জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত জি জেনহুয়া বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতা করছেনজলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত জি জেনহুয়া বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন
চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বের দুই বৃহত্তম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী। মিথেন নির্গমন হ্রাস, বন রক্ষা এবং কয়লার ব্যবহার বন্ধে চুক্তি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়াতে দেশ দুটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথ ঘোষণায় জলবায়ু বিপর্যয় রোধে পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।
এ ঘোষণার মাধ্যমে প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জন করা যাবে। দুটি বৃহত্তম কার্বন-দূষণকারী দেশ বলেছে যে তাদের চুক্তিতে ২০২৫ সালে একটি নতুন শক্তিশালী নির্গমন হ্রাস লক্ষ্য সহ ২০১৫ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির নির্দেশিকাগুলো ব্যবহার করে "২০২০ এর দশকে জলবায়ু ব্যবস্থা উন্নত করার" আহ্বান জানানো হয়েছে।
চীনের জলবায়ু দূত জি জেনহুয়া বুধবার চুক্তিটি ঘোষণা করার সময় বলেছেন, "উভয় পক্ষই স্বীকার করে যে বর্তমান প্রচেষ্টা এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি ব্যবধান রয়েছে তাই আমরা যৌথভাবে জলবায়ু কর্মকে শক্তিশালী করব।"
জি-র মতে, চুক্তিতে এই দশকে বর্ধিত কর্মের জন্য "দৃঢ় পরিকল্পনা"-র সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং উভয় দেশ গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে "প্যারিস চুক্তির নিয়মানুসারে কাজ করবে"।
মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে পার্থক্যের কোন অভাব নেই। কিন্তু জলবায়ুর সংকট নিরসন বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করাই একমাত্র উপায়।