আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জজ বিচার বিক্রি করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

যে জজ বিচার বিক্রি করবেন- তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ বার ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতি একটা ক্যানসার। আমার হাতে পাঁচটা আঙ্গুল আছে, যদি একটি আঙ্গুলে ক্যানসার হয়- তাহলে বড় চিকিৎসা হয়েছে সেটা কেটে ফেলা। তাই যে জজ বিচার বিক্রি করেন, সে জজকে আঙ্গুল হিসেবে কেটে ফেলতে আমি একটু দ্বিধাবোধ করব না। একজন জজ যদি বিচারের মাধ্যমে একজনের সম্পদ অন্যজনের দিয়ে দেন, তাহলে তিনি ডাকাতের চেয়েও খারাপ। এমন অন্যায়ের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। যদি কোনো জজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পান- জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাগ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর ভারত থেকে ৭৫ শতাংশ জমি পেল বাংলাদেশ

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষ যাতে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পান সেটা আমাদের লক্ষ্য। সৃষ্ট মামলাজট নিরসনে বিচারকদের বলা হয়েছে। আদালতে সেবা নিতে আশা মানুষ যাতে কোনো কষ্টে না পড়েন সেদিকেও নজর রাখছি। আদালতে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে এ ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা, জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষ, পিপি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতি ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও গাছের চারা রোপন করেন।




আরও খবর



কুবিতে ১০ টাকায় মিলছে ইফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছোলা, ২ টি পেয়াজু, ১টি বেগুনি, ১টি আলুর চপ, ১টি জিলাপি, ১টি কলা, খেজুর ও মুড়িসহ প্রায় ৫০ টাকার ৮ ধরনের ইফতার ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী মিরাজ।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৫টা ১৫ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইটের কাছে তিনি ৮০ প্যাকেট ইফতার বিক্রি করেন।

১০ টাকায় ইফতার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে কাজী মিরাজ বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি আমাদের সাধারণত ১০ টাকার ছোলা আর দুইটা খেজুর হলে ইফতার হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে যে সকল দোকান আছে সেগুলোতে যারা সামর্থ্যবান আছে তারা ৫০ থেকে ১০০টাকায় ইফতার কিনে সেখানে আমার মতো যারা আছে তারা ১০ টাকার ছোলা কিনতে যায় না বা লজ্জাবোধ করে। সবাই যাতে ১০ টাকায়  সবকিছু পায় সেইজন্য আমার এই উদ্যোগ। আর আজকে ইফতার আনার ৭ মিনিটের মধ্য আমার ইফতার বিক্রি হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমি টিউশন ও কোচিং করিয়ে যে টাকা পেয়েছি তা থেকে আজকে এই ইফতারের আয়োজন করেছি। আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে আরো ৬ থেকে ৭ দিন আমি এভাবে ইফতার করাতে পারবো এবং এর পরে যদি কেউ অনুদান দেয় তাহলে রমজানে যতদিন ক্যাম্পাস খোলা থাকবে ততদিন এই আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।


আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর



সাকিবকে টপকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তামিমের

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগেই জানিয়েছিলেন বিপিএলের পরেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও একবার অবসরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেও বিশ্বকাপের ফ্লাইটে চড়া হয়নি। এরপরই তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। বলা হচ্ছিল তামিম শেষ হয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন। সেই বুড়ো তামিমই কিনা হলেন এবারের বিপিএলের সিরিজ সেরা তারকা।

ফাইনালের আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন তামিম। ফরচুন বরিশালের জার্সি গায়ে ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেরা ব্যাটারের দৌড়ে তামিমের প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লার তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। এ দুজনের মাঝে রানের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬। সেখান থেকে হৃদয় আজ ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ১০ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস। তাই খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি হৃদয়।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে খেলেন ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এতে করে ১৫ ম্যাচ থেকে তামিমের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। এতে করে হৃদয়কে টপকে হয়ে যান ২০২৪ বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর ম্যাচ শেষে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিজের করে নেন তিনি।

২২ গজে ব্যাট হাতে যে তামিম ফুরিয়ে যাননি বিপিএলের এবারের আসরে সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন। টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটির দেখা পান তিনি। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ ফাইনালে নামার আগে তামিমের সামনে দুটি রেকর্ডের হাতছানি ছিল। তার মধ্যে একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই টুর্নামেন্টে খেলে যাচ্ছেন তামিম। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিত মুখ। বিপিএলের হয়ে যাওয়া দশটি আসরে আটটি আলাদা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দেশসেরা এ ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এ ক্রিকেট আসরে দুই সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছেছেন। বিপিএলের ফাইনালেও রয়েছে তার সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার হাঁকানো ১৪১ রানের দাপুটে ইনিংস দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রেকর্ড।

বিপিএলের ২০১৬ আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৭৬ রান। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়ে করেন ৪৬৭ রান। এ টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার এই দুই ইনিংস ছিল তিন ও চার নম্বরে। আজকের ফাইনালে সেটাকেই টপকে গেলেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচের আগে ১৪ ম্যাচে তামিমের ছিল ৪৫৩ রান। ফাইনালে ২৬ বলে ৩৯ রান করায় ১৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। যা চলতি আসরে রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া তার ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের দিক দিয়ে আট বছরের পুরোনো রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়েন। এর মধ্যে বিপিএলে এক মৌসুমে তামিমের ৪৯২ রানেই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি হিসেবে তার সামনে আছেন কেবল নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি ২০২৩ সালের নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান সংগ্রহ করেন।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল শিরোপা নিশ্চিতের দিনে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও পেলেন তামিম। বয়স বাড়লেও তামিম যে ফুরিয়ে যাননি তাই যেন প্রমাণ করলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মাঠে নেমেই ৫ উইকেট নিলেন মাশরাফি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫ উইকেট নিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

এর আগে গত বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলার পর টুর্নামেন্ট থেকে বিরতি নেন মাশরাফি। আসরটিতে আর ফেরাও হয়নি তার। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রূপগঞ্জের হয়ে নাম লেখালেও প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে চতুর্থ রাউন্ডে খেলতে নামে দুদল। যেখানে টানা ৮ ওভারের স্পেলে ১৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন মাশরাফি। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে তার অষ্টম ৫ উইকেট এটি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাশরাফির চেয়ে বেশি ৫ উইকেট আছে কেবল আব্দুর রাজ্জাকের (৯টি)।

দলীয় একাদশ ওভারে মাশরাফি আক্রমণে আসেন। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়া প্রিতম কুমার ও আনিসুল ইসলাম পার্টনারশিপ ভাঙেন। প্রিতমকে ক্যাচে ফেরান তিনি। এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে ২ উইকেট নেন মাশরাফি। প্রথমে সাব্বির হোসেন শিকদার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এক বল পর লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ফয়সাল আহমেদ।

মইন খান মাশরাফির পরের ওভারে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ডিপ কভারে ধরা পড়েন। পরে শর্ট বলে পুল করে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৫ উইকেট শিকার হয় মাশরাফির।

এদিন ইনিংসের ৮৭ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে গাজী গ্রুপ। রূপগঞ্জের হয়ে আব্দুল হালিম নেন ২ উইকেট। আনিসুল গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ধীর গতি থাকবে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আজ (০২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এসময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।

দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশিপ্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএসআসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়।

বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।


আরও খবর