন ও সাতমাইল ২টি পশুরহাটে জমজমাট হয়ে উঠছে বেচাকেনা। নিরাপদ পশু বিক্রিতে হাটগুলো তদারকি করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কেনাবেচাই সবাইকে করা হচ্ছে সতর্ক। আগামী হাটগুলোতে বিক্রি বৃদ্ধিসহ খামারীরা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল।