গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। এর মধ্যে অর্ধেক দেবে নগদ, বাকিটা স্টক লভ্যাংশ।
গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত জিপিএইচ ইস্পাতের ষোড়শ বার্ষিক সাধারণ সভায় এ ঘোষণা এসেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবির।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পরিষদের প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্প সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রত্যাশিত চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে জিপিএইচ একমাত্র কোম্পানি, যারা বাংলাদেশে প্রথম কোয়ান্টাম টেকনোলজির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। থার্ড টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেলসহ দেশের অনেক মেগাপ্রকল্পে যুক্ত হয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণ, সরকারি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক, স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা এবং বাজার পরিস্থিতি আরো মজবুত করা। আশা করি চ্যলেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করব।’
সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জিপিএইচ ইস্পাত গত বছরের চেয়ে ৬৫ দশমিক ৬৭ বেশি আয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মোট বিক্রির ১০ শতাংশ ৪৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় রাজস্ব দেওয়ার হার ১৩ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে দেশে ইস্পাতের বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কাঁচামালের দাম, জাহাজীকরণ ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। বলতে গেলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জিপিএইচ বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন উদ্ভাবন, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।’
সমাপনী বক্তব্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল জিপিএইচের ওপর আস্থা রাখায় শেয়ায়রহোল্ডারদের ধন্যবাদ দেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগকেও তাদের দক্ষতার জন্য অভিনন্দন জানান।